পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী রাখিত । আমি অভিশপ্ত হইয়াছিলাম, তথাপি ছায়াবতী স্বেচ্ছায় স্বৰ্গ হইতে অবতীর্ণ হইয়াছিল,-আমাকে ছাড়া ছায়াবতীর অমরাবতী অসহনীয়। আমাকে ছাড়িয়া সে আজ স্বর্গে থাকিবে কিরূপে ?” । দেবী বলিলেন, “তোমারও দিন আসন্ন । অলকায় ছায়াবতী অগ্ৰে গমন করিয়া ভৃঙ্গ ভরিয়া মন্দাকিনীর জল রাখিতেছে, তুমি বড় তৃষ্ণাৰ্ত্ত, তাহা পান করিবে। পৃথিবীর বাসি ফুলের মালা তোমার কণ্ঠে ভাল লাগে নাই, সেইজন্য অস্নান পারিজাত-পুষ্পের মালা গাঁথিয়া রাখিতেছে।” সেই রাত্রে কলিঙ্গ-রাজা স্বপ্নে দেখিলেন, কালিকা লোলরিসন হইয়া ক্রুদ্ধ কটাক্ষে তাহাকে দগ্ধ করিতেছেন। তঁহার দানাগণ মুষল ও মুদগর দ্বারা তাহাকে প্রহার করিতেছে। ঘুম ভাঙ্গিলে তিনি ভাবিলেন ইহা স্বপ্ন মাত্র, অমনি তন্দ্ৰায় আবার অট্টহাস্যকারিণী, শবশিশুমালিনী, ভীষণমূৰ্ত্তি র্তাহার সম্মুখে উথিত হইল, র্তাহার তৃতীয়-নেত্রসস্তুত-অগ্নি তাহাকে দগ্ধ-বিদগ্ধ করিতে লাগিল। দানাগণ বলিতে লাগিল—“তুই ইন্দ্ৰপুত্ৰ নীলাম্বরকে ধ্যাধি ভাবিয়া দণ্ড দিয়াছিস, এখনই তাহাকে মুক্তি দে”- রাজা স্বপ্নে বলিলেন “মুক্তি দিব” । অমনি তাথৈ তাথৈ রবে দানবগণ নৃত্য করিয়া তঁহাকে প্রহার করিতে লাগিল এবং বলিতে লাগিল, “এখনই মুক্তি দে।” রাজা জাগিয়া চক্ষু মার্জনাপূর্বক স্বর্ণপালঙ্কে বসিয়া বুহিলেন ! ভয়ানক অন্ধকার নিশি, ঘোর মেঘরাশি কারাল বেশে বিদ্যুৎ-দন্ত উদঘাটন করিয়া পৈশাচিক ব্লবে অট্টহাস্য করিতেছে। সেই বিদ্যুতের প্রভা শিবিরের গবাক্ষ-পথে প্রবিষ্ট হইয়া কালিকার নেত্ৰাগ্নির ন্যায় তাহাকে দগ্ধ করিতে লাগিল । ভীমবেগে প্রভঞ্জন তাহার শিবির কাপাইয়া যেন উৎকট ব্লবে চীৎকার করিয়া বলিতে লাগিল ;-“এখনই মুক্তি দে।” ক্রমে রাজা জাগ্রত অবস্থায়ই দেখিতে লাগিলেন, প্রভঞ্জন R (ty