পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুল নীলিমা ভেদ করিয়া ‘শুকতারা’ স্বামী-উপেক্ষিতার গণ্ড-প্রবাহিত অশ্রুধারাকে উজ্জ্বল করিতেছিল- তাহার এত সাধোেৱ “লখা’কে এরূপ নিৰ্ম্মমভাবে স্বামী উপেক্ষা করিলেন, সনকার হৃদয়ের সমস্ত সঞ্চিত দুঃখ আজি উথলিয়া উঠিল, তিনি দাড়াইয়া নীরবে অশ্রুবিসর্জন করিতে লাগিলেন। লখাই পুৱাভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া সন্ধ্যাকালের আহাৰ্য্যেৱ জন্য মাতাকে খুজিয়া চলিয়া গেল, সনকা তাহার “মা” “মা” আহবান শুনিতে পাইলেন না । এক প্রহর কাল। এইভাবে অতিবাহিত হইল, সনকার হৃদয়ের ব্যথার হ্রাস হইল না । পুত্ৰশোকে যিনি উচ্চৈঃস্বরে কঁাদিয়া সাস্তুনা লাভ করিতেন, আজিকার দুঃখে তিনি নীরব বুহিলেন। এইরূপ দুঃখ সম্পূর্ণ অভিনব, ইহাতে তিনি অভ্যস্ত নহেন,-শুধু গণ্ডদ্বয় সিক্ত করিয়া অশ্রুধারা প্ৰবাহিত হইতেছিল, আর নৈশনক্ষত্র গবাক্ষপথে সেই উপেক্ষাসভূত অশ্রুবিন্দুকে স্বৰ্গীয় ঔজ্জ্বল্য প্রদান করিতেছিল ; রোরুদ্যমানার বাহাজ্ঞান নাই, তিনি আত্মহারা হইয়া দাড়াইয়াছিলেন । চাদ বাহিরের দরবার ছাড়িয়া যখন রাত্ৰিতে স্বপ্ৰকোষ্ঠে ফিরিয়া আসিলেন, তখন দেখিতে পাইলেন, নীরবে অশ্রুমুখী সনক দাড়াইয়া আছেন । স্বামীকে দেখিয়া সনকা ভঁহাৱা আহাৰ্য্য-সন্ধানে বাহিয়ে যাইতে উদ্যুত হইলেন ; চাদ তাহাকে আদরের সহিত সম্মুখে আনিয়া বলিলেন, “তুমি কি সেই হ’তে এখানে দাড়াইয়া আছ?” স্বামীর আদরে সনকার চক্ষু হইতে দরদর-প্রবাহে জল পড়িতে লাগিল, তিনি কোন উত্তর দিতে পারিলেন না । চাঁদ-সদাগর অভিমানিনীর মনের ব্যথা বুঝিতে পারিলেন। তিনি দৈবজ্ঞের কথা সনকাকে- বলিলে পুত্রবৎসলার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া 59