পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

") ఫాశి দ্বাদশ বৎসর বয়সের সময় জাগঙ্গীর বাদসাঙ্গের দরবারে উপস্থিত হইয়াছিলেন। যে সময়ে তিনি জাহাঙ্গীরের নিকট উপস্থিত হন, সে সময়ে তাহার বয়স যে দ্বাদশের অনেক অধিক ছিল, তাহাতে কিছুমাত্র সলোহ নাই। কারণ তাহারই অব্যবহিত পরে তিনি মানসিংহের সহিত যশোরে আগমন করিয়া অদ্ভূত বীরত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন। এক্ষণে ঘটককারিকার এই দ্বাদশ বৎসরকে কিরূপে স্বীকার করা যাইতে পারে, তাহাই বিবেচ্য। এই সম্বন্ধে এইরূপ অনুমান হয় যে, বসন্তরায়ের হত্যার সময় কচুরায়ের দ্বাদশ বৎসর বয়ঃক্রম ছিল, অথবা তিনি দ্বাদশ বৎসর বয়সের সময় বাদসাহের দববাবে উপস্থিত হইয়াছিলেন । কিন্তু তখন আকবর বাদসাহই জীবিত ছিলেন । রামরাম বসু মহাশয় লিখিয়াছেন যে, কচুরায় কিছুকাল রাজধানীতে অবস্থিতি করিয়া বিদ্যা অধ্যয়ন করেন ও আমীরগণের নিকট পরিচিত হইয়া পরে বাদসহিদরবারে উপস্থিত হন। যদিও তিনি জাহাঙ্গীরের সময় কচুরায়ের উপস্থিতির কথা বলিয়া থাকেন। কচুরায় বিদ্যাধ্যয়ন করিয়া আমীব ওমরার সহিত পরিচিত হইতে অবশু কয়েক বৎসর অতিবাহিত হইয়াছিল । তাহ হইলে দ্বাদশ বৎসরের সময় তাহার আগর গমন নিতান্ত অসম্ভব বলিয়া বোধ হয় না। ১৫৯২ খৃঃ অব্দে ইশ থার মৃত্যুর পর কচুরায় আগর গমন করেন, এবং যে সময়ে ইশা খা উড়িষ্যার কর্তা সেই সময়ে অর্থাৎ ১৫৯০ হইতে ১৫৯২ খৃঃ অব্দের মধ্যে বসন্তরায় হত হন । তাহা হইলে তাহার আগরা যাত্রাকালে দ্বাদশ বৎসর বয়ঃক্রম হইলে বসন্তরায়ের হত্য সময়ে তাহার বয়ঃক্রম দশ বা একাদশ বৎসর ছিল । সুতবাং বসন্তরারের হত্যা বা কচুরায়ের আগর গমনের মধ্যে কিছুই ব্যবধান না থাকায় বসন্তরায়ের হত্যার সময়ে হউক বা তাহার আগরাগমনের সময়েষ্ট হউক কচুরায়ের বয়স দ্বাদশ বৎসর অনুমান কব যাইতে পারে। আমরা সকল বিষয়ের সামঞ্জস্ত করিয়৷ তাছার