পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VM বেহুলা অনাথিনীকে ধর, দেখ, আমার হাতে বল নাই, পায়ে বল নাই, দেহে বল। নাই-আমার বড় কষ্টের ধন স্বামীর দেহাবশেষ আমি আর রাখিতে পারিতেছি না ; আমার দেহের ছিন্ন পট্টবস্ত্র উড়িয়া গালিয়া গেল, মা, আমি লজ্জা রক্ষা করিতে পারিলাম না, আমি বড় দুঃখ সহিয়াছি, মাতুমি যদি দুঃখ দাও, কে তাহা ঘুচাইবে ।--আমি সেই দুঃথকে মাথায় করিয়া লইলাম-আমার বল, সাহস কিছুই নাই-মা বিষহরি । দীনা দুহিতাকে কোলে তুলিয়া লও।” তখন অপূৰ্বরূপচ্ছটায় আকাশের পূর্বপ্রান্ত উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে ; কে যেন বেহুলার হস্তে এক অমৃত ভাণ্ড আনিয়া দিল। সেই অমৃত DBLBDS DBBB KLDBBDBD SBDBBDB DD BB DDDBB DDBBDS DDD D পট্টবস্ত্র নবগ্ৰী-শোভিত হইল, বেহুলার হৃদয়ে অপূৰ্ব সাহসী হইল। তিনি অন্তরের অন্তর হইতে বুঝিলেন, তাহার স্বামী বঁাচিয়া উঠিবে। কে বুঝাইল, কি ভাবে বুঝিলেন, বেহুলা তাহ জানিলেন না, কিন্তু তিনি নিশ্চয় বুঝিলেন। সহসা বেহুলার পূর্ব পূর্ব জন্মের কথা মনে পড়িল । তিনি দেখিলেন, গত সাতজন্ম তিনি চিন্তানলে প্ৰাণত্যাগ করিয়াছিলেন, অরুণো জাম্বল পট্টবস্ত্র পরিয়া দিব্য সিন্দূর-রাগ-দীপ্ত-ললাটে তিনি স্বামীর সঙ্গে সাতবার দগ্ধ হইয়াছেন। প্ৰতিবারেই তিনি বিবাহের রাত্রে স্বামীকে হারাইয়াছেন, সুখের সংসার পাতিবেন বলিয়া বিবাহের রাত্রে কত আনন্দ । সেই রাত্রেই বিধবা হইয়া পরদিন স্বামীর সঙ্গে চিতায় প্ৰাণবিসর্জন দিয়াছেন। সেই পুণ্যে এ জন্মে। তিনি স্বামীকে ছাড়েন নাই, স্বামী লাভের জন্য সেই পুণ্যে তিনি মৃত্যুর দ্বারদেশে আসিতে সাহস করিয়াছেন। এবার তিনি স্বামীকে পাইবেন, প্ৰতিবাদী বিধাতা এবার তাহার সুকঠোর Wo