পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢oोब्रांत्रिकी নীরবে দেবীর প্রসাদ-চিহ্ন পানে মাথা ঠেকাইয়া সঁাতালী-পৰ্ব্বতের कि शांय कब्रेिव्ल । তখন বেহুলা-সতী অন্ন রন্ধন করিতেছিলেন ; সেই কাল-রাত্রিতে চারিদিক হইতে কি একটা শব্দ শুনা যাইতেছিল, চাদ-বেণে গৃহের চারিদিক ঘুরিয়া মাঝে মাঝে যে দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিতেছিলেন, এ কি তাহারই প্ৰতিধ্বনি ? সহসা বেহুলা দেখিলেন, লৌহের দেয়ালে একটা স্থানের লৌহপিণ্ড টুটিয়া যাইতেছে, তাহা হইতে লৌহ চূর্ণ খসিয়া পড়িতেছে ; বলা বাহুল্য, সেগুলি কয়লার গুড় । সেই ছিদ্র-পথে ফণা বিস্তার করিয়া বঙ্করাজ প্ৰবেশ করিল। বেহুলা সোণার বাটীতে কঁাচা দুগ্ধ ও রামর্যন্তা রাখিয়া সেই সৰ্পের সম্মুখে ধারণ করিলেন, আহারের লোভে বঙ্করাজ মাথা হেঁট করিয়া বাটীতে মুখ প্রবেশ করাইল-বেহুলা সোণার সঁাড়াশি দ্বারা তদাবস্থায় সর্পকে বন্দী করিয়া ফেলিলেন । দ্বিপ্রহর রাত্ৰে কালদন্ত সৰ্প এবং তৃতীয় প্রহর রাত্রে উদয়কাল সৰ্প সেই ভাবেই বন্দী হইল-শেষ রাত্রে বেহুল লক্ষ্মীন্দরকে ভাত খাইতে ডাকিতে লাগিলেন, কিন্তু লক্ষ্মীন্দর গভীর নিদ্রাভিভূত, কোন সাড়া लि मा ! সমস্ত রাত্রির দুশ্চিন্তা ও শ্রমে উপবাসী বেহুলা ক্লান্ত হইয়াছিলেন। বন্দী সৰ্পত্রিয়কে একটা বৃহৎ পাত্রদ্বারা চাপা রাখিয়া, বেহুলা স্বামীর পদপ্রান্তে আসিয়া বসিলেন, তাহার চক্ষু দু’টি ঘুমে ভাঙ্গিয়া আসিতে লাগিল, এক একবার চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া তিনি সেই রাস্ত্ৰ-পথের দিকে লক্ষ্য রাখিতেছেন এবং ঘুমে হেলিয়া পড়িতেছেন ; এমন সময় বায়ুগতি কালনাগিনী মনসাদেবীর তাড়া পাইয়া রাস্ত্রী-পথে প্ৰবেশ। করিল-সেই গৃহপ্ৰবেশ কালে হঠাৎ “কেও”- স্বরে কালনাগিনীর @@