পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী উচ্চভাব কোথায় চলিয়া যাইত! ভ্রাতৃ-বধু শান্তশীল। তৎসম্বন্ধে পরিজনগণের নিকট কোন প্রকার কুৎসা বা শ্লেষোক্তি করিয়াছেন। এরূপ শুনিলে রাষ্ট্রভৃতের জ্ঞান লুপ্ত হইয়া যাইত। ধনুর্ধারণপূর্বক ভ্রাতৃ-বধ করিতে অগ্রসর হইতেন । আবরণও তখন উন্মত্তের ন্যায় খড়গাঁ-হস্ত হইয়া দাড়াইতেন । রাজা স্বয়ং দুই ভ্রাতার মধ্যে পড়িয়া যেন দুইটি ক্ষুব্ধ সিংহকে পৃথকৃ করিয়া দিতেন। আবরণকে রাজা স্বীয় পরিচর্য্যায় নিযুক্ত রাখিতেন। সিস্নেহে তাহাকে গুরুজনের প্রতি ভক্তির উদাহরণ-স্বরূপ পূজ্যপাদ মহাপুরুষগণের কাহিনী শুনাইতেন। স্ত্রীবুদ্ধিতে যে অনেক সময় গৃহ নষ্ট হইয়া গিয়াছে, তাহ শুনাইতেন। বুদ্ধিমান পুত্রের এই সকল ইতিহাসের তাৎপৰ্য্য গ্ৰহণ করিতে কোনই বিলম্ব দেখা যাইত না। রাজা ভাবিতেন, সুবুদ্ধি পুত্রের এইবার চরিত্রের সংশোধন না হইয়া যায় না ; কিন্তু মাতাকে দেখামাত্র অনেক সময় অসহ্য বিরক্তিতে র্তাহার। ভ্ৰকুঞ্চিত হইত এবং শান্তশীলার নিকটে গাৰ্হস্থ্য-তত্ত্ব সংগ্ৰহ করিয়া তিনি মধ্যে মধ্যে উত্তেজিত স্বরে রাজাকে বলিতেন-“আমাদিগকে পৃথকৃ করিয়া দিন, কোন ক্রমেই মা ও দাদার সঙ্গে একগৃহে আর থাকা হইবে না ।” রাজা মহিষী পঞ্চজনীকে তঁাহার পক্ষপাতিদোষ ত্যাগ করিতে বলিলে তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া রাজাকে বলিতেন, “তোমার ন্যায়-অন্যায় বোধ নাই, কি ভাবে যে তুমি রাজ্যপালন কর, তাহা আশ্চৰ্য্য। এই দুই ভ্রাতার মধ্যে যে দোষী তাহাকে দণ্ড না দিয়া সখ্য স্থাপনের বৃথা প্ৰয়াস পাইতেছে।” রাজা গৃহ-বিবাদে একান্ত বিরক্ত হইলেন। যখন তাহার উদ্ভাবিত ତନ୍ଦ୍