পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৫ * [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড । করির দ্বিতীয় বেদান্তচন্ত্রিকাতে যদি আমাদের লিখিত মতকে ভট্টাচাৰ্য্য দুষিতে ইচ্ছা করেন তবে তাহার পৃষ্ঠ এবং পংক্তির নির্দেশ পুৰ্ব্বক লিথিয়া যেন দোষ দেন তাহ হইলে বিজ্ঞলোক দোষাদোষ অনায়াসে বুঝিতে পারিবেন। ভট্টাচাৰ্য্য শাস্ত্রালাপে দুৰ্ব্বাক্য না কহেন এ প্রার্থনা বৃথা করি যেহেতু অভ্যাসের অন্তথা প্রায় হয় না যদি ভট্টাচাৰ্য্য কৃপাপুৰ্ব্বক দ্বিতীয় বেদান্তচন্ত্রিকাকে পূর্কের ন্যায় দুৰ্ব্বাক্যে পরিপূর্ণ না করেন তবে যথেষ্ট শ্লাঘা করিয়া মানিব ইতি ॥ আরাতাম শ্ৰী নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ আরাতাম বাড়ীতে থাকিলে শিমাই ভৃত্য বাহিরের কোন লোক না আসিলে বড় একটা সম্মুখে আসিত না, আর প্রায় তাহার দেখা পাওয়া যাইত না। আর্যভামা যদি চলিয়া গেলেন ত শিমাই মনে করিল তাহার কাজ বাড়িল, বাড়ীর সমস্ত দেখাশুনা তাহাকেই করিতে হইবে। উীন কর্তা ব্যক্তির মত নিজের ঘরে থাকিত, বাড়ীতে পাহারা পড়িয়াছে বলিয়া সে নির্ভাবনার ছিল । বাষ্ঠী যে কি মনে করিবে, সন্তুষ্ট হইবে বা বিরক্ত হইবে শিমাই সে কথা ভাবে নাই । লোবানকে দুই তিনবার আধিতে দেখিয়া শিমাই বাটিকে জিজ্ঞাসা করিল,—এ লোকটা এখানে আসে কেন ? রাগ গোপন না করিয়াই বাষ্টা কহিল,—উহাকে আগে কখন দেথ নাই ? মনিবানী থাকিতে আসিত না ? —তখন ত আরও অন্ত শ্লোক আসিত, তাহারা ত কেছ আসে না, ঐ বা কেন আসে ? —তোমার ইচ্ছা হয় তুমি জিজ্ঞাসা করিও, আমার কোন মাথা-ব্যথা পড়ে নাই। শিমাইয়ের বয়স হইয়াছে আর সে কিছু বোকা । লেরিানকে তাহার পর দেখিতে পাইয় তাহার সম্মুখে भिन्न हैiप्लाहेण । बाई ७ cगांबांटन ८य कथांबांé इहेब्र গিয়াছিল শিমাই তাহার কিছু জানিত না। শিমাই কিছু বলিবীর পূৰ্ব্বেই লোবান তাহাকে ধমক দিয়া বলিল, তুমি আমাকে সেলাম করিলে না ? শিমাই থতমত খাইয়া বলিল, -সেলাম করিব কেন ? আপনি এখন এখানে কি জন্ত আসেন ? মালেকা ত এখানে নাই। -- নাই ব থাকিমেন , আমি নাগরিক সেনার একজন অধ্যক্ষ, বেপানে ইচ্ছ। যাইতে পারি। নগরবাসীরা সকলেই আমাদিগকে সেলাম করে । তুমি কি রাজার বিপক্ষে ? কিছু না বুঝতে পারিয়া শিমাই বাষ্ঠীর দিকে চাহিল। কহিল,- ইনি কি বলিতেছেন ? - বাষ্ট রাগিয়া বলিল,—উরান কিছু বলে না, আমি কিছু বলি না, তুমি বধিবার কে ? মালেকা ফিরিয়া আসিয়া জানিতে পারিলে হয়ত তোমাকে তাড়াইয়া দিবেন। ভয়ে শিমাইর মুখ শুকাইয়া গেল। লোবানকে বলিল,-আমার অপরাধ মাৰ্জ্জন করুন, আমি না জানিয়া আপনাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম । শিমাই চলিয়া গেলে বাষ্ঠী হাসিতে লাগিল। লোবান তাহাকে সঙ্কেত করিয়া আর এক ঘরে ডাকিয়া লইয় গেলেন । লোবানের জন্য ভাবনা হইয়াছিল আর একজনের। ওবেদার অতিথিশালা এখন শূন্ত। যুদ্ধের হাঙ্গামা