Vepsi\oo 1 ÑOS ভারতচন্দ্র সে নিন্দার ভাগী হতে পারেন না ; আর যদি ভারতচন্দুের প্রশংসা হয় তো সে প্রশংসার উত্তরাধিকারী আমি নই। এ সম্পভবত সমালোচকের মাখে ভারতচন্দ্রের স্তুতি ব্যাজাস্তুতি, অর্থাৎ বণচোরা নিন্দা মাত্র। এখন এ স্থলে একটি কথা বলা আবশ্যক যে, যো-জাতীয় নিন্দা-প্ৰশংসার আমরা অধিকারী ভারতচন্দ্র সেछाडौन निन्गा-थभरनाव्र वशिष्ट्रेड। ভারতচন্দ্র আজ থেকে প্রায় একশো আশি বৎসর পবে ইহলোক ত্যাগ BDS BB BDBD BDBDD DBDD DBD BDDB DS DBDD DB BB DDu DS এমন-কি, তাঁর রচিত সাহিত্য নিয়ে আজও আমরা উত্তেজিত ভাবে আলোচনা করছি। অপর পক্ষে আজ থেকে একশো আশি বৎসর পরে বাংলার ক'জন সাহিত্যিকের নাম বাঙালি জাতি মনে করে রাখবো? আমার বিশবাস, বতমান সাহিত্যিকদের মধ্যে একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য কালের পরীক্ষায় উত্তীণ হবে। এতদ্ব্যতীত আরো দ-এক জনের নাম হয়তো আগামীকালের বঙ্গ সাহিত্যের কোনো ইতিহাসের ভিতর খাঁজে পাওয়া যাবে ; বাদবাকি আমরা সব জলবাদীবাদ, জলে মিশিয়ে बाद । আর-একটি কথা আপনাদের সমরণ করিয়ে দিতে চাই যে, গত একশো আশি বৎসরের মধ্যে ভারতবর্ষের সভ্যতার আমল পরিবতন ঘটেছে। দেশ এখন ইংরেজের রাজ্য ; আমাদের কম জীবন এখন ইংরেজরাজের প্রবতিত মােগ অবলম্বন করেছে। ইংরেজি শিক্ষাদীক্ষার ফলে আমাদের মনোজগতেও বিপ্লব ঘটেছে। অথচ দেশের লোকের জীবনে ও মনে এই খন্ডপ্রলয়ের মধ্যেও ভারতচন্দ্র চিরজীবী হয়ে রয়েছেন। এরই নাম সাহিত্যে অমরতা। আর এ ক্ষেত্রে সমালোচনার কােষ লৌকিক নিন্দা-প্ৰশংসা নয়, এই অমরতার কারণ আবিস্কার করা ; কিন্তু তা করতে হলে মনকে রাগক্ষোিবষ থেকে মন্ত করতে হয়। অথচ দাবিনীত সাহিত্যে রাগই পরিষের লক্ষণ বলে গণ্য। O সকল দেশের সকল সাহিত্যেরই এমন দ্য-একটি সাহিত্যিক থাকেন, যাঁরা লোকমতে যােগপৎ বড়ো লেখক ও দন্ট লেখক বলে গণ্য। উদাহরণ সম্বরপ ইতালিদেশের মাকিয়াভেলির নাম করা যেতে পারে। মাকিয়াভেলির The Prince সাহিত্য হিসেবে ও রাজনৈতিক দশন হিসেবে যে ইউরোপীয় সাহিত্যের একখানি অপবর্ণ ও অতুলনীয় গ্রন্থ এ কথা ইউরোপের কোনো মনীষী অস্বীকার করেন না, অথচ মাকিয়াভেলি নামটি গাল হিসাবেই প্ৰসিদ্ধ। আমাদের ভাষার ক্ষমাদ্রপ্রাণ সাহিত্যে ভারতচন্দ্রের নামটিও উক্ত পৰ্যায়ভুক্ত হয়ে পড়েছে। ভারতচন্দ্রের এ দানামের মলে কতটা সত্য আছে, সেটা এখন যাচিয়ে দেখা দরকার। কারণ কুসংস্কার মাত্রই কালক্রমে সমাজে সমসংস্কার বলে গণ্য হয়। সাহিত্যসমাজেও অনেক সময়ে উক্ত হিসেবে কু সি এবং সা কু হয়ে উঠে। S8
