পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী পরদিন রাজা দ্রাবিড়-রাজধানীতে যাইয়া দেখিলেন, তথায় প্রজাবৃন্দ হাহাকার করিয়া কঁাদিতেছে। ফুল্লারারাণীর মৃত্যুতে সমস্ত নগরী স্নান হইয়া পড়িয়ছে। সে মৃত্যুকালে স্বৰ্গধামের একটি নিদর্শন ইচ্ছা করিয়া পৃথিবীতে ফেলিয়া গিয়া প্ৰজাদিগের প্রতি ভালবাসা জানাইয়াছে,- তাহা তাহার পুত্ৰ পুষ্পকেতু। রাজা সেই সদ্যঃপ্রসুত শিশুটির মস্তকে রাজদণ্ড ধরাইয়া তাহাকে দ্রাবিড়ের রাজা বলিয়া ঘোষণা করিয়া দিলেন এবং হতভাগ্য ভাড় দত্তের মস্তক মুণ্ডন করাইয়া গৰ্দভের পৃষ্ঠে চাপাইয়া নগর হইতে নিৰ্বাসিত করিয়া দিলেন, কুলের বন্ধুরা তাহার মস্তক-উদ্দেশ্যে কাল হাড়ী ছুড়িয়া মারিতে লাগিল। বলা বাহুল্য, ভাডুন্দত্তের প্রকৃত চরিত্র জানিতে রাজার বাকী রছিল না। দ্রাবিড়াধিষ্ঠিত চণ্ডীকে দেশদেশান্তর হইতে ভক্তগণ আসিয়া পূজা निऊ लांशिल । فيما ইন্দ্ৰপুত্র নীলাম্বর কেন অভিশপ্ত হইয়াছিলেন ? লোমশ মুনি সমুদ্রতীরে ৩পস্যা করিতেম। শীতকালে সমুদ্রতরঙ্গস্নাত বায়ু তাহার অঙ্গ স্পর্শ করিত, যমসদৃশ শীত সিন্ধু-তীরে জীবজন্তুকে নিপীড়িত কারিত ; মুনিবারের ভ্ৰক্ষেপ নাই। গ্ৰীষ্মকালে দোর্দণ্ড মাৰ্ত্তণ্ড-তেজে সিন্ধুতীরের সিকতারাশি অগ্নির ন্যায় উত্তপ্ত হইত, সুতীব্ৰ দাহনে তঁাহার দেহ দগ্ধ-বিদগ্ধ হইয়া যাইত ; মুনিবারের ভ্ৰক্ষেপ নাই । বর্ষাকালে কখনও কখনও সপ্তাহ-ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝঞ্জা সমুদ্রতীরে ቅgዩbe