পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা হইয়াছে, তাতাই আনন্দময়ের চন্দ্ৰবদনে ও ধূস্তুর পুষ্পের শুভ্রতায় প্ৰতিভাত। তদীয় গ্ৰীতি-ফুল্ল দৃষ্টিপাতে সমস্ত জগৎ কৈলাসপুরীর মহিমায় মণ্ডিত হয়, হলাহল পরাস্ত হয় এবং শাৰ্দ্দল ও মেষকে সথ্যসূত্রে আবদ্ধ করে । সদাগর দেখিলেন--দিগদিগন্ত সেই জ্যোতিৰ্ম্ময়ের রূপে উদ্ভাসিত । সেই জ্যোতিই পুরুষবারের অম্বর-স্বরূপ, মেঘমালার স্বর্ণচ্ছটা নিবিড় গাঢ় কৃষ্ণতা যেন তঁহারই যুক্ত জটাজুটরে ছায়ার ন্যায় দিগৃদিগন্তে ছড়াইয়া আছে, সেই রূপ যেন ক্রমশঃ জগতের সঙ্গে মিশিয়া যাইতেছে । যেন সেই চিতাভস্ম সংসারকে আসার প্রতিপন্ন করিয়া, নিত্য সত্যকে কবিত করিয়া দেখাইতেছে, যেন গঙ্গাধারার কলরব এই পৃথিবীর পরপারে। কোন আনন্দময় লোকের বাৰ্ত্তা ঘোষণা করিতেছে। সদাগর যুক্ত করে সেই মহামুক্তির প্রতি দৃষ্টিবন্ধ কৰিয়া জানু পাতিয়া বসিয়া রহিলেন, অশ্রুজিল চক্ষে উছলিয়া পড়িল । তখন তিনি শুনিতে পাইলেন, “তুমি মনসাকে আমার আত্মজা বলিয়া জানিও, তুমি তাহার মুখ দেখিবে না ও দক্ষিণহন্তে তাহার পূজা দিবে না বলিয়াছ, মুখ ফিরাইয়া বামন্থন্তে অঞ্জলি দিলেই তিনি গ্ৰীতা হইবেন।” দেখিতে দেখিতে সেই মূৰ্ত্তি অদৃশ্য হইল, সমস্ত জগৎ যেন ভূত-ভাবনের চিহ্নস্বরূপ হইয়া পড়িয়া রহিল । চন্দ্ৰধর উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, “আমি দক্ষিণহন্তে মন্তক ভূতলে আনত্র করিয়া তোমার আত্মজার পূজা প্ৰদান করিব।” Ak