সাংখ্যদর্শন । ৩৭ পশ্চিমাংশে কাণফেঁড় যোগী উলঙ্গ হইয়া কদৰ্য উৎসৰ করিতেছে। সেই তন্ত্রের প্রসাদে আমরা দুর্গোৎসব বাঙ্গাল দেশের ছর কোটি লোক জীবন সার্থক করিতেছি। যখন গ্রামে গ্রামে, নগরে মাঠে জঙ্গলে শিবালয়, কালীর মন্দির দেখি, আমাদের সাংখ্য মনে পড়ে ; যখন দুর্গা কালী জগদ্ধাত্রী পূজার বাদ্য শুনি, আমাদের সাংখ্যদর্শন মনে পড়ে। অদ্যাপি শ্ৰীমদ্ভগবদগীত, সুশিক্ষিত প্রাচীন হিন্দুসম্প্রদায়ের প্রধান ধৰ্ম্মপুস্তক। সেই গীত মিশ্র পদার্থ। তৎপ্রণেতা যিনিই হউন, “বহুশাস্ত্র গুরূপাসনোপি সারাদানং ষট্ পদবৎ" সাংখ্য প্রবচনের এই বাক্যানুসারে তিনি কাৰ্য্য করিয়াছেন। কিন্তু অন্যান্য যেখান হইতেই তিনি সঙ্কলন করুন, সাংখ্য হইতে যাহা লইয়াছেন, তাহা জাজ্জ্বল্যমান। সাংখ্যদর্শন না হইলে তগবদগীতা হইত না । - সহস্ৰ বৎসর কাল বৌদ্ধধৰ্ম্ম ভারতবর্ষের প্রধান ধৰ্ম্ম ছিল। ভারতবর্ষের পুরাবৃত্ত মধ্যে যে সময়টি সৰ্ব্বাপেক্ষা বিচিত্র এবং সৌষ্ঠব লক্ষণযুক্ত, সেই সময়টিতেই বৌদ্ধধৰ্ম্ম এই ভারতভূমির প্রধান ধৰ্ম্ম ছিল। ভারতবর্ষ হইতে দূরীকৃত হইয়া, সিংহলে, নেপালে, তিব্বতে, চীনে, ব্রহ্মে, শ্যামে, এই ধৰ্ম্ম অদ্যাপি ব্যাপিয়া রহিয়াছে। সেই বৌদ্ধধর্মের আদি এই সাংখ্যদর্শনে। বেদে অবজ্ঞা, নিৰ্ব্বাণ, এবং নিরীশ্বরতা বৌদ্ধश्री ७३ लिनक्कै न्ठन : ७३ उिनीहे जै श्प्रिब कानूनत्र। উপস্থিত লেখক কর্তৃক ১.৬ সংখ্যক কলিকাতা রিবিউতে “বৌদ্ধধর্গ এবং সাংখ্য দর্শন” ইতি প্রবন্ধে প্রতিপন্ন করা হইয়াছে যে, এই তিনটিরই মূল সাংখ্যদর্শনে। নিৰ্ব্বাণ, সাংখ্যের মুক্তির পরিমাণ মাত্র। বেদের অবজ্ঞ,সাংখ্যে প্রকাশ্যে কোথাও 尊 彎 ৪র্থ অধ্যায়, ১৩ স্বত্র । घ
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৬
অবয়ব