সাংখ্যদর্শন । WY বিষ্ণপুরাণে আছে, দেবাদির রূপ, নাম, কৰ্ম্ম, প্রবর্তন, বেদশা হইতে কৃষ্ট হইয়াছিল। অন্যত্র ঐ পুরাণে বিষ্ণুকে বেদময়, ও ঋগ যজুঃ সামাত্মক বলা হইয়াছে । মহাভারতের শাস্তিপৰ্ব্বেও আছে, যে বেদশা হইতে সৰ্ব্বভূতের রূপ নাম কৰ্ম্মাদির উৎপত্তি। ঋকৃসংহিতার ও ಜfಣ್ಣೆ' সংহিতার মঙ্গলাচরণে সায়নাচাৰ্য্য ও মাধবাচার্য্য লিখিয়াহেন, “বেদ হইতে অখিল জগতের নিৰ্ম্মাণ হইয়াছে।” এইরূপ সৰ্ব্বত্র বেদের মাহাত্ম্য। কোন দেশে কোন ধৰ্ম্মগ্রন্থের, বাইবল, কোরণ প্রভৃতি কিছুরই, ঈদৃশ মহিমা কীৰ্ত্তিত हग्न नाहे । এখন জিজ্ঞাস্য এই যে, যে বেদ এইরূপ সকলের পূৰ্ব্বগামী বা উৎপত্তির স্থল, তাহা কোথা হষ্টতে আসিল। এ বিষয়ে মতভেদ আছে । কেহ কেহ বলেন, বেদের কর্তা কেহ নাই । —এ গ্রন্থ কাহারও প্রণীত নহে, ইহা নিত্য এবং অপৌরুষেয় । অন্যে বলেন যে ইহা ঈশ্বরপ্রণীত সুতরাং কৃষ্ট এবং পৌরুষের। কিন্তু হিন্দুশাস্ত্রের কি আশ্চৰ্য্য বৈচিত্ৰ ! সকলেই বেদ মানেন কিন্তু বেদের উৎপত্তি সম্বন্ধে কোন ছুইখানি শাস্ত্রীয় গ্রন্থেয় ঐক্য নাই। যথা— - (১) ঋগ্বেদের পুরুষ সুক্তে আছে বেদ পুরুষ যজ্ঞ হইত্তে উৎপন্ন। (২) অথৰ্ব্ব বেদে আছে স্তম্ভ হইতে ঋগ যজুর্য, সাম অল্পীक्रिऊ झट्टेग्नांछिन । (৩) অথৰ্ব্ব বেদে অন্যত্র অাছে যে ইত্ৰ হইতে বেদের জন্ম। (৪) ঐ বেদের অন্যত্র আছে, ঋগ্বেদ কাল হইতে উৎপন্ন। •(৫) ঐ বেদে অন্যত্র আছে, বেদ গায়ত্রীমধ্যে নিহিত । 伤”
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭০
অবয়ব