পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা অশ্বখ বৃক্ষ সকলই ঠাকুরের প্রকাশ বুঝাইতেছে। এস্থানে ভগবানের নাম অগ্ৰে না লিখিয়া কেহ দু’কথা লিখিতে চাহে না, এখানে ভগবানের নাম ছাড়া সন্তানের অন্য কোন নাম রাখিয়া পিতা তৃপ্ত হন। না, ঠাকুরকে নিবেদন না করিয়া কেহ আহারে প্রবৃত্ত হয় না। এখানে যে বিপদই উপস্থিত হউক না কেন, কেহই স্বশক্তির উপর নির্ভর করে। না, “কোথায় দীনবন্ধু’ বলিয়া নিঃসহায়ভাবে তঁহারই কৃপা ভিক্ষা করে । এখানে পথে ঘাটে বৈষ্ণবের দল ঠাকুরের নাম কীৰ্ত্তন করিতেছে, মায়ের লীলা কল্পনা করিয়া আগমনী গাইতেছে। পঞ্জিকায় প্ৰতি তিথিতে গৃহস্থের জন্য ধৰ্ম্মকাৰ্য্যের ব্যবস্থা আছে। পার্থিব সুখ কিছুই নহে-তাহা বুঝাইবার জন্য শত শত বাউল একতারা লইয়া পল্লীতে পল্লীতে ঘুরিতেছে। যাত্রা, কথকতা, কবির গান-সমস্তই ভগবৎ লীলারসে মধুর, পল্লীর কৃষকও সেই ব্লসপানে উন্মত্ত । এই ধৰ্ম্মকথায়ই আমাদের ঐক্য । সেদিন অৰ্দ্ধোদয় যোগ উপলক্ষে যে গঙ্গার ঘাটে লক্ষ লক্ষ লোক একত্র হইয়াছিল, কে তাহাদিগকে ডাকিয়া আনিয়াছিল। কুম্ভমেলার সেই সিন্ধুর তরঙ্গের ন্যায় অগণিত যাত্রীর দল কাহার চেষ্টায় একত্র হইয়া থাকে । অন্য প্রসঙ্গে ডাকিতে যাও দেখিবে ঘরে ঘরে অনৈক্য। কিন্তু যে স্থানে প্ৰকৃত জীবনস্রোতঃ প্রবাহিত, সেখানে মুমূর্ষু ব্যক্তিও সজাগ ; সেও শুধু প্ৰাণত্যাগ করিয়া পুণ্য সঞ্চায়ের জন্য কাশীতে ছুটিয়া যাইতেছে। এই ধৰ্ম্মকথায়ই ভারতের কৰ্ম্মগৌরব ; তীর্থস্থানগুলিতে সৰ্ব্বপ্ৰকার কায়িক ক্লেশ উপেক্ষা করিয়া উপবাসকৃশ সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারী কি” অসামান্য অনুষ্ঠান করিতেছে। এখানে প্রীতি দেখিবে-ভারতীয় সাধুত্ব বদনারবিন্ধের সুধামধুর হাসিতে তাহা পাইবে ; ভোগ-বাসনা বিরহিত ত্যাগমহিমায় সমুজ্জ্বল সেই go