পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] | ভোল্ট শতবার্ষিকী AAAAA ইহার সহিত বাঙলার প্রচলিত প্রথার তুলনা করুন। থানে ভাল চাকুরী পাইবার যোগ্যতা নির্দেশ করা হয় রারুদ্ধতা দিয়া। এই কুপ্রথার জন্ত পূৰ্ব্বে বাঙলার শিক্ষাভাগের যথেষ্ট ক্ষতি হইয়াছে এবং ভবিষ্যতেও যদি এই তি অনুস্থত হইতে থাকে তাহা হইলে বাঙলার শিক্ষবভাগের উপকারিতা সম্পূর্ণ বিনষ্ট হইবে। দৃষ্টাস্ত দেওয়ার প্রয়োজন বড় একটা হইবে না। এক প্রেসিডেন্সী কলেজের . ه মেঘনাদ সাহ গুমান অবস্থার সহিত তাহার পুৰ্ব্বতন অবস্থার তুলনা রিলে দেখা যায় যে পূৰ্ব্বে যে কলেজ বঙ্গের শ্রেষ্ঠ লেজরূপে পরিগণিত হইত, বর্তমানে প্রতিভাশালী কি নিযুক্ত না করিয়া একটা বাধাধরা রীতি অনুযায়ী fকুরীর বয়স হিসাবে উচ্চ পদে লোকনিযুক্ত করাতে tহা একটি মধ্যমশ্রেণীর কলেজে পরিণত হইয়াছে। লিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ক্রমশঃ এই অবস্থা হইয়া দিতেছে। অকৰ্ম্মণ্য বা অন্ত কাৰ্য্যে ব্যাপৃত বৃদ্ধ ব্যক্তিরা ই বড় চেয়ারে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করিয়া বসিয়াছেন লয়া শিক্ষার অবনতি হইতেছে । কোমো হইতে ভোল্টার কৰ্ম্মস্থান পাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ধ্যস্ত প্রায় একশত কুড়ি মাইল মোটর-ভ্রমণের ব্যবস্থা সী হইয়াছিল। মিলান সহরের মধ্য দিয়া এই পথ— ዓ› আমরা মিলান সহরের স্বপ্রসিদ্ধ গম্বুজ দেখিলাম। পাভিয়া একটি প্রাচীন নিরিবিলি সহর। বাড়ীগুলি পুরানো ধরণের, মনে হয় যেন কালের বক্ষে পাভিয়া আজিও নিদ্রামগ্ন আছে। এই সহর দেখিলে মধ্য যুগের কথা মনে পড়ে। রাস্তাগুলি সঙ্কীর্ণ এবং বাড়ীগুলিও দেখিতে সুশ্ৰী নহে। পাভিয়ার পোদেন্ত বা লর্ড মেয়র আমাদিগের মধণহ-ভোজের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। নিমন্ত্রিতদের তরফ হইতে আমেরিকার অধ্যাপক মিলিকান বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্বন্ধে একটি উইলিয়ম রবার্ট উড. হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন যে, বর্তমান মানুষ প্রাচীন মন্ত্রতন্ত্রের বলে শাস্ত্র ও ধৰ্ম্মের নামে প্রকৃতিকে বশ করে নাই, সহজ সরল উপায়ে আপনার বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োগ করিয়া প্রকৃতিকে আয়ত্ত করিয়াছে। এই প্রকৃতি-বিজয়-কার্য্যে পৃথিবীর সকল জাতি ও দেশ সাহায্য করিয়াছে এবং একদেশের বৈজ্ঞানিকদের আবিষ্কত বিদ্যা অতি শীঘ্ৰ দেশান্তরে প্রচারিত হইয়াছে । দৃষ্টাস্তস্বরূপ তিনি ভোল্টার পরবর্তী তাড়িত বিজ্ঞানের আবিষ্কারে যে সকল বৈজ্ঞানিক বিশেষ প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছেন তাহাদের নামোল্লেখ করেন—যথা, ওয়ারষ্টেড (ডেনমার্ক ) আপেয়ার (ফ্রান্স ), গাউস ও ওয়েবার (জাৰ্ম্মানী ), ফ্যারাডে (ইংলও ), হেনরী (আমেরিকা), ম্যাক্সওয়েল ( ইংলণ্ড ) ও হার্টজ (জাৰ্ম্মাণী)। তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক গবেণার ক্ষেত্রে আমাদের মন যেন সৰ্ব্বদা বাধা ও সংস্কারবিমুক্ত থাকে। যুব-বৃদ্ধ-নিৰ্ব্বিশেষে আমরা যেন সহজেই