পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের স্বাধীনত এবং পরাধীনতা। মামুষের এমন দুরবস্থা কখন হইতে পারে না, যে তাহাতে শুভ কিছুই দেখা যায় না। আমাদিগের গুরুতর দুর্ভাগ্যেও কিছু না কিছু মঙ্গল খুজিয়া পাওয়া যায়। যে অশুভের মধ্যে ‘শুভের অনুসন্ধান করিয়া তাহার আলোচনা করে সেই বিজ্ঞ । দুঃখও যে কেবল দুঃখ নহে দুঃখের দিনে এ কথার আলোচমায় কিছু সুখ আছে। ভারতবর্ষ পূৰ্ব্বে স্বাধীন ছিল—এখন অনেক শত বৎসয় হইতে পরাধীন। নব্য ভারতবর্ষীয়ের ইহা ঘোরতর দুঃখ মনে করেন। আমাদিগের ইচ্ছা যে সেই প্রাচীন স্বাধীনতায় এবং আধুনিক পরাধীনতার একবার তুলনা করিয়া দেখি। দেখি যে দুঃখই বা কি মুখ কি । কিন্তু স্বাধীনতা, ও পরাধীনতা, এই সকল কথার তাৎপৰ্য্য কি, তাহা একবার বিবেচনা করা আবশ্যক হইতেছে। আমরা প্রাচীন ভারতবর্ষের সঙ্গে আধুনিক ভারতবর্ষের তুলনায় প্রবৃত্ত হইয়াছি। তুলনার উদেশ্য তারতম্য নির্দেশ। কিন্তু কোন, বিষয়ের তারতম্য আমাদিগের অনুসন্ধানের বিবয় ? প্রাচীগ তারত স্বাধীন আধুনিক ভারত পরাধীন, একথা বলিয়া কি উপকার? আমাদিগের বিবেচনায়, এরূপ তুলনায় একটা মাত্র উদ্দেশ্য এই হওয়া আবশ্যক, যে প্রাচীন ভারতে মনুষ্য স্বধী ছিল,কি আধুনিক ভারতবর্ষে অধিক সুখী? மு: