পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NS bf প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ কিন্তু তিনি যেই মতো পড়েছিলেন, সেই মতো লেখেন নি কেন, তাই বৰ্ব্বলে সাহিত্যের ধম যে কি, সকলের কাছেই তা পাট হয়ে উঠবে। এ যাগে আমরা কোনো কবির জজ কিংবা উকিলকে ক্ৰিটিক বলে গণ্য করি নে, সাহিত্যসমাজের পাহারাওয়ালাদের তো নয়ই। তাঁকেই আমরা যথাৰ্থ সমালোচক বলে স্বীকার করি, যিনি সাহিত্যরসের যথাৰ্থ রসিক। এ জাতীয় রসগ্রাহীরা জানেন যে, সাহিত্যের রস এক নয়, বহর এবং বিচিত্র। সতরাং কোন লেখকের লেখায় কোন বিশেষ রস বা বিশেষ গণ ফটে উঠেছে তাই যিনি ধরতে পারেন ও পাঁচজনের কাছে ধরে দিতে পারেন, তিনিই হচেছন যথাৰ্থ ৱিকটিক। SR এখন, ভারতচন্দ্রের কাব্যে প্রসাদগণ যে অপােব, এ সত্য এতই প্রত্যক্ষ যে, সে-গণ সম্পবন্ধে কোনো চক্ষন্মান বাঙালির পক্ষে অন্ধ হওয়া অসম্পভব। এখন, এই সবআলংকারিক-পাজিত গািণটি কি ? যে লেখা সব সাধারণের কাছে সহজবোধ্য সেই লেখাই কি প্রসাদগণে গণান্বিত ? তা যদি হত, তা হলে কালিদাসের কবিতার চাইতে মল্লিনাথের টীকার প্রসাদগণ ঢের বেশি হত। তা যে নয় তা সকলেই জানে। প্রসাদগণ হচেছ ভাষার একটি বিশিষট রূপ। ভারতচন্দ্রের হাতে বঙ্গসরস্বতী একেবারে ‘তন্বীশ্যামা শিখরদশনা” রােপ ধারণ করেছেন। যাঁর অন্তরে বওগ ভাষা। এই প্রাণবন্ত সবাঙ্গসন্দর রােপ লাভ করেছে, তাঁর যে কবিপ্রতিভা ছিল, সে বিষয়ে তিলমাত্ৰ সন্দেহ নেই। বাংলা ভাষাকে শাপমাক্ত করা যদি তাঁর একমাত্র কীতি হত তা হলেও আমরা বাঙালি লেখকেরা তাঁকে আমাদের গাের বলে। স্বীকার করতে তিলমাত্র দ্বিধা করতুম না। অমন সরল ও তরল ভাষা তাঁর পর্বে আর কেউ লিখেছেন বলে আমি জানি নে। আর আমি অপর কোনো সাহিত্য BDDD BB DSBDBS DDDDD DDDB BDB BBB BDD আমি পাবোেন্ত ইংরেজি প্রবন্ধে চন্ডীদাসের পদাবলীর ভাষার মহা গণকীর্তন করি, কিন্তু সে ভুল করে। সেকালে আমার চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের সঙ্গে পরিচয় ছিল না। এখন দেখছি উক্ত পদাবলীর ভাষা শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ভাষা নয়। নবদ্বীপ ও শান্তিপরের চৈতন্যপন্থী বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের মাখে। রূপান্তরিত হয়েই চন্ডীদাসের পদাবলীর ভাষা যে তার বর্তমান রােপ লাভ করেছে, সে বিষয়ে আমি এখন নিঃসন্দেহ। প্রাচীন বঙ্গ সাহিত্যের হিস্টরি লেখা হয়েছে, কিন্তু এখনো সে সাহিত্যের জিয়োগ্রাফি লেখা হয় নি। যখন সে জিয়োগ্রাফি রচিত হবে তখন সকলেই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন যে, ভারতচন্দ্রের এ উক্তি সত্য যে, নবদ্বীপ সেকালে ছিল ভারতীর রাজধানী ক্ষিতির প্রদীপ । আমি বলেছি যে, প্রসাদগণ ভাষার গণ, কিন্তু এ কথা বলা বাহাল্য যে, ভাষা ছাড়া ভাব নেই। নীরব কবিদের অস্তিত্বে আমি বিশবাস করি নে। যা আমরা ভাষার গণ বলি তা হচ্ছে মনের গণেরই প্রকাশ মাত্র। অপ্ৰসন্ন অর্থাৎ ঘোলাটে