পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুল্পীরা নিত্য, অপ্ৰমেয়, ধ্রুব কি জিনিষ। তাহার ছিল, সে তাহা কোথায় হারাইয়া ফেলিয়াছে, সে যে শাপভ্ৰষ্ট ইন্দ্ৰ-পুত্র নীলাম্বর, ফুল্লারা যে দেবরাজ্যের পুত্রবধু ছায়াবতী, এ কথা স্পষ্ট ভাবে মনে পড়ে না। -কিন্তু যতই তাহারা শাপের নিদিষ্ট সময় অতিবাহিত করিতে লাগিল, ততই তাহাদের পার্থিব সুখ যেন তুচ্ছাতিতুচ্ছ মনে হইতে লাগিল। সমুদ্রতীররবর্তী ক্রীড়াশীল বালক যেরূপ সমুদ্রের তরঙ্গাভিঘাতে শব্দ শুনিয়া ক্ষণে ক্ষণে আত্মবিস্মৃত হইয়া সেই আহবান শুনিতে উৎকৰ্ণ হইয়া দাঁড়ায়, কালকেতুও সেইরূপ সাংসারিক সুখ-ভোগের মধ্যে অকস্মাৎ চিন্তান্বিত হইয়া কোন অজ্ঞাত দেশের আহবান শুনিতে ব্যস্ত হইত। ফুল্লারার মনেও সেইরূপ ভাব সময় সময় উপস্থিত হয়, কিন্তু পরস্পরের নিকট তাহারা তাহ ব্যক্তি করে না । একদিন কালকেতু ফুল্লারাকে বলিল, “যখন কিরাতনগরে ছিলাম, তখন জীবনের প্রতি একটা আগ্রহ ছিল। শিকারান্তে তুমি যাতা খাইতে দিতে, তাহ কত তৃপ্তির সহিত খাইতাম ; এখন নিজের সুখলালসায় তদ্রুপ আগ্রহ নাই ;- যখন অনাথমণ্ডপে অনশন-কৃশব্যক্তিদিগকে তৃপ্তির সাহিত থাইতে দেখি, তখন একটা আনন্দ হয়, নিজে আহার করিয়া আর সেরূপ তৃপ্তি পাই না । এই সকল পরিচ্ছদের ও মণিমুক্তার বাহুল্য আমার অসহ্য হইয়াছে। রাস্তায় যে সকল বস্ত্ৰ-প্ৰত্যাশী দিগম্বর ব্যক্তি ঘুরিয়া বেড়ায়, অনেক সময় আমি স্বহস্তে এই সকল উজ্জল পরিচ্ছদে তাহাদিগকে সাজাইয়া দেখিয়াছি--তাহাতে অনেকটা আরাম পাইয়াছি, কিন্তু আমার আর এ সুখভোগ ভাল লাগে না । আমি তোমায় কি বলিব, কোন বিস্মৃত কথা নিরস্তুর আমার মন স্মরণ করিতে চাহে, তাহা সম্পূর্ণ স্মরণে না পড়ায় আমার মনে অহৰ্নিশ একটা শেল 总8冷