পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যবদ্বীপের পথে ঐ মুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় ( s ) মালাই দেশে—মালাক্কা २१rनं खूशाहे **२१, यूक्ष्यांब्र । আমাদের জাহাজ সকাল সাড়ে ছটা-সাতটার মধ্যে মালাক্কা শহরের সামনে এসে দাড়াল, লঙ্গর ফেলে দিলে। আকাশ একেবারে পরিষ্কার নয়, ছেড়া ছেড়া মেঘে হাওয়া দিচ্ছে একটু একটু-সমুদ্রের জল হালকা সবুজ, তাতে একটু পাগুটে রঙের আমেজ ; ছোটো থাটো ঢেউ বেশ রয়েছে, জাহাজের গায়ে পড়ে ছপ ছপ শখের সঙ্গে ভেঙে পড়ছে। মালাক্ক শহর দূরে ; জাহাজ থেকে একেবারে শহরে নামৃতে পারা যায় না, ডিঙি ক’রে যেতে হয় । চারদিকে ছোটে বড়ো নৌকা সাম্পান এসে হাজির হ’ল । জামাদের মালাক্কা থেকে নিয়ে যেতে লোক আসবে, সেইজন্ত আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হ’ল । ডেকযাত্রীরা, আর অন্ত সব যাত্রী নৌকায় ক’রে নাম্বার জম্ভ তৈরী হতে লাগল। ইতিমধ্যে জাহাজেই আমরা প্রাতরাশ পেরে নিলুম। ডেকের রেলিংএর উপর ভর দিয়ে অন্ত যাত্রীদের অবতরণ দেখতে লাগলুম। নৌকাগুলির মাল্লারা বেশীর ভাগ মালাই জাতীয় । আমাদের জাহারে পূর্বকথিত মালাই কারীদের অভ্যর্থনা করে निरग्न बांदांब्र अछ ठांप्मद्र श्रांशीघ्र वकूबl ७कशांना cनोएक ক’রে এসেছে। এর বহুদিন পরে বাড়ী ফিরছে, সফল বাত্রা, মুসলমানমাত্রের প্রার্থিত হাজী পদবী নিয়ে ফিরছে ; মেয়ে পুরুষে সকলেই ভালো ভালো কাপড় বা’র ক’রে প’রেছে। একটা জিনিস লক্ষ্য করলুম—কতকগুলিমালাই— জন জুই স্ত্রীলোক, জন তিনচার পুরুষ—তাদের মুলার রঙীন মালাই সারং আর কোর্তার বদলে পুরাপুরি আরব পোষাক পরে তৈরী হয়েছে—পুরুষদের কালো কাপড়ের লম্বা আব, ভিওয়ে সাদা চাপকানের মতন, মাথায় আরবী কায়দায় কাধ আর ঘাড় ঢেকে একখানা বড়ো তোয়ালের মতন রুমাল, তার উপরে ছোটো পাগড়ী একট, পায়ে আরবী চাপ লী ; জার মেয়েদেয় পরণেও কালে কাপড়ের লম্বা “লণ্ডব" বা বর্বিাণ, আৰ “বুরকা” বা মুখঢাকা ওড়না ; একেবারে “মকৃষ্ণ বুড়ী’র সাজ-কালো রঙের ছাতার কাপড়ের এই পোষাক অত্যন্ত বিস্ত্রী দেখাচ্ছিল, মুঠাম রঙীন সারং अॉब्र श्वभ्रेम गब्रा, थांब्र ८नांनाञ्च भग ८म७ब्रां षनिभाछ চটজুত্যপরামালাই মেয়েদের পাশে। বোধিও বীপে কঙক গুলি মুসলমান রাজবংশে এখন এই আরব পোষাক দরবারী পোষাক হিসাবে গৃহীত হয়েছে। যাকৃ, দেশে ফেরার উৎফুর আননে এর ব্যস্ত সমস্ত হয়ে নেমে গেল, নীচে নৌকায় অপেক্ষমান আত্মীয়াদের সঙ্গে মেয়েদের কলরবপূর্ণ আলাপ আর অভিনন্দন শুরু হ’ল। চীনা যাত্রীরা, চেটীর, সকলেই নেমে গেল ; চীনা ছাত্রের দুর থেকে টুপী তুলে আমাদের দিকে চেয়ে অভিবাদন ক’রে গেল । একটু পরেই সরকারী লঞ্চ-এ ক'রে কধিকে স্বাগত করতে এলেন স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট মিস্টার Dodds ডডস, আর মালাকার অধিবাসীদের তরফ থেকে শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীশচন্দ্র গুহ, মালাক্কার ব্যারিষ্টার আর একজন প্রতিষ্ঠাপন্ন অধিবাসী। শিষ্টাচারের পরে আমরা কবির অনুগমন ক’রে লঞ্চ-এ চড়লুম। মালাক্কা নদীর মোহনায় এই শহর, লঞ্চ এই নদীর মুখে ঢুকে শহরের একট ঘাটে আমাদের হাজির করলে। সেখানে স্থানীয় গণ্যমান্ত লোকেরা কবির অভ্যর্থনার জন্ত উপস্থিত ছিলেন, অন্ত লোকেরও ভীড় খুব ছিল । অভিনন্দন পাঠ হ’ল, তারপর জনতার জয়ধ্বনির মধ্যে মোটরে করে আমরা আমাদের বাসার দিকে রওনা হ’লুম। সমুদ্রের ধারে ধারে মাইল ছয়েক ধরে চমৎকার একটা য়াস্তা দিয়ে মালাক্কার পশ্চিমে Tanjong Kling তাঞ্জং-ক্লিং (*কলিঙ্গবাসীদের অন্তরীপ" ) নামে বেশ ঘন নারিকেল কুঞ্জের মাঝে অতি মনোরম স্থানে একটি সুন্দর বাঙলা-বাড়ীতে এসে পৌঁছুলুম। এই বাড়ীর মালিক «ssa ķī ŝtai, s’n afn Chan Kang Swee Efriকাঙ-মুই, ইনি পরে কবির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ; অতি অমায়িক, সরল প্রকৃতির বৃদ্ধ—র্তার বাড়ীতে কবির অবস্থানে তিনি ধন্য ইত্যাদি ব’লে নানা শিষ্টাচার করে সৌজন্যের পরিচয় দিয়ে যান। এই বাড়ীটতে আমাদের ত্রিরাত্র অবস্থান হয়েছিল—না’রকল গাছের ঘন সবুজ, সাগরের নীল, আর বালির হলদে রঙ, আর আলোর ভরা আকাশের স্মিতমুখ, এই নিয়ে, একটী বড়ো খোলাবীরাঙ্গাযুক্ত এই বাড়ীট আমাদের স্বতি-পটে চিরকাল জেগে থাকৃখে । মালাক্কা শহরের সঙ্গে সমস্ত মালাই-দেশের ইতিহাস জড়িত রয়েছে। খ্ৰীষ্টীর চতুর্দশ শতকের শেষের দিকে এই শহরের বাড়-বাড়ন্ত ছয়-সঙ্গাপুর শহর বীপের লোকের মালাইনের কাছ থেকে বেড়ে নে ১৩৭৭ সালে,