পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

81-8 দক্ষিণ ভারত থেকে বোধিধৰ্ম্ম নামে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী চীনে গিয়ে প্রচার করেন। বোধিধৰ্ম্ম এখন ও চীনে Ta-mo “ত-মো’ আর জাপানে Daruma ‘দারুমা’ নামে পূজিত হয়ে আসছেন। তার প্রবর্তিত ধ্যানবাদ চীনে chanআর জাপানে Zen নামে পরিচিত ; সংস্কৃত "ধ্যান’ শব্দ, প্রাকৃতে "ঝাণ’, এখন চীনে ‘ছান’, আর জাপানে ‘জেন রূপে উচ্চারিত হয়। ধ্যানের দ্বারা বৌদ্ধ ধর্শ্বের গভীর দার্শনিক তথ্য গুলি এরা উপলব্ধি করবার প্রয়াস করেন। পাশের ছোটো টেবিলে এদের ধৰ্ম্ম গ্রন্থ-চীনা অনুবাদে—অবশু পঠনীয় বৌদ্ধ স্বত্র রাখেন, কেউ বা মূৰ্ত্তি রাখেন, জপমালা রাখেন। রুমাল, চায়ের বাটাও রাখেন। ধ্যান মন্দিরের উপরের তালায় ভিক্ষুদের সারি সারি বাসের কুঠরী ; সে জায়গাট আমাদের দেখা হয় নি। ধ্যান মন্দিরের পাশে ( আঙিনার বা ধারে, কোণে ) একটি দরজা দিয়ে বিহারের আর একটি অংশে যাবার পথ ; সেখানে ঢুকেই একটি বড়ো ঘর ; তার আৰ্দ্ধেকট খোলা আৰ্দ্ধেকটা ছাত-ঢাকা, খোলা অংশে একটি কৃত্রিম প্রস্রবন আর একটি ছোটো কৃত্রিম পাহাড় ; আর ঢাকা অংশটি চীনা টেবিলে, বইয়ের আলমারীতে ছবিতে মূৰ্ত্তিতে একটি চীনা বৈঠকখানার মতন করে সাজানো। এই জায়গাট হ’চ্ছে বিহারের অধ্যক্ষের খাস কামরা, এখানে তিনি সমাগত লোক জনের সঙ্গে আলাপ করেন ; এর পাশেই একটা ঘর, সেটি তার শয়ন-গৃহ আর পাঠ-গৃহ। এর পরে বড়ো ঠাকুর ঘরের ঠিক পিছনকার ঘর গুলিতে গেলুম ; এখানে নীচের তালায় কতকগুলি ঘরে নানা দেবতার মুৰ্ত্তি—কাঠে খোদা, আর মাটির—ছোটো, বড়ো; বৌদ্ধ মূৰ্ত্তি—নানা বোদ্ধিসত্ত্ব, পৃ-তাই বা মৈত্রেয়, ‘কুমানয়িন বা অবলোকিতেশ্বর, ব্ৰহ্মা ইন্দ্র, নানা দিকপাল ; আর প্রাচীন চীনেরও দেবতা, চীনাদের দেবলোকে যাদের পাশাপাশিই ভারত থেকে আগত বৌদ্ধ দেবতাদের স্থান হয়েছে। এর পরে, কাঠের সিড়ি ব’য়ে দোতালায় উঠলুম— এখানে বিহারের পুস্তকালয়। মাঝারী আকারের একটি ঘর, জু দিকে তার বারাণী—একটা বারান। ভিতরের আঙিনার দিকে আর একটি বাইরের দিকে, সেখানে দাড়লে গাছ-পালায় ঢাকাউচু পাহাড়ের মতন একটু জায়গা দেখতে পাওয়া যায়। ঘরে এক পাশে কোন বোধিসত্ত্বর মূৰ্ত্তি— মধুত্র বোধ হয় হবেন–র্তার সামনে ৰূপ জালানো রয়েছে। কাজ-করা আবলুস কাঠের আলমারী,আলমারীতে সব চীনে বই । একজন ভিক্ষু সেখানে ব’সে বই পড়ছিলেন, মঞ্জুত্র মূর্তির সামনে। ফ্যঙ আর সঙ্গের বিহারের ভূতাটি জামাদের পরিচয় দিতে তিনি কেবল মত মস্তকে মনোহর ভঙ্গীতে আমাদের অভিবাদন করলেন। aई छांब श्वान AMMM MAMA SAMAMAMAAA AAASA SAASAASSAMMAMSYAMMMeeAMAMAMMAeeMeMeeeMeeM MAeMAeAeee [ ২৮শ ভাগ, ১ম ૧૭ లాబ్సూస్కోr్కr^^^^^^^^.*A চেয়ার আর ছোটো টেবিল আছে, বেশ শাস্তিতে পড়া শুনা করার জায়গা। লাইব্রেরী থেকে নেমে নীচে এলুম। আঙিনার ডান ধারের ঘরে এই বার যাবো। মাঝে একটা ঘর নোতুন করে মেরামত করা হচ্ছে, সেই ঘরেও মূৰ্ত্তি থাকৃতো। আঙিনার ডান ধারের ঘরটিতে হচ্ছে বিহারের খাবারের জায়গা । ভোজনশালায় ঢোকবার পথে, বড়ো ঠাকুর ঘরের কা-ছ, আঙিনার ধারের রোয়াকের উপর, মানুষ-সমান উচু কাঠের তেকাঠা থেকে ঝুলছে একটা মন্ত কাঠের মাছ, তার পাশে একটী ছোটো কাঠের হাতুড়ী। এটী বিহারের ভিক্ষুদের জন্ত ঘণ্টার কাজ করে ; হাতুড়ী দিয়ে কাঠের মাছে ঘা মারলে টং-টং ক'রে কতকটা ধাতব আওয়াজ বার হয়। এই আওয়াজ শুনে ভিক্ষুরা শয্যা ত্যাগ করেন, মন্দিরে অর্চন করবার জন্ত উপাসনার জন্ত সমবেত হন, ধ্যানের ঘরে বান, আহারের জন্ত উপস্থিত হন। আমরা সমস্ত জিনিস তন্ন তন্ন ক’রে খুব আগ্রহের সঙ্গে দেখছিলুম। এদিকে ঘণ্ট। দেড় কি দুই কেটে গেল, বেলা বারোটা। একজন ভিক্ষু বললেন, আমরা ওখানে খেলে তারা তার খুশী হবেন। সকালে সিগলাপে প্রাতরাশ ক’রে বেরিয়েছি, নামাজীদের অতিথিপরায়ণতার গুণে তার পরিপাটি ব্যবস্থাই ছিল, থিদে তেমন পায়নি, তবুও চীনা বৌদ্ধ বিহারে সেবা' কেমন হয় দেখবার জন্ত রাঙ্গী হলুম। বিশেষ যখন দেখলুম যে ফ্যঙ আর তার ভাগনের-ও ইচ্ছে যে আমরা বিহারের এই অঙ্গটার-ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাই । ভোজনশালায় প্রদেশ করা গেল। বাইরে থর উজ্জ্বল আলো, ভিতরটার বেশ কম আলে, আর খুব ঠাও। চেয়ারে টেবিলে আর এক পাশে রেলিং দেওয়া জায়গায় মস্ত মস্ত টেবিলে বড়ো বড়ো গামলায় আর অন্ত পাত্রে ভাত তরকারী সমস্ত সজ্জিত থাকায়, ভোজনশালায় ভিতরটার যেন একটা বাজারে হোটেল বা রেস্তোরীর ভাব। কিন্তু সমস্তটা পরিপাট পরিষ্কার আর পরিচ্ছন্ন। হাত-মুখ ধুয়ে এসে আমরা পাঁচ জনে একটি টেবিলের চার ধারে বসলুম। অন্ত টেবিলে লোক নেই, খালি একটি টেবিলের ধারে দু জন বধিয়সী চীনা মহিলা বসেছেন—সেই সনাতন চীনা পোষাকে – ছাতার কাপড়ের মতন দেখতে কালো রেশমের চীনা কোর্ভ চাপকানের মতন এক ধারে বোতাম দিয়ে আঁট, আর আঁট পাজামা । ফ্যঙ ব’ললেন ষে বৌদ্ধ বিহারে মাছ মাংস ডিম চৰ্ব্বি এ সব একেবারে নিষিদ্ধ, ভিক্ষুরা সকলেই নিরামিষাশী, মন্দিরের চাকর যাকরেরাও তাই। বহু ধৰ্ম্ম প্রাণ বৌদ্ধ, চীনা মেয়ে আর পুরুষ আছেন, ধারা মাছ মাংস খাওয়া পাপ মনে করেন। চীনা গৃহস্থের বাড়ীতে বা বাজারের চীন হোটেলে মাছ মাংসের পাট থাকবেই,