সাংখ্যদর্শন। (t& সাংখ্যপ্রবচনের প্রথমাধ্যায়ের বিখ্যাত ৯২ স্বত্র এই কথার মূল। সে হুত্র এই ; “ঈশ্বরাসিদ্ধে।” প্রথম र्णहै एकतेि বুঝাইব । 時 স্বত্রকার প্রমাণের কথা বলিতেছিলেন। তিনি বলেন প্রমাণ ত্ৰিবিধ ; প্রত্যক্ষ, অম্বুমান, এবং শব্দ । ৮৯ সুত্রে প্রত্যক্ষের লক্ষণ বলিলেন, “ যৎ সম্বন্ধং সত্তদাকারোল্লেখি বিজ্ঞানং তৎ প্রত্যক্ষম।” অতএব যাহা সম্বন্ধ নহে, তাহার প্রত্যক্ষ হইতে পারে না। এই লক্ষণ প্রতি দুইটি দোষ পড়ে। যোগিগণ যোগবলে অসম্বদ্ধও প্রত্যক্ষ করিতে পারেন । ৯০॥৯১ স্বত্রকার সে দোব অপনীত করিলেন। দ্বিতীর দোষ, ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ নিত্য, তৎসম্বন্ধে সম্বদ্ধ কথাটি ব্যবহার হইতে পারে না । স্বত্রকার তাহার এই উত্তর দেন, যে ঈশ্বরই সিদ্ধ নহেন—ঈশ্বর আছেন, এমত কোন প্রমাণ নাই—অতএব তাহার প্রত্যক্ষ সম্বন্ধে না বৰ্ত্তিলে এই লক্ষণ দুষ্ট হইল না। তাহাতে তাষাকার বলেন যে দেখ, ঈশ্বর অসিদ্ধ ইহা উক্ত হইয়াছে, কিন্তু ঈশ্বর নাই, এমত কথা বলা হইল না । না হউক, তথাপি এই দর্শনকে নিরীশ্বর বলিতে হইবে। এমত নাস্তিক বিরল, যে বলে যে ঈশ্বর নাই। যে বলে যে ঈশ্বর আছেন, এমত কোন প্রমাণ নাই, তাহাকেও নাস্তিক বলা বায় । যাহার অস্তিত্বের প্রমাণ নাই,এবং যাহার অনস্তিত্বের প্রমাণ আছে, এষ্টণ্ডুইট পৃথক্ বিষয়। রক্তবর্ণ কাকের অস্তিত্বের কোন প্রমাণ নাই, কিন্তু তাহার অনস্তিত্বেরও কোন প্রমাণ নাই। কিন্তু গোলাকার চতুষ্কোণের অনস্তিত্বেৰ প্রমাণ আছে। গোলাকার চতুষ্কোণ মানিব না, ইহা নিশ্চিত ; কিন্তু রক্তবর্ণ কাক মুনিব কি না ? তাহার অনস্তিত্বেরও প্রমাণ নাই বটে, কিন্তু
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৪
অবয়ব