পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা পুত্রবধূকে সেই গৃহে রাখিব। এই বিপদ কাটিয়া গেলে, নখা বধূকে লাইয়া এখানে আসিবে, এবং যত দিন আপনারা ইচ্ছা করিবেন, তত দিন থাকিয়া যাইবে, সে ত আপনাদের সন্তান হইল।” সায়-বোণে দুঃখের সহিত বলিলেন-“আপনি এ সকল কথা চাপিয়া রাখিয়াছিলেন কেন ? এমন জানিলে কে এমন স্থলে তাহার দুহিতার সম্বন্ধ করিতে সম্মত হইত ?” bg. চান্দ-সদাগর, পুত্র ও পুত্রবধূকে লইয়া সঁাতালী-পৰ্ব্বতে লৌহগৃহে রাখিলেন। স্বয়ং উন্মত্তের ন্যায় যষ্টি হস্তে সেই গৃহের শাস্ত্রীদিগের তত্ত্বাবধান করিয়া বিনিদ্রভাবে রাত্ৰি কাটাইতে লাগিলেন । সেই লৌহগৃহে প্ৰবেশ করিতে সহসা বেহুলার হৃদয় কঁাপিয়া উঠিল, সহসা অসাবধান-হস্তক্ষেপে বেহুলা নিজের সীথির সিন্দুর মুছিয়া ফেলিলেন- আশঙ্কায় অশ্রুমুখী বেহুলা, জলভরা একখানি রৌদ্রদীপ্ত মেঘের ন্যায় রূপচ্ছাটায় গৃহ আলোকিত করিয়া স্বামীর শয্যাপার্শ্বে উপবিষ্ট হইলেন। গৃহে আসিয়া কোটা খুলিয়া নিজেই আবার সিন্দুর পরিলেন। বেহুলা, দৈবজ্ঞের গণনার কথা শুনিয়াছিলেন । তিনি স্বামীকে চক্ষু ভরিয়া দেখিতে লাগিলেন। লক্ষ্মীন্দর গৃহে প্ৰবেশ করিয়াই ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল, রঙ্গন-ফুলের মালাটি তঁাহার বক্ষের নিকট লুটাইয়া পড়িয়া চন্দনদীপ্ত মূৰ্ত্তিকে বনদেবতার ন্যায় সুদৃশ্য করিয়া তুলিয়াছিল। সেই মালাটি যথাস্থলে বিন্যস্ত করিবার জন্য ভীরু বালিকা হস্ত প্রসারিত করিয়া যেমনই স্বামীদেহ স্পর্শ করিয়াছে, অমনই লক্ষ্মীন্দরের ঘুম ভাঙ্গিয়া Ye