পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ുബ്ബാബ് AMSeeeAMAMMAeeAAAA അപ്പാത്തബ് ميلا میچحییمعیتیهیسته ۶یخ مسیحجمعیت স্থবীর বলিল, “চট্টবার মত কথা হয় ত নাই বললে ? আমার ত চ’টে কিছু লাভ হবে না।” - শোভাবতী বলিলেন, “মিত্তিরদের গিরি ত আজ কেঁদে কেটে আমার বাড়ী এসে ধ’রে পড়েছেন। তারা স্বামীর অবস্থা খুবই খারাপ, মেয়ের বিয়ে দিয়ে যেতে না পারলে ম’রেও ভদ্রলোক শান্তি পাবেন না। জানিস্ত আমাদের হিন্দু একান্নবৰ্ত্তী পরিবারের কথা ? বিধবা মামুষের কোন জোরই সেখানে খাটে না। আজ তিনি ঘরের গিরি, কাল হয়ত জায়েরা তাকে উঠতে বস্তে নাকের জলে চোখের জলে করবে। তুই শুধু বিয়েটা করু, তারপর পাঁচ বছর মেয়েকে ঘরে না জানতে চাস তাতেও কেউ কিছু বলবে না।” সুবীর বলিল, “এক কথা একশ বার ব’লে আমায় লাভ নেই, মাসীমা। বিয়ে এখন আমি কিছুতেই করুব না। আমার সঙ্গে যে কথা হয়েছিল, তা যদি তারা রাখেন ভাল, না হয় অন্ত জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিন। পাঠ্যাবস্থায় বিয়ে করার বিরুদ্ধে আমি ঢের বক্তৃতা করেছি, এখন নিজেই সেইটি করতে রাজী নই। মেয়ের অন্ততঃ মাটিক পাশ করতে ত ছবছর দেরি আছে, আমিও একবার বিলেত ঘুরে আসতে চাই।” দুর্গ বলিল, “তবেষ্ট তুমি মিত্তিরদের মেয়ে বিয়ে করেছ। একটি মেশিvস ক’রে জাহাজ থেকে নামূবে আর কি " | সুবীর বলিল,“মেমের জন্তে বিলেত যাবারকি দরকার ? এ দেশেই ঢের পাওয়া যায়।” দুর্গ বলিল, “তা হলে গোড়ায় তাদের বললেই পারতে যে, আমার মেম পছন্দ, আমি বাঙালী মেয়ে বিয়ে করব ন। শুধু শুধু তাদের আশা দিতে গেলে কেন ?" সুবীর বলিল, “আমি ত তাদের সেধে আশা দিতে যাইনি ? তারা বদি গায়ের জোরে আশা আদার করেন ত আমি কি করতে পারি? যেটুকু আশা দিয়েছিলাম তা আমি রাখতে রাজী আছি, যদি তারা আমার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। কিন্তু এটা জেনেই যেন দেন যে, যতটুকু মত আমার আগে এ বিয়েতে ছিল, এখন তাও নেই।” - ভানুমতী বলিয়া উঠিলেন, “কেন রে ? আরো মত না থাকৃবার মত কি হয়েছে ? তারা বিপদে পড়ে বেণী ধরাধরি করছে, কিন্তু সেটা ত মেয়ের দোষ নর কিছু। তাকে তার জন্তে অপছন্ম হবার কিছু কারণ নেই।” সুবীর বলিল, “ম, পছন্দ অপছন্দ ত কারুর হাতেধরা জিনিষ নয়। সে মেয়েকে অপছন্দ করবার কারণ না থাকৃলেগু, অন্ত মেয়ে তার চেয়ে আমার পছন্দ বেশী হতে পারে।” তাহার শ্রোত্ৰী তিনজন এক সঙ্গেই কথা বলিয়া উঠিলেন। দুর্গ গলাটা সবার উপর তুলিয়া বলিল, “তাই বল, বাপু তলে তলে কোথায় পছন্দমত মেয়ে ঠিক ক’রে রেখেছ। সে কথা বললেই হ’ত। এতক্ষণ শাক দিয়ে মাছ চাপ দেবার চেষ্টা করছিলে কেন ?” শোভাবতী বলিলেন, “তাহ’লে সেই কথাই তাদের ব'লে দেওয়া ভাল। অপছন্দ হ’লে বিয়ে ক’রে লাভ কি ? তারপর চিরজীবন ভোগ চলবে ।” ভানুমতী বলিলেন, “হ্যারে, কোথাও বাস্ না । কার মেয়ে তুই দেথলি ? কারো বাড়ীতে ত তুই যাধন ? শেষে কোন ঘরের না কোন ঘরের মেয়ে এনে জুটবি ? কাদের মেয়ে ?” সুবীর বলিল, “জানি না, মা। অদৃষ্টে থাকে ত একেবারে নিয়ে এসে দেখাব ।” শোভাবর্তী দলবল লইয়া উঠিয়া পড়িলেন- অপ্রসন্ন মুখে বলিলেন, “মিথ্যে ভোগালে, বাছা। আগে এই কথা বললেই হ’ত। তোমার অন্ত মেয়ে পছন্দ জানলে কেউ নিজের মেয়ে জোর করে তোমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইত না। এখন মানুষটাকে গিয়ে আমি বলি কি ? কেঁদেই খুন হবে হয়ত।” সুবীর বলিল, “ইচ্ছা ক’রে কিছু ভোগাইনি, মাসীমা । আমার গোড়ার থেকেই এ ধরণের বিয়েতে মত ছিল না, তোমরা সকলে জোর ক’রে এর মধ্যে আমায় জড়িয়েছিলে । কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, এই বিয়ে করলে মেয়ের প্রতিও আমার অন্তায় করা হবে, নিজের প্রতিও অন্তায় করা হবে । সুতরাং এখন থেকে সব কথা পরিষ্কার হয়ে যাওয়া छ|ण ।”