পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী আপনা। আপনি তাহার চক্ষে অজস্র অশ্রুবিন্দু উপহার-স্বরূপ উদগত হইল, আপনা। আপনি ভক্তিভরে জাসুন্বয় নত হইল, অতি বিনীতভাবে তিনি বুদ্ধের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন, তখন বিস্ময়ের সহিত দেখিলেন, তথায় বৃদ্ধ নাই--সেই স্কলে জটাজুটমণ্ডিত, রজতাগিরিনিভকাস্তি, অঙ্গে ভস্মমাখা, ফণীর বলয়, ফপিতার ও ফণি-মুকুটে কলকল-নাদী গঙ্গাধারা বিধৌত জটাকলাপে, ফণিনীবিবন্ধ-বৃতান্ধীপিচৰ্ম্মাবৃত কটি-তটে, অৰ্দ্ধেন্দু * বিরাজিত বিশাল ললাটে সেই মুক্তি আকাশ-পথে দেদীপ্যমান। সদাগর আরও দেখিলেন, হরের ত্রিনেত্ৰ জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত । তঁহার সমস্ত কান্তিতে কাম-পরাজয়ের লক্ষণ বিদ্যমান । তাহাতে রাগ, দ্বেষ, ধৰ্ম্ম-অধৰ্ম্ম, পাপ-পুণ্যের চিহ্ন মাত্র নাই। সেই মূৰ্ত্তি দেখিবামাত্র সদাগর বুঝিলেন, তিনি নিজে কত দীনহীন। মহাদেবের দেহের চিতাভস্মে ঐহিক-সুখ ভস্ম হইয়া গিয়াছে, পরমানন্দ জাগ্রত রাখিয়াছে, আর ডাহার দেহের ধূলিকণা অঙ্গের মলিনতা জ্ঞাপন করিতেছে মাত্র। সদাগর অনুভব করিলেন, মহাদেবের কর্ণের ধূস্তুর-কুসুম হইতে অপূৰ্ব সুরভি নিঃস্থত হইতেছে ; স্বর্গ, মৰ্ত্তের কোন পুষ্পে তাহা নাই, তাহার অমল ধবল জ্যোতিতে জগতের সকল কুসুমের বর্ণ পরাস্তু। তাহার শরীর-বেষ্টী ত্ৰিলোক-স্ট্রীতিকর সৰ্পোের শব্দে যেন যোগিবরের পরমানন্দ উথলিয়া উঠিতেছে-যাহ অনিত্য, তাহারই ধ্বংস সেই শব্দে সুচিত হইতেছে । সদাগর বুঝিলেন, চন্দ্রচূড় বিশ্বাহিতের জন্য বিশ্বের বিষরাশি গ্ৰহণ করিয়াছেন, সেই বিষ ভঁাহার কণ্ঠকে নীলোজ্বল করিয়াছে, সেই বিষ সৰ্পরূপে তাহার সর্বাঙ্গে বিরাজিত ও তা হাই উহার কর্ণের ধুস্তুরকুসুমে জ্যোতিষ্মান। এই বিষ-সমূদ্র মন্থন করিয়া যে সুধার উৎপত্তি ዓ 8