রসিক। হাঁ ছুঁচে সুতো পরাচ্ছিলেন। (স্বগত) আর ত পারা যায় না।
শ্রীশ। আমি যেন ছবির মত স্পষ্ট দেখতে পাচ্চি―পা দুটি ছড়ানো, মাথা নীচু, খোলা চুল মুখের উপর এসে পড়েছে—বিকেল বেলার আলো―
বিপিন। (নিকটে আসিয়া) চন্দ্রবাবু তোমার সঙ্গে তোমার সেই প্রবন্ধটা সম্বন্ধে কথা কইতে চান। (শ্রীশের প্রস্থান) রসিক বাবু।
রসিক। (স্বগত) আর কত বক্ব?
(অন্য প্রান্তে) নির্ম্মলা। (পূর্ণর প্রতি) আপনার শরীর আজ বুঝি তেমন ভাল নেই।
পূর্ণ। না, বেশ আছে—হাঁ, একটু ইয়ে হয়েছে বটে—বিশেষ কিছু নয়—তবু একটু ইয়ে বই কি―তেমন বেশ—(কাশি) আপনার শরীর বেশ ভাল আছে?
নির্ম্মলা। হাঁ।
পূর্ণ। আপনি—জিজ্ঞাসা করছিলুম যে আপনি― আপনি আপনার ইয়ে কি রকম বোধ হয় ঐ যে—মিল্টনের আরিয়োপ্যাজিটিকা—ওটা কিনা আমাদের এম, এ, কোর্সে আছে ওটা আপনার বেশ ইয়ে বোধ হয় না?
নির্ম্মলা। আমি ওটা পড়িনি।
পূর্ণ। পড়েন নি? (নিস্তব্ধ) ইয়ে হয়েছে—আপনি—এবারে কি রকম গরম পড়েছে—আমি একবার রসিকবাবু—রসিকবাবুর সঙ্গে আমার একটু দরকার আছে। (নির্ম্মলার নিকট হইতে প্রস্থান)
(ঘরের অন্যত্র) বিপিন। রসিকবাবু, আচ্ছা, আপনার কি মনে হয় ওগানটা তিনি বিশেষ কিছু মনে করে লিখেছেন।
রসিক। হতেও পারে! আপনি আমাকে সুদ্ধ ধোঁকা লাগিয়ে দিলেন যে! পূর্ব্বে ওটা ভাবিনি।