পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা লক্ষ্মীন্দরকে দংশন করিতে কে যাইবে, দেবী জিজ্ঞাসা করিলেন । সৰ্পকুল মাথা হেঁট করিল। একটা কোপনস্বভাব রক্ত-চক্ষু সৰ্প বলিল, “সঁাতালী-পৰ্ব্বতে যে সকল তরুমূল সঞ্চিত হইয়াছে, তাহার গন্ধ দূর হইতে পাইয়া আমার হাপানি রোগ জন্মিয়াছে।” বিষ্যদন্তু বিকাশ করিয়া ত্রিশীর্ষ মহিজঙ্গ বলিল, “ময়ুর ও নকুলের হস্ত হইতে রক্ষা করিবে: কে ? তাহদের ভয়ে আমার মাতুল ভ্রাতারা বহুপুরুষের বাসস্থান সঁাতালী ছাড়িয়া নীলগিরিতে আশ্রয় লইয়াছে।” দংশক সৰ্প রোষাবিষ্ট চক্ষু আবৰ্ত্তন করিয়ী বলিল, “ৰ্চাদ-সদাগর জগতের যত রোঝা সঁাতালীপৰ্ব্বতে জড় কারিয়াছে, তাহারা যেখানে গৰ্ত্ত পায়, সেইখানেই মন্ত্র পড়ে। ও তরুমূল নিক্ষেপ করে, অহিকুল গৰ্ত্তের মধ্যেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। লৌহ-গৃহের একটা ছিদ্র আছে, কিন্তু যে-সকল শাস্ত্রী পাহারা দিতেছে, তাহার এক-এক জন চণ্ডু ও আফিম এক এক ভরি এক-এক বারে খাইয়া চক্ষু এমন রক্তবর্ণ করিয়া রাখিয়াছে যে তাহাদিগকে দেখিলে আমাদেরই ভয় হয়, তাহদের র্দাতে যে বিষ জমিয়াছে, তাহাতে আমাদেরই মৃত্যু হইতে পারে, অন্ততঃ আমাদের বিষে তাহাদের কিছু হইবার নয়। তাহারা মাথা নীচু করিয়া না কামড়াইলেও তাহাদের সঙ্গিনের খোচা খাইলে আমরা বাচিব না ।” মনসাদেবী পুনৰ্বার বলিলেন-“আমি এ সকল ভীরুর বাক্য-কৌশল শুনিতে চাহি না, আহিকুলে কি এমন কেহ নাই, যে সমস্ত বিপদ অগ্রাহ্যু করিয়া লক্ষ্মীন্দরের বাসর-গৃহে প্রবেশপূর্বক তাহাকে দংশন করে? যেসকল বিপদ পথে আছে, তাহা সকলেই অবগত, অশক্তগণের মুখে তাহা আমি শুনিতে চাহি না । যে বিপদে নিৰ্ভীক, সেই অগ্রসর হউক ৷” তখন ভীষণ ফণা বিস্তার করিয়া বঙ্ক রাজসৰ্প অগ্রসর হইল এবং Vð.