এই নবীন সভ্যটিকে আপনাদের হাতে সমর্পণ করে দিয়েই আমি চলে যাচ্চি।
রসিক হাসিয়া কহিলেন—আমার নবীনতা বাইরে থেকে বিশেষ প্রত্যক্ষগোচর নয়―
অক্ষয়। অত্যন্ত বিনয়বশতঃ সেটা বাহ্য প্রাচীনতা দিয়ে ঢেকে রেখেচেন―ক্রমশঃ পরিচয় পাবেন। ইনিই হচ্চেন সার্থকনামা শ্রীরসিকচক্রবর্ত্তী।
শুনিয়া শ্রীশ ও বিপিন সহাস্যে রসিকের মুখের দিকে চাহিল,― রসিকদাদা কহিলেন, পিতা আমার রসবোধ সম্বন্ধে পরিচয় পাবার পূর্ব্বেই রসিক নাম রেখেছিলেন, এখন পিতৃসত্য পালনের জন্য আমাকে রসিকতার চেষ্টা করতে হয়, তার পরে “যত্নে কৃতে যদি ন সিধ্যতি কোহত্র দোষঃ।”
অক্ষয় প্রস্থান করিলেন। ঘরে দুটি কেরোসিনের দীপ জ্বলিতেছে। সেই দুটিকে বেষ্টন করিয়া ফিরোজরঙের রেশমের অবগুণ্ঠন। সেই আবরণ ভেদ করিয়া ঘরের আলোটি মৃদু এবং রঙীন হইয়া উঠিয়াছে।
পুরুষবেশী শৈল আসিয়া সকলকে নমস্কার করিল। ক্ষীণদৃষ্টি চন্দ্রমাধব বাবু ঝাপ্সাভাবে তাহাকে দেখিলেন—বিপিন ও শ্রীশ তাহার দিকে চাহিয়া রহিল।
শৈলের পশ্চাতে দুই জন ভৃত্য কয়েকটি ভোজনপত্র হাতে করিয়া উপস্থিত হইল। শৈল ছোট ছোট রূপার থালাগুলি লইয়া শাদা পাথরের টেবিলের উপর সাজাইতে লাগিল। প্রথম পরিচয়ের দুর্নিবার লজ্জাটুকু সে এইরূপ আতিথ্যব্যাপারের মধ্যে ঢাকিয়া লইবার চেষ্টা করিল।
রসিক কহিলেন, ইনি আপনাদের সভায় আর একটি নবীন সভ্য। এঁর নবীনতা সম্বন্ধে কোন তর্ক নেই। ঠিক আমার বিপরীত। ইনি