পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা ভারতবর্ষের একটা বিশেষ কথা আছে, যুগে যুগে ভারতবর্ষ সেই কথা বলিয়া আসিয়াছে। এ দেশে সে কথার ভাণ্ডার অফুরন্ত, সেই কথা বলিতে সেদিনও বঙ্গদেশে রামকৃষ্ণ ও রামমোহন আবিভূতি হইয়াছিলেন। প্রাজ্ঞমানী লোকেরা বিজ্ঞতার ভাণ প্ৰদৰ্শন-পূর্বক তাহা বাতুলের উক্তি রলিয়া উড়াইয়া দেয়, কিন্তু সে কথা এ দেশের সার কথা । কাবুলে যেরূপ বেদান জন্মে, বসোরায় যেরূপ গোলাপ জন্মেনিবৃত্তি ও ব্ৰহ্মানন্দের কথা সেইরূপ বিশেষভাবে ভারতের সামগ্ৰী । ভিন্ন দেশের লোকেরা সে কথার মৰ্ম্ম বুঝুকি আর না। বুক্সকআমাদের দেশে রাজা হইতে কৃষক পৰ্যন্ত সকলেই সেই কথার ভাবুক। এই ভাব বুঝিলে ভারতবর্ষের সর্বপ্রকার দৈন্য আমাদের চক্ষে ঘুচিয়া যাইবে। মনে হইবে ভারতবর্ষ একটি বিরাট দেবমন্দির। এখানে । দিবারাত্র পূজার কঁাসির, শঙ্খ, ঘণ্টা বাজিতেছে। কেহ চন্দন ঘষিতেছে, কেহ বিল্বপত্র ও তুলসীদাম চয়ন করিতেছে, কেহ সংকল্প করিয়া লক্ষ নাম জপ করিতেছে, কেহ নৈবেদ্য সজ্জা করিতেছে, ঘরে ঘরে ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত আছেন, গৃহস্থ পুত্ৰকলাত্ৰাদি লইয়া যেরূপ বিব্রত, সেই গৃহদেবতাকে লইয়াও তেমনি বিব্রত, তাহার সেবা এবং পরিচর্য্যার জন্য বরং তাহাকে বেশী ভাবিতে হয়। ভগবানকে এরূপ গৃহের গণ্ডীতে আনিয়া অপরিহার্য্য অন্তরঙ্গ করিয়া তুলিতে আর কোথায় দেখা যায় ? কোটি কোটি কণ্ঠের “মা” “মা” শব্দ, কোটি কোটি হন্তের পুষ্পাঞ্জলি জগন্মাতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত হইতেছে। এখানে প্রস্তরখণ্ড, মৃন্ময়ভূপ, ክዖቄ