পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী শাঁখারীকে বৎসরাস্তে কাহাদের জন্য নানাপ্রকার কারুখচিত শাখার কথা বলিয়া দিবেন । যাহাদের লইয়া এই সকল আনন্দ লীলায় অভ্যস্ত। ছিলেন, তাহারা সিন্দূরের কৌটাটি দেখিলে লুকাইয়া যে অশ্রুবিন্দুটি অঞ্চলাগে মুছিয়া ফেলে, সনকার তীক্ষ্মদৃষ্টি তাহা এড়ায় না ; সনক কিছু না বলিয়া তখন নিজের প্রকোষ্ঠে যাইয়া এক-একা কঁাদিতে থাকেন, হয়ত সেদিন তঁাহার কিছু খাওয়া হয় না। সুবর্ণ-চিরুণী দিয়া স্বীয় কেশ আঁচড়াইতে যাইয়া সনকার চক্ষু জলে ভরিয়া আইসে । হায় বিধাতঃ ! প্রৌঢ় যাহা কৰ্ত্তব্যের দায়ে করিয়া থাকেন, তাহা যে যৌবনের পক্ষেই শোভন :-সুন্দরী যুবতীর গৃহে তপস্বিনীর ব্ৰত সাধন করিবেন, আর প্রৌঢ়া কি করিয়া তাম্বুল ও মৎস্য ভোগ করিবেন, স্বর্ণচরুণীতে কেশ আঁচড়াইবেন ! অথচ তাহা না করিলে নয় । সনকা একদিন সন্ধ্যাকালে স্বামীর পা জড়াইয়া ধরিয়া বলিলেন, “আমার দুর্লভ নখার একটি বউ আনিয়া দেও, লক্ষ্মী বউ অলক্তক-রঞ্জিত নুপুর-মুখর ক্রীড়াশীল পদে এই গৃহে বিচরণ করিবে, আমি সেই প্রিয় শব্দ শুনিব এবং আঙ্গিনায় সেই অলক্তক-চিহ্ন দেখিয়া প্ৰাণ জুড়াইব, আমার স্বৰ্ণকোটা-ভরা সিন্দুর আমি তাহার সুন্দর কপালে পরাইয়া আপনাকে কৃতাৰ্থ করিব।” সহসা পথিক সৰ্পোের দেহ স্পর্শ করিলে যেমন চমকিয়া উঠে, এই প্ৰস্তাবে চান্দ-সদাগর তেমনই চমকিয়া উঠিলেন । বাসায়-ঘরের আতঙ্ক তাহার মনে উপস্থিত হইল ; তিনি সনকার প্রার্থনাকে একেবারে অগ্রাহ করিয়া কক্ষান্তরে চলিয়া গেলেন । পাষাণ-প্ৰতিমার হ্যায়। সনকা ঘাড়াইগ্লা ৱহিলেন ; তখন নদীনীয়-সিক্ত পৰম গবাক্ষ-পথে প্ৰবেশ করিয়া তাহার কুঞ্চিত কুন্তলা গ্ৰ যেন সস্নেহে স্পর্শ করিতেছিল, পশ্চিমাকাশের R