পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܒ রাজর্ষি ভরত সংসারে বীত-রাগ হইয়া বনে চলিলেন। জ্যেষ্ঠ রাজকুমাব রাষ্ট্রভৃতের সঙ্গে তৃতীয় কুমার আবরণের সদ্ভাব ছিল না । মহিষী পঞ্চজনী জ্যেষ্ঠ কুমারের পক্ষপাতী ছিলেন, এজন্য আবরণের সঙ্গে তঁাহারও মনান্তর ঘটিয়াছিল । রাষ্ট্রভৃৎ কতকটা উদার-প্রকৃতি, কিন্তু সহসা ক্রুদ্ধ হইয়া ক্ষিপ্তের ন্যায় কাৰ্য্য করিতেন ; এদিকে আবরণ স্ত্রীর বশীভূত ছিলেন, স্ত্রীর প্ররোচনায় তিনি জ্যেষ্ঠ কুমারের বিরক্তিকর নানাবিধ কাৰ্য্যে রত ছিলেন। দ্বিতীয় পুত্র সুদৰ্শন ংসারসম্বন্ধে অনভিজ্ঞ ও আমোদ-প্রিয় ; তিনি যখন দেখিতেন, ভ্রাতৃবিরোধে গৃহ দুঃসহ হইয়া উঠিয়াছে, তখন বংশীহস্তে একাকী মন্দা-নদীর তীরে যাইয়া ভৈরব-রাগ সাধনা করিতেন । ভরত গৃহে শান্তি-স্থাপনের জন্য নানা প্রকার উপায় উদ্ভাবন করিয়াছিলেন। জ্যেষ্ঠ কুমারকে তিনি অতিথিশালার ভার দিয়াছিলেন । সৰ্ব্বদা যথানিয়মে অতিথি-পরিচর্য্যায় নিযুক্ত থাকিলে হৃদয়ে মহস্তাব ও সেবা-বৃত্তি জাগ্রত হইবে, ভ্রাতৃ-বিদ্বেষের মূল এই ভাবে নষ্ট হইয়া যাইতে পারে, এই ভঁহার ধারণা ছিল । অতিথিশালায় রাজকুমারের পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দের উৎস সঞ্চারিত হইত, লোকে৷ শতমুখে তাহার প্রশংসা করিত, সামান্য ভূত্যের কাৰ্য্যও তিনি অনেক সময়ে নিজ হস্তে করিয়া অতিথিগণের সম্বৰ্দ্ধনা কৱিতেন । সমস্ত রাজধানীময় তঁাহার সুন্যশ: প্ৰচারিত হইয়াছিল । র্তাহার মান-অভিমান ছিল না-অকুষ্ঠিতভাবে তিনি কৰ্ত্তব্য-সম্পাদনে সৰ্ব্বদা নিযুক্ত ছিলেন। অথচ গৃহে আবরণের একটি কথায় তাহার s