পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डूमिका কৃষ্ণের নব-নীলা-নীরদ বর্ণ, দুর্গার অতসী-কুসুমবৰ্ণ পরিবাৰ্ত্তন করিয়া উহাদিগকে বৈজ্ঞানিক-নিদিষ্ট ছঁাচে ঢালিয়া নিৰ্ম্মাণ কর-দেবতা মানুষ হইয়া যাইবেন, একখানি চারুচিত্র হইতে স্বর্গের সম্পদ মুছিয়া যাইবে,-উহ! পৃথিবীর ধূলায় কলঙ্কিত হইবে,-কাব্যের মাধুৰ্য্য গদ্যের কঙ্কালে পরিণত হইবে । বৰ্ত্তমান উপন্যাস ও পৌরাণিক উপাখ্যান এতদুভয়ের মধ্যে আমার নিকট পূর্বোক্তরূপ প্ৰভেদ প্রতীয়মান হয়। একটি স্বভাবের প্ৰতিলিপি, অপরটি স্বভাবের হস্তে আদৌ ধরা দেয় না। একটি মনুষ্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া চলে, অপরটি অজ্ঞাত রাজ্যের সন্ধানে ব্যস্ত । একটির পথ চির-পরিচিত,--তাহা অতি সন্তৰ্পণে স্বভাবের পার্শ্ব দিয়া চলিয়া যায় ; অপরটির পথ অপরিচিত, দুজ্ঞেয় ও স্বভাবের গণ্ডীর বহির্ভূত। একটি দৃষ্টকে পুনঃ পুনঃ নানাভঙ্গীতে দেখিয়া ও দেখাইয়া গ্ৰীত, অপরটি অদৃষ্টের আভাস দিতে চায় ;-উৎকট অস্বাভাবিক ঘটনার মধ্য দিয়া স্বভাবাতীত কোন সত্যকে ব্যক্ত করিতে চেষ্টিত । এক শ্রেণীর লোক আছেন, তাহাদের নিকট যাহা কিছু সৰ্ব্বদা দৃশ্যমান, তাহার মাধুরী কিছুতেই ফুরায় না ; আসল ত আছেই, তাহার নকল পুনঃ পুনঃ দেখিয়াও র্তাহারা তৃপ্ত হন না,--রঙ্গালয়ে, সাহিত্যে, শিল্পে, তাহারা বার বার সেই একই দৃশ্য ভালবাসেন। আর এক শ্রেণীর লোক স্বভাবকে অতিক্রম করিয়া কিছু দেখিতে, কিছু শুনিতে চান । তঁহার ঘটনাকে বাড়াইয়া, অতিরঞ্জন করিয়া উৎকট ও অসম্ভবকে আশ্রয় করিয়া-কোন উচ্চতর তত্ত্বের সোপান নিৰ্ম্মাণ করেন । উৎকৃষ্ট বাস্তব উপাখ্যানেও কখনও কখনও সেইরূপ উচ্চ তত্ত্বের 文总b^