পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুল্লারা প্ৰবল বেগে প্রবাহিত হইতে থাকিত, সেই মুষলধার বৃষ্টি ও ঝঞ্চা তাহার দেহে অবিরত প্ৰহার করিত। তথাপি মুনিবারের ভ্ৰক্ষেপ নাই। সিন্ধুর সিকতাভূমিতে নিশ্চল চিত্রপটের ন্যায় তপস্বিবর বিরাজমান। জড়জগৎ কখনও মৌন, কখনও মুখর ক্ৰোধে তপস্বীর হৃদয়বল পরীক্ষা কৱিত । কিন্তু যোগী নিশ্চেষ্ট । র্তাহার অতিমাত্ৰ উপেক্ষার নিকট বাজ, বিদ্যুৎ, মেঘ, রৌদ্র, হিম সকলই ব্যর্থ হইয়া গেল । তিনি ভ্রমধ্যে নেত্রদৃষ্টি বদ্ধ করিয়া অচিন্ত্য, অব্যক্ত ধ্যানরহস্যে সুস্থিত রহিলেন । ইন্দ্ৰদেব আকাশের সমস্ত শক্তি পুঞ্জীভূত করিয়া ধ্যাননিরত যোগিবরকে যোগ-ভ্ৰষ্ট করিতে পারিলেন না । এবার বুঝি ইন্দ্ৰত্ব যায়। ইন্দ্ৰপুত্ৰ-নীলাম্বর পিতার অগোচরে লোমশ-মুনিকে প্রলুব্ধ করিতে চেষ্টা করিলেন । যোগী যখন ধ্যান-মুক্ত দৃষ্টিতে একবার জগতের দিকে লক্ষ্য করিয়াছেন, তখন তিনি দেখিতে পাইলেন, ইন্দ্ৰপুত্র নীলাম্বর যুক্ত করে ठ९-जकiर्भ म९४ांग्रभiन | কি অভিপ্ৰায়ে আসা হইয়াছে, মুনি জিজ্ঞাসা করাতে নীলাম্বর বলিলেন, “প্ৰভু, এই শীত-গ্রীষ্মে আপনি অনাবৃত ভাবে সিন্ধুতীরে তপস্যা করেন, আপনি অনুমতি করিলে আমি একখানি কুটীর বাধিয়া দিয়া পুণ্য সঞ্চয় করি।” অভিসন্ধি, এই কুটীর নিৰ্ম্মাণের অনুমতি পাইলে তিনি ধীরে ধীরে তাহ রাজ-প্ৰাসাদে পরিণত করিয়া নানা বিলাসের সামগ্ৰী দ্বারা মুনিকে প্ৰলুব্ধ করিবেন। লোমশ মৃদু হাস্যের ছটায় সেই স্থান পবিত্র করিয়া বলিলেন, “জীবন FRb