পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী ১. জতুগৃহে তঁাহাকে রাখিয়া, অগ্নিতে সেই গৃহ দাহ করা যাকৃ; দ্বাপরে শ্ৰী রামচন্দ্ৰ-মহিষী এই অগ্নি-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন । ২. বেহুলাকে শূলে চড়াইয়া পরীক্ষা করা হউক, কলিতে ময়না-নিবাসী কর্ণসেনের পত্নী রঞ্জাবতী পুত্রার্থ এইরূপ পরীক্ষায় স্বয়ং ব্ৰতী হইয়াছিলেন । ня ৩. কালভূজঙ্গদংশনে বেহুলা রক্ষা পাইলে তাহার সতীত্ব প্ৰমাণিত হইবে ; উজানীনগরবাসী ধনপতি-সদাগরের স্ত্রী খুল্লনা এই পরীক্ষা দিয়াছিলেন । 蠟 বেহুলা যদি সতী হন, তবে এই তিন পরীক্ষায় উৰ্ত্তীৰ্ণ হইলে, তাহা প্রমাণিত হইবে এবং তঁাহাকে গৃহে রাখা যাইবে । নীলাম্বর দাস এই প্ৰস্তাব অনুমোদন করিলেন এবং চাদ-সদাগরকে সম্মতি দেওয়ার জন্য বাধ্য করিতে চেষ্টা পাইলেন। সদাগর। লজ্জায় ও ঘূণায় হেঁট মুখ হইয়া রহিলেন, জ্ঞাতিগণের বিরুদ্ধে সহসা কি করিবেন। ভাবিয়া পাইলেন না, র্তাহার মুখ ক্ৰোধে আরক্তিম হইয়া উঠিল। অন্তঃপুর হইতে বেহুলা এই উত্তেজিত আলোচনার সংবাদ পাইয়াছিলেন ; তিনি লঙজ॥৩) {গ ফরিয়া সেই সভায় উপনীত হইলেন, র্তাহার পদার্পণে একটা পুণ্যজ্যোতিঃ সভাগৃহের উপর পতিত হইল। তিনি অবনতমস্তকে যুক্ত করে সকলকে প্ৰণাম করিয়া বলিলেন, “আমার পরীক্ষার কোন প্ৰয়োজন নাই । আমি স্বামীর জীবন প্রার্থনা করিয়াছিলাম, তাহা লাভ করিয়াছি, তদবধি আমার সাধ পূর্ণ হইয়া গিয়াছে এখন আপনারা আমাকে বর্জন করিতে চাহিতেছেন, আমি নিজ হইতে বিদায় লইতেছি,” এই বলিতে বলিতে বেহুলা সেই সভাগৃহে ፱” ©