পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ সহিত গৌড়ের সংযোগ ছিল। সে সময়ে রাজধানী রাজমহালে ছিল, রাজমহল ও গৌড় অধিক দূরবর্তী নহে। তৎকালে ঐ সমস্ত প্রদেশই গৌড় নামে অভিহিত হইত। সুতরাং রাজমহল বা গৌড় হইতে যশোর পৰ্য্যন্ত পথ গৌড়-বঙ্গের পথ বলিয়াই প্রসিদ্ধ হয়। উত্তরভাগে তাহার সে নাম প্রচলিত না থাকিলেও দক্ষিণভাগে তাহা উক্ত নামেই অভিহিত হইয়া আসিতেছে। রাজমহাল হইতে যশোর পর্যন্ত পথ যে মুর্শিদাবাদ নদীয়া ও ২৪ পরগণা জেলা অতিক্রম করিয়াছে, তাহ৷ সকলেই অনায়াসে বুঝিতে পারিতেছেন। মানসিংহ ক্রমে ক্রমে সুন্দরবনের মধ্যে প্রবেশ করেন, ও অবশেষে যমুনা বা ইচ্ছামতী পার হইয়া যশোর রাজধানীর নিকটন্থ মেীতলায় উপস্থিত হন। মেীতল হইতেই প্রতাপের সৈন্তের সহিত তাহার সংঘর্ষ উপস্থিত হয়। পরে যশোর দুর্গের নিকট পর্য্যন্ত র্তাহীদের রণক্রীড়ার অভিনয় হইয়াছিল। মেীতল হইতে যশোর পর্যন্ত সমস্ত স্থানই সে সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছিল । মানসিংহ মেীতলার নিকট সৈন্ত সমবেত করিয়া প্রতাপাদিত্যের সৈন্ত্যগণকে আক্রমণের জন্ত সচেষ্ট হন । * প্রতাপাদিত্যও আপনার সুশিক্ষিত সৈন্ত ও সেনাপতিগণসহ তাহাকে বাধা প্রদানের জন্ত অগ্রসর হইলেন। এই সময়ে তাহার সৈন্তগণ পটুগীজ সেনাপতিদিগের দ্বারা বন্দুক ও কামান পরিচালনে অভ্যস্ত হইয়াছিল। মোগল সৈন্তের মধ্যেও কামান প্রতাপাদিত্যের সহিত মানসিংহের যুদ্ধ । ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতেও তাঁহার হুগলী গমন করিয়া পারসী ভাষাদি শিক্ষা করিয়া কাননগো কর্য্যে নিযুক্ত হওয়ার কথাও আছে। ফলতঃ যে সময়ে মানসিংহ প্রতাপাদিত্যদমনে যাত্র করেন, সে সময়ে ভবানন্দ হুগলীর কাননগে৷ সেরেস্তায় কাৰ্য্য করিতেন। তৎপুর্বে তিনি প্রতাপাদিত্যের অধীনে কার্যা করিয়াছিলেন কিনা জানা যায় না। সে সম্বন্ধে কোন বিশিষ্ট প্রমাণ নাই। .

  • ঘটককারিকায় লিখিত আছে যে, মানসিংহ প্রথমে যশোর দুর্গের দক্ষিণ-পশ্চিম ভাগে সৈন্ত স্থাপন করিাছিলেন, তাহ প্রকৃত নহে। বশোরের দক্ষিণ-পশ্চিম ভাগে সংস