পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।
১৮৫

অয়ি কুরঙ্গ তপোবন বিভ্রমাৎ
উপগতাসি কিরাতপুরীমিমাম্!

ভৃত্যের প্রবেশ।

 ভৃত্য। চন্দ্রবাবু এসেচেন।

 অক্ষয়। এইখানে ডেকে নিয়ে আয়।

(ভৃত্যের প্রস্থান)

 রসিক। একেবারে দারোগার হাতে চোর দুটিকে সমর্পণ করে দেওয়া হক্।

চন্দ্রবাবুর প্রবেশ।

 চন্দ্র। এই যে আপনারা এসেছেন। পূর্ণ বাবুকেও দেখচি!

 অক্ষয়। আজ্ঞে না, আমি পূর্ণ নই, তবু অক্ষয় বটে!

 চন্দ্র। অক্ষয় বাবু! তা বেশ হয়েছে, আপনাকেও দরকার ছিল!

 অক্ষয়। আমার মত অদরকারী লোককে যে দরকারে লাগাবেন তাতেই লাগতে পারি―বলুন কি কর্‌তে হবে?

 চন্দ্র। আমি ভেবে দেখেছি, আমাদের সভা থেকে কুমার ব্রতের নিয়ম না ওঠালে সভাকে অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ করে রাখা হচ্ছে! শ্রীশ বাবু বিপিন বাবুকে এই কথাটা একটু ভাল করে বোঝাতে হবে।

 অক্ষয়। ভারি কঠিন কাজ, আমার দ্বারা হবে কি না সন্দেহ!

 চন্দ্র। একবার একটা মতকে ভাল বলে গ্রহণ করেছি বলেই সেটাকে পরিত্যাগ করবার ক্ষমতা দূর করা উচিত নয়। মতের চেয়ে বিবেচনাশক্তি বড়। শ্রীশবাবু, বিপিন বাবু―

 শ্রীশ। আমাদের অধিক বলা বাহুল্য―

 চন্দ্র। কেন বাহুল্য? আপনারা যুক্তিতেও কর্ণপাত করবেন না?

 বিপিন। আমরা আপনারই মতে―