পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se. চৌদাডিঙ্গ লইয়া ছয় ভ্ৰাতাসহ লক্ষ্মীন্দর যাত্ৰা করিলেন। লক্ষ্মীন্দর ও বেহুলা এক ডিঙ্গাতে রহিলেন । সেদিন ত্রিবেণীর ঘাটে মন্দানিলচালিত কেতকীরেণু দম্পতির মুখে উড়িয়া পড়িতে লাগিল । বেহুলা বলিলেন, “মৃত্যুকালে তুমি কি কহিতে চেষ্টা করিয়া আমাকে বলিতে পার নাই, তোমার হস্তের ইঙ্গিতে আমি তোমার মুখের কাছে কান পাতিয়াছিলাম, তুমি কি বলিতে চেষ্টা করিয়া বলিতে পারিলে না, কেবল দুইটি নিশ্চল চক্ষের তারা আমার দিকে ন্যস্ত করিয়া রহিলে । এক একবার শিবচক্ষু হইয়া দৃষ্টি ছাড়িয়া যাইতেছিল, আবার ক্ষণমাত্র চক্ষু সুস্থ হইয়া নিম্ন-দৃষ্টি হওয়ামাত্র তাহা আমার দিকে ন্যস্ত করিয়াছিলে, কি বলিতে চাহিয়াছিলে তােহা বুঝিতে পারি নাই, কিন্তু তোমার অসীম প্ৰেম মুমূৰ্য-কালে দুইটি চক্ষুদ্বারা আমার বুকের মধ্যে লিখিয়া গিয়াছিলে, তোমার মুখ দেখিয়া আমার বুক ফাটিয়া যাইতেছিল, তখন মনে স্থির করিলাম, তোমার সঙ্গে চিতায় দগ্ধ হইলেও আমার শান্তি হইবে না, আমি তপস্যা দ্বারা ইহজীবনেই তোমাকে লাভ করিব।” এই কথা বলিতে বলিতে প্ৰফুল্লমুখী বেহুলার চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল। লক্ষ্মীন্দর সে কথা ভুলাইবার জন্য বলিলেন, “ঐ দেখ, গাবরগণ শিঙ্গা ফুকারিতেছে ও ত্ৰিবেণী-স্নান-রাত শত শত লোক আমাদিগের ডিঙ্গাগুলি দেখিতেছে ।” তীব্ৰগতিতে ডিঙ্গাগুলি বৈদ্যাপুর ছাড়িয়া নারিকেল-ডাঙ্গায় পৌছিল ; সেই খানে মনসার মন্দির ছিল, তথায় তঁাহার পুজা দিয়া ভঁাহারা পুনরায় ডিঙ্গা ছাড়িয়া দিলেন ও বোয়ালিয়া-ঘাট ছাড়িয়া জাগুলে। উপনীত KAR