পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা অরবিন্দ ঘোষ (; e% যুদ্ধে সীতাকে রাবণের হাত থেকে উদ্ধার ক’রে আনলেন। কিন্তু রাবণের চেয়ে শত্রু দেখা দিল তার নিজেরই মধ্যে । রাজ্যে ফিরে এসে রামচন্দ্র সীতার মহিমাকে রাষ্ট্রনীতির আশু প্রয়োজনে খৰ্ব্ব করতে চাইলেন,-ৰ্তাকে বললেন, সৰ্ব্বজন-সমক্ষে অগ্নিপরীক্ষায় অনতিকালেই তোমার সত্যের পরিচয় দাও। কিন্তু একমুহূর্তে জাদুর কৌশলে সত্যের পরীক্ষা হয় না, তার অপমান ঘটে । দশজন সত্যকে যদি না স্বীকার করে, তবে সেটা দশজনেরই দুর্ভাগ্য, সত্যকে যে সেই দশজনের ক্ষুদ্র মনের বিকৃতি অনুসারে আপনার অদম্মান করতে হবে এ যেন না ঘটে। সীতা বললেন, আমি মুহূৰ্ত্তকালের দাবী মেটাবার অসন্মান মানব না, চিরকালের মতো বিদা : নেবে। রামচন্দ্র এক নিমিষে সিদ্ধি চেয়েছেন, একমুহূর্তে সীতাকে হারিয়েছেন। ইতিহাসের যে উত্তরকাণ্ডে আমরা এসেছি এই কাণ্ডে আমরা তাড়াতাড়ি দশের মন-ভোলানো সিদ্ধির লোভে সত্যকে কারাবার পাল! আরম্ভ ক’রেছি । বন্ধু ক্ষিতিমোহন সেনের দুলভ বাক্যরত্নের বুলি থেকে একদিন এক পুরাতন বাউলের গান পেয়েছিলুম। ডার প্রথম পদটি মনে পড়ে ;--- “নিঠুর গরজী, তুই কি মানস মুকুল ভাজ বি আগুনে ?” যে মানসমুকুলের বিকাশ সাধনসাপেক্ষ, দশের সাম্নে অগ্নিপরীক্ষায় তার পরিণত সত্যকে আপ্তকালের গরজে সপ্রমাণ করতে চাইলে আয়োজনের ধূমধাম ও উত্তেজনাট থেকে যায়, কিন্তু তার পিছনে মানসটাই অস্তুৰ্দ্ধান করে । এই লোভের চাঞ্চলে সৰ্ব্বত্রই যখন সত্যের পীড়ন চ'লেছে তখন এর বিরুদ্ধে তর্ক-যুক্তিকে খাড়া করে ফল নেই ; মানুষকে চাই ; ষে মানুষ বাণীর দূত, সত্য সাধনায় স্বদীর্ঘ কালেও যার ধৈর্য চুতি ঘটে না, সাধনপথের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সত্যেরই অমৃত পাথেয় র্যাকে আনন্দ্বিত রাখে। আমরা এমন মানুষকে চাই যিনি সৰ্ব্বাঙ্গীন মানুষের সমগ্রতাকে শ্রদ্ধা করেন। একথা গোড়াতেই মেনে নিতে হবে, যে, বিধাতার কৃপাবশতই गर्फींनौन भांकूषाः नइछ नम्र, धांछ्रु छफ्रैिंण । ठांब्र शख्न्-ि রূপের জঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বহু বিচিত্র । কোনো বিশেষ অপ্রশস্ত আদর্শের মাপে ছেটে একঝোক ভাবে তাকে অনেক দূর বাড়িয়ে তোলা চলে। মানুষের মনটাকে যদি চাপ দিই তবে চোখ বুজে গুরুবাক্য মেনে চলার ইচ্ছা তার সহজ হতে পারে। বুঝিয়ে বলার পরিশ্রম ও বিলম্বটাকে খাটো ক’রে দিতে পারলে মনের শক্তি বাড়ানোর চেয়ে মনের বোঝা বাড়ানো, বিদ্যালাভের পরিবর্তে ডিগ্রিলাভ সহজ হয়। জীবনযাত্রাকে উপকরণশূন্য করতে পারলে তার বহনভার ক’মে আসে। তবুও সহজের প্রলোভনে সবচেরে বড় কথাটা ভুললে চলবে না যে আমরা মানুষ, আমরা সহজ নই। - তিব্বতে মন্ত্রজপের ঘূর্ণিচাকা আছে। এর মধ্যে মামুষের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায় ব’লেই আমাদের মনে অবজ্ঞা আসে। সত্যকার মন্ত্রজপ একটুও সহজ নয় । সেটা শুদ্ধমাত্র আচার নয়, তার সঙ্গে আছে চিত্ত, আছে ইচ্ছাশক্তির একাগ্ৰতা । হিতৈষী এসে বললেন, সাধারণ মামুষের চিত্ত অলস, ইচ্ছাশক্তি দুৰ্ব্বল, অতএব মন্ত্রজপকে সহজ করবার খাতিরে ঐ শক্ত অংশগুলো বাদ দেওয়া যাক্—কিছু না ভেবে না বুঝে শব্দ আওড়ে গেলেই সাধারণের পক্ষে যথেষ্ট । সজীব ছাপাখানার মতো প্রত্যহ কাগজে হাজারবার নাম লিথ লেই উদ্ধার। কিন্তু সহজ করবার মধ্যেই যদি বিশেষ গুণ থাকে তবে আরো সহজইবা ন করব কেন ? চিত্তের চেয়ে মুখ চলে বেগে, মুখের চেয়ে চাকা, অতএর চলুক চাকা, মরুক চিত্ত। কিন্তু মানুষের পন্থ সম্বন্ধে ষে-গুরু বলেন, “দুর্গংপথগুৎ,” তাকে নমস্কার করি । চরিতার্থতার পথে মাকুবের সকল শক্তিকেই আমরা দাবী করবো । বহুলতা পদার্থটিই মন্দ, এই মতের খাতিরে বলা চলে যে, ভেলা জিনিষটাই ভালো, নৌকাটা বজ্জনীয়। এক সময়ে অত্যন্ত সাদাসিধে ভেলায় অত্যন্ত সাদাসিধে কাজ চলতো । কিন্তু মানুষ পারলে না থাকৃতে,কেন না সে সাদাসিধে নয়। কোনমতে স্রোতের উপর বরাৎ দিয়ে নিজের কাজ সংক্ষেপ করতে তার লজ্জা । বুদ্ধি ব্যস্ত হয়ে উঠলো, নৌকোর হাল লাগালে, দাড় বানালে, পাল দিলে তুলে, বাশের লগি আনলে বেছে, গুণ টানার উপায় ক’লে, নৌকোর উপর তার কর্তৃত্ব নানাগুণে নানাদিকে বেড়ে یحییهای اجتماعی معمامه