পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"לא(א হইবে। এই ক্ষুদ্রকায় গ্রহগুলি মঙ্গল ও বৃহস্পতির পরিভ্রমণ পথের মধ্যস্থানটি অধিকার করিয়া দলে দলে সুৰ্য্যের চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়ায়। কুমেলিন সাহেবের এই ভ্রম শীঘ্রই দূরীভূত হইয়াছিল। তিনি জ্যোতিন্ধের নূতন গতিবিধি কয়েক দিন মাত্র পর্যবেক্ষণ করিয়া দেখিয়াছিলেন, সেটি সত্যই বৃহস্পতির চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়ায়। নূতন উপগ্রহটির পরিভ্রমণ কালাদি সম্বন্ধে আজও ঠিক সংবাদ পাওয়া যায় নাই। আবিষ্কারক মহাশয় বলিতেছেন, বৃহস্পতির অপর উপগ্রহগুলি যেদিক ধরিয়া গ্রহরাজকে প্রদক্ষিণ করে এই নূতন জ্যোতিষ্কটি সম্ভবতঃ তাহার বিপরীত দিক্‌ ধরিয়া চলে। শ্রীজগদানন্দ রায় । অতুল । স্তন্য-মুধাপায়ী শিশু হাসে ‘মা, মা’ বলে ; চুমিছে সে মুখ মাতা ভাসি আঁখি-জলে। দার্শনিক হেরি’ তাহে কহে—“এ যে ভুল” ! মুগ্ধ কবি কাদি কহে—“অতুল, অতুল”! শ্ৰীদেবকুমার রায়চৌধুরী। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল। (১) হাসির কবিতা । একালে বাঙ্গলা সাহিত্যের নেতা ইংরেজিনীসের ; কিন্তু এ কথায় কেহ মনে করিবেন না, যে ইংরেজি শিক্ষিতের সকলেই বাঙ্গালা সাহিত্যের চর্চা করিয়া থাকেন। অতি অল্পসংখ্যক কয়েক জন স্বশিক্ষিত ব্যক্তি দেশের ভাষায় গ্রন্থাদি রচনা করিতেছেন বটে, কিন্তু ইংরেজি শিক্ষিত দলের মধ্যে পাঠকের সংখ্যা তত অধিক নয়। এখনো অনেকে মনে করেন যে বাঙ্গালায় পড়িবার মত জিনিস কিছুই নাই। টোলের পণ্ডিতেরা ত ভাষা সাহিত্য পড়িয়া কদাপি তাহাদের গৌরব নষ্ট করিতেন না ; এথনো করেন না। নৈষধের কবিত্বশূন্ত শঙ্কালঙ্কারের ছটা দেখিয়া তাহার মুগ্ধ থাকেন, কিন্তু চণ্ডীদাসের , যে কবিতায় “অমিয় প্রবাসী । - --l-l.-l. SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSAAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ৮ম ভাগ। বরিখে” তাহা তাহারা স্পর্শও করেন না। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল নিমাই ঠাকুরের আহবানে যাহাদিগকে বলিয়াছেন, "ছেড়া পুথি ফেলে তোরা চলে আয়", কে তাহাদিগকে আজি শ্ৰীহর্ষের দময়ন্তী ভুলিয়া মধুস্তদনের প্রমীলা দেখিতে বলিৰে, ভ্রমরের কালরূপে মুগ্ধ হইতে বলিবে, এবং চাষার মেয়ে ক্ষেত্রমণির সতীত্বের পূজা করিতে বলিবে ? অন্যদিকে আবার যাহারা কিপলিং ও মেরী কোরাগী প্রভৃতির অতি আসার অপদার্থ রচনা পড়িতে পারেন, তাহার যে কেন বঙ্কিমচন্দ্র এবং রবীন্দ্রনাথের কথাগ্রন্থ পড়েন না, তাহা বুঝিয়া উঠিতে পারি না। কমলাকান্ত চক্ৰবৰ্ত্তীর পদাঘাতে খবরের কাগজে জড়ান অপক কদলীগুলি একেবারে দূরীভূত হয় নাই বটে ; কিন্তু এখন যে বঙ্গ সাহিত্যের দোকানে অনেক সরস ও স্বপক্ক ফল পাওয়া যায়, তাহ দেখাইতেছি। কিন্তু ঘটত্বের দোকানের প্রহরীরা এখনো ঝুনা নারিকেলের ছোবড়াই কামড়াই, তেছেন ; এবং এখনো শাস্ত্রের গভীর অর্থের আলোচনার সভায় “নরহরি শাস্ত্রীর” দল, “মনু হাতে ক’রে”, “পাত্রাধার তৈল”র ব্যাখ্যার শেষে, “কোরে দেন সুসম্পন্ন পরম্পরের । শ্ৰাদ্ধ।” তবেই দাড়াইল এই, যে, র্যাহাদের ঘরে কিছু পাগ আছে, অথবা পয়সা খরচ করিবার বাতিক আছে, তাহারাই কয়েকজন বঙ্গসাহিত্যে গ্রন্থ প্রকাশ করিতেছেন। একজন ইংরেজিশিক্ষিত জমাদার একটা বড় মজলিসে আপনার গৌরব দেখাইবার জন্য বলিয়াছিলেন,—“আমি বঙ্কিমবাবুর রচনার একছত্রও পড়ি নাই।” ঘটরাম ডেপুটির মত যাহারা ইংরেজিতে ভারি লায়েক, অর্থাৎ “কেটে জোড় দেন”, এখনো তাহারা কেবল মাত্র বাঙ্গালা না পড়ার স্বযশের জোরে, ইংরেজিতে পণ্ডিত বলিয়া পরিচিত হইতে চাহেন। যে কৃপার পাত্রেরা মধুসূদন, দীনবন্ধু, বঙ্কিমচন্ত্র এবং হেমচন্দ্রের রচনা পড়েন নাই, রবীন্দ্রনাথ এবং দ্বিজেন্দ্র লালের কতকগুলি রচনার সহিত র্তাহারা পরিচিত হইয়াছেন দেপিয়াছি। তাহার কারণ আছে। যিনি ইংরাজিতে যত বড় পণ্ডিতই হউন, সামাজিক আমোদ প্রমোদ, হাগি তামাসাটা আগাগোড়া খাটি ইংরেজিতে চালাইয়া উঠিন্তে, ৭ম সংখ্যা । ] কিম্বা হাসির গান, বিলাত হইতে আমদানি করা চলে না। এই জন্য রবীন্দ্রনাথের প্রেমবিষয়ক কয়েকটা গান, এবং জিন্দ্রলালের হাসির গানগুলি নূতন “পালিস ষষ্ঠী” লুটিয়৷ nইয়াছেন। কিন্তু ঐ গানগুলি ছাড়া কবিদ্বয়ের রচনায় আর কি আছে, তাহা তাহারা জানেন না ; সম্ভবতঃ ঐ গানগুলিও কণ্ঠে কণ্ঠে ফিরিয়াই তাছাদের মজলিসে পৌঁছিয়াছে ; ছাপার অক্ষরে সেগুলি মুদ্রিত দেখেন নাই। র্যাহাদের পড়া উচিত র্তাহারা পড়েন না ; এই সমালোচনা প্রকাশ করিলেও যে বাঙ্গালা সাহিত্যের পাঠক বাড়িবে তাহাও নয়। তবুও চেষ্টা করা মন্দ কি ? (১) সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলালের প্রথম প্রতিষ্ঠা হাস্তরসের রচনায়। বঙ্গসাহিত্যে সে কালে একালে হাস্ত রসের যথেষ্ট আদর থাকিলেও অনেক পেচক পণ্ডিতেরা উছ ভাড়ামির অঙ্গমাত্র মনে করেন । হাসি যে শারীরিক ও নৈতিক স্বাস্থ্যের অভিব্যক্তি, সে কথা কি কাহাকেও বৃথাইতে হইবে ? লবক যথার্থ ই বলিয়াছেন, যে হান্তরস (Humour) সাহিত্যব্যঞ্জনের লবণ | যে হাসিতে পারে নাসে রাক্ষস। সকল ঝড় তুফান মাথায় করিয়া, যাহার প্রাণ, বস্থার মত ভাসিয়া থাকিতে পারে, আমি তাহাকে অসাধারণ মানুষ মনে করি। যদি কেবল হাসির গানেই দ্বিজেন্দ্রলালের যশ প্রতিষ্ঠিত থাকত, তবুও কবির প্রতিভা অসাধারণ বলিয়া মনে করিতাম। সমাজের যে সকল নীচতা এবং ভণ্ডামি দেখিয়া সংস্কারকেরা ছটফট করিয়া উঠেন, কেহ বা রাগ করিয়া গালি দেন, কেহবা গম্ভীরভাবে উপদেশ দিতে বসেন, কবি তাহ দেখিয়া কেবল হে হে! করিয়া হাসিয়াছেন। আমার বিশ্বাস যে এ বিষয়ে কবি Francis এর উক্তিটি ঠিক, যে যেখানে গম্ভীর বিচার নিষ্ফল হয়, সেখানে তামাসায় বেশি কাজ দেখে । Ridicule shall frequently prevail And cut the knot when graver reasons fail. . কবি যখন যৌবনের প্রারম্ভে ইউরোপ হইতে ঘরে ফিরিয়া আসিলেন, তখন দেখিলেন, যে দেশবিশেষ পরিভ্রমণের দোষে (?)চিরপরিচিত সমাজ তাহাকে কাছে ঘেঁসিতে দিতে চায় না। কেন ? মানুষ কি এত নিৰ্ম্মম, এত ভণ্ড, পারেন না। সামাজিকতার সম্ভোগের জন্ত প্রেমের গান এই মুখ কবির একটু রাগ হইয়াছিল ; তিনি “একঘৱে” কবি দ্বিজেন্দ্রলাল । SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSAS SSAS SSAS SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS ...m ৩৯৯ - লিথিয়াছিলেন। যাক বইখানি আর মুদ্রিত হয় না। সরলা হৃদয়ের রাগটুকু দেখিতে দেখিতে উৰিয়া গেল ; তিনি শেষে এই অসীম ভণ্ডত, এবং অমানুষিক নিৰ্ম্মমতার দিকে চাহিয়া হো, হে’, করিয়া হাসিয়া ফেলিলেন। সম্ভবত: stita siffa asa stas Reformed Hindusi লোকে বলিল হাস কেন ? কবি বলিলেন,— বলিত হাসবন, হাসি রাখতে চাইত চেপে,— কিন্তু এ ব্যাপার দেখে, থেকে থেকে, যেতে হয় প্রায় ক্ষেপে। যবে নিয়ে উড়োতর্ক শাস্ত্রীবর্গ টিকি দীর্ঘ নাড়ে ; একটু গানো পোড়ে কেহ চড়ে বিজ্ঞানেরই ঘাড়ে ; কত্তে এক ঘরের মস্ত বন্দোবস্ত ব্যস্ত কোন ভায় : তখন আমি হাসি জোরে, গুম্ফ ভরে', ছেড়ে প্রাণের মায়। যিনি নাট্যরচনায় মানবচরিত্রবিশ্লেষণে যথেষ্ট ক্ষমতা দেখাইতেছেন, কোন ভণ্ডই ধর্মের নামে তাহার চোখে ধূলা দিতে পারে নাই। নবযুগের বঙ্গসাহিত্যের প্রথম অবস্থায় কালীপ্রসন্ন সিংহ অতি সরল গ্রাম্য ভাষায় ভণ্ডদলের মুখের উপর বলিয়াছিলেন যে তাহারা ভও। তিনি নিৰ্ভীক পুরুষ ছিলেন বটে ; কিন্তু সময়মাহাক্স্যে র্তাহাকে একটু অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়া হুতুম প্যাচ সাজিতে হইয়াছিল। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল নিৰ্ভীক, এবং তাহার সেই তেজস্বিতীয় বৃথা দম্ভ (Brapado) নাই ; তিনি সরলস্বভাব-কোন রকম পেচালো ভাষায় দুকুল রাখিবার কথা কহেন নাই। চণ্ডীচরণের দল যখন দেশমান্ত গীতার দোহাই দিয়া আসরে নামিল, তখন গীতার খাতিরে অনেকে কি বলিবেন, কি না বলিবেন, ভাবিতেছিলেন। কিন্তু কবি যখন দেখিলেন ভণ্ডেরা বৃথা আত্মাভিমানের জালে লোকগুলিকে ফেলিবার চেষ্টা করিতেছে, এবং বিশ্বের সকল জ্ঞান “গীতার একটি অধ্যায়েরি মধ্যে” আছে বলিয়া টিকি নাড়িতেছে, তখন অতি সহজেই তাহাদের গীতার আবিষ্কার করিয়া ভণ্ডদলকে হাসিয়া উড়াইয়া দিলেন। দেশের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে মধুস্থানও - একবার কলম তুলিয়াছিলেন। কিন্তু "বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো"র পরে তিনি আর কিছুই লেখেন নাই। কবি “একঘরে” লিখিয়া দেশের লোককে দৈবাৎ গালি দিয়া ফেলিয়াছিলেন, কিন্তু পরে যখন দেখিলেন চারিদিকেই ভণ্ডামির ব্যবস্থা, তখন সকল ভণ্ডকে জড় করিয়া কন্ধী অবতারের কাছে পেশ করিয়া দিলেন। তোমরা ধৰ্ম্মচর্চা । করির স্বর্গে যাইবে যাও ; কিন্তু স্বর্গে যখন বুধে মেৰে " .