পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী করিয়াছ, তন্মধ্যে আমরা যে তোমাকে নাচিতে আদেশ করিয়াছি, ইহাও সামান্য নহে ; কিন্তু স্বামীর জীবনের জন্য তুমি কি না করিতে পার, তাহাই পরীক্ষা করিবার জন্য আমরা এই আদেশ দিয়াছিলাম, এই অবস্থায় তুমি ভিন্ন কে নাচিতে পারিত ! এই উৎকট পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হইয়া তুমি আমাদিগকে লজ্জা দিয়াছ, যাহা হউক তোমার অভীষ্ট লাভ করিতে বিলম্ব হইবে না । দেব-সভ্য হইতে জয়-বিষহরি মাতার আহবান হইল । তিনি দেবসভায় নাই, তিনি ত বেহুলাকে স্বামীর প্রাণদান করিবেন, দেবসভায় ইহার পূর্বেই তিনি প্রতিশ্রুত ছিলেন ; নেতা-ধোপানী তাঁহাই শুনিয়া গিয়া বেহুলাকে আশ্বাস দিয়াছিলেন । এখন তিনি কি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিবেন ? দিকৃপালগণ বিষহরি মাতাকে খুজিতে লাগিলেন। চন্দ্রের দৃষ্টি জগতের প্রতি কোণে কোণে যায় না, এবং তিনি রাত্রি না হইলে ভাল দেখেন না ; তঁহার দ্বারা সন্ধান হইল না। সূৰ্য্য সারাদিন খুজিয়া রাত্রে রাতকাণা হইয়া পড়িলেন ; বিষহরি মাতার সন্ধান কেহ বলিতে পারিল না, তখন বেহুলা নাচুনীর মুখ শুকাইয়া গেল-ৰ্তাহার পােজর ভাঙ্গিয়া একটি দীর্ঘ শ্বাস পড়িল । সেই শ্বাসে দেবাদিদেব শিব অধীর হইয়া পড়িলেন, তিনি নিজদেহের ভস্ম-বিন্দু নেতা-ধোপানীর চক্ষে কজ্জলের ন্যায় পরিতে দিলেন। সেই বিভূতির কজ্জল পরিয়া নেতা, বিষহরিকে সন্ধান করিয়া দেবসভায় উপস্থিত করাইলেন। ইন্দ্র-চন্দ্ৰ-বায়ু-বরুণ একত্র হইয়া বিষহরি দেবীকে লক্ষ্মীন্দরের প্রাণদান করিতে অনুরোধ করিলেন, বেহুলা নম্রমুখ হইয়া দাড়াইয়া ব্লছিলেন । তখন মনসাদেবী সেই দেব-সভায় একে একে তঁাহার পরিতাপেরু