পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

گئسٹ তারিখে ঐ বহি দেখিলেন ও ভবিষ্যৎ বাণীর কি ফল হইল তাহ স্বহস্তে ছত্রটির পাশে লিথিয় রাথিতেন ! যেমন ইউরোপের মধ্যযুগে ভাজিলের পদ্যগ্রন্থ লোকে দেখিত এবং এখনও অনেক মুসলমান কোরান দেখিয়া ভবিষ্যৎ জানিতে চাহেন, ঠিক সেই মত। এই জন্যই হাফিজের নামান্তর লিসান-উল-ঘাএব(অদৃশু জিহা অর্থাৎ ভবিষ্যৎ বক্তা)। এই অমূল্য পুথিখানি গোরক্ষপুরের মৌলবী সুভানউল্লা খ বৎসর দুই হইল খুদ্রাবক্স লাইব্রেরীতে উপহার দিয়াছেন। ইতিপূৰ্ব্বে তাহার দপ্তর বইখানি বাধিবার সময় অনাবশ্যক বোধে মার্জিনে জাহাঙ্গীরের হস্তের লেখা এক ইঞ্চি পরিমাণে কাটিয়া ফেলিয়াছে !! আর দেরী করিলে বোধ হয় পুথিখানি একেবারে লোপ পাইত। আবার আওরাংজীবের মুন্সী (Secretary) ইনায়াৎ উল্লাখার “আহকাম্-ই-আলমগীরী” এতদিন নামে মাত্র জানা ছিল ; ভারতে বা ইউরোপের কোন সাধারণ পুস্তকালয়ে এথানি দেখা যাইত না, এবং কোন ঐতিহাসিক উহ! পাঠওঁ করেন নাই। ১৯০৭ খৃঃ পূজার ছুটতে আমি রামপুর (রোহিলখন্দ) নবাবের পুস্তকালয়ে উহার এক বাদশাহী হস্তলিপি প্রথমে পাই এবং নকল লইবার বন্দোবস্ত করি। তারপর বঁকিপূর ফিরিয়া দেখি কি না কিছুদিন পূৰ্ব্বে উহার আর এক হস্তলিপি (দিল্লীর কোন সন্ত্রান্ত লোকের জন্য লিখিত ) খুদ্রাবক্স লাইব্রেরীতে পাটনার সফদর নবাব দান করিয়াছেন । এইরূপে কত কত বহি এখানে আসিতেছে। চিত্র ও লেখার কারুকার্য্য। _প্রাচ্য চিত্রবিদ্যার আদর্শ এখানে এত সংগ্ৰহ হইয়াছে যে তাহ দেখিয়া মিঃ হাভেল মুগ্ধ হইয়া গিয়াছেন। মোঘল বাদশাহদিগের অনেক ছবির বহি ও সচিত্র ইতিহাসের হস্তলিপি, রণজিৎ সিংহের কতকগুলি সচিত্র বহি, এবং দিল্লী ও লঞ্জেয়ের বড়লোকদের ছবির য়্যালবাম ("মুরাক্কা") এথানে অনেক আছে। অনেক বৎসরের পরিশ্রমের পর একখানি একথানি করিয়া ছবি সংগ্ৰহ করিয়া কোন কোন বালুম সম্পূর্ণ করা হইয়াছে। প্রথমে মধ্য এসিয়ায় চীনে চিত্রকরদিগের প্রভাব এবং মোঘল বাদশাহদের সঙ্গে মধ্য ৩২৪ প্রবাসী । - ৮ম ভাগ । পড়িত তাহার অর্থ লইতেন, এবং কোন ঘটনা সম্বন্ধে কোন এসিয়া হইতে সেই চীনে চিত্র প্রথার ভারতে আগমন, পরে ভারতীয় ( হিন্দু) চিত্রবিদ্যার বিকাশ, অবশেষে বিলাতী আর্টের আধিপত্য,--এ সমস্ত এই ছবিগুলি হইতে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। এর অনেকগুলি ছবির ফটােগ্রাঙ্ক লইয়াছি, ক্রমে প্রবাসীতে বাহির হইবে। এবার সাধু কবীর দেওয়া গেল। এত যুগের এত দেশের এবং এত রকমের কাগজে এই সব পুথি লেখা যে এই লাইব্রেরীতে বসিয়া কাগজ তৈয়ারির ইতিহাস রচনা করা যায়। কতকগুলি কাগজ পেকিনের (নাম “খাবালিঘ”), কতক বুর্থার ও সমরকন্দের, কতক কাশ্মী, বাদশাহদিগের নিযুক্ত কারি গরের প্রস্তুত । খুদাবক্সের পুস্তকালয়ের ইংরাজী বইগুলিও মূল্যবান এবং অনেক । দাম প্রায় লক্ষ টাকা হইবে। বিশেষত: তিনি বিলাতে এক সম্পূর্ণ লাইব্রেরী নিলামে কিনি লন, তাহার চামড়ার বাধাই দেখিয়া চক্ষু জুড়ায়। গ্রন্থসংগ্রহের গল্প । এই সব ফার্সী ও আরবী হস্তলিপি সংগ্রহের বিবরণ উপন্যাসের মত কৌতুহলজনক। মুসলমান রাজত্বের সময় যত সব শ্রেষ্ঠ হস্তলিপি দিল্লীর বাদশাহের নিকট আসিয়া জুটত। কতকগুলি শত শত এমন কি হাজার মোহর দিয়া কেন হইত ; কতকগুলি বাদশাহের বেতনভোগী লেখক ও চিত্রকরদের দ্বারা রচিত হইত ; কতকগুলি বা যুদ্ধের পর বিজিত দেশ হইতে আনা হইত ( যেমন বিজাপুর এবং গোলকুণ্ড হইতে ) ; আর অনেকগুলি প্রথমে ওমরাহদের ঘরে ছিল এবং তাহাদের মৃত্যুর পর অন্যান্ত সম্পত্তির সহিত বাদশাহী সরকারে ভূক্ত হইত। আকবরের সভা-কবি ফৈজির মৃত্যুর পর তাহার ৪,৩০০ হস্তলিপি বাদশাহ জব্‌ৎ করিয়াছিলেন। এইরূপে ১৬ ও ১৭ শতাব্দীতে এসিয়ায় সব চেয়ে বড় ও মূল্যবান পুস্তকার দিল্লীর বাদশাহদের ছিল। ১৮ শতাব্দীতে এর কতকগুণি | লক্ষেীয়ের নবাবের হস্তগত করেন। অবশেষে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর দিল্লী ও লক্ষেয়ের রাজা লুট হইল, পুরাতন পুথিগুলি চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িল৷ রোহিলথন্দের নবাব ইংরাজদের পক্ষে ছিলেন। দিল্লী জয়ের পর তিনি ঘোষণা করেন যে প্রতি পুথির জন্য এক l KusTALINE PRrss, Cauca:TrA.