পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী পুনরায় বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলিলেন “তুমি পিতৃগৃহে ফিরিয়া এস, ঘরের প্রধান হইয়া থাকিবে। তুমি মাতার নয়ন-পুত্তলী,-সাত নহ, পাঁচ নহি, আমাদের বড় যত্বের একমাত্র ভগিনী, তোমাকে শাখা পরাইতে পারিব না, কিন্তু মূল্যবান সুবর্ণের চুড়ী পরাইব ; সিন্দূরের পরিবৰ্ত্তে কপালে ফাগের গুড়া পরিবে ; মৎস্য মাংস ছাড়িবে, কিন্তু অপর নানাপ্রকার খাদ্যদ্রব্য তোমাকে আনিয়া দিব,--ভেলায় অকুলে ঝাঁপ দিয়াছ, এখনই হাঙ্গর কুম্ভীর তোমাকে খাইয়া ফেলিবো ; পথে দুষ্ট লোকে তোমাকে আক্রমণ করিতে পারে,-তুমি নিরুপমা সুন্দরী।” বেহুলা কঁাদিতে কঁাদিতে বলিলেন, “দাদা ! তোমরা ফিরিয়া যাও, -আমি নিরামিষ হাড়ি প্রতিদিন ফেলিবার জন্য তোমাদের গৃহে ফিরিয়া যাইতে পারিব না । মাকে বলিও, র্যাহার হাতে আমাকে সমৰ্পণ করিয়াছেন, আমি তাহার সঙ্গেই আছি, আমি তঁাহাকে ছাড়িয়া এক মুহুৰ্ত্তও বঁচিতে পারিব না। চাপাগাছের নীচে ঐ সকল খাদ্যদ্রব্য পুতিয়া রাখ, যদি স্বামীর জীবন ফিরিয়া পাই, তবে আমরা আসিয়া খাইব। তীরে দাড়াইয়া কঁাদিতেছ। কেন ?” বেহুলার চক্ষু দিয়া পুনরায় টপ টপ করিয়া জল পড়িতে লাগিল । দেখিতে দেখিতে ভেলা সে স্থান অতিক্ৰম করিয়া গেল ! ও কে যায়। গাজুড়ের জলে ভেলায় ভাসিয়া মৃত স্বামীকে অঙ্কে রাখিয়া কে যায় । জীবন-সঙ্গিনী অনেক দেখিয়াছ, মরণ-সঙ্গিনীকে একবার দেখ। সধবার মাথায় সিন্দূর অনেক দেখিয়াছ, বিধবার 8粤