পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Goss WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৭, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)--പ-പ്പ്-പ്പ്--പ്പ്-- তখন তিনি একটি অনিৰ্ব্বচনীয় আধ্যাত্মিক মাধুর্য্যের স্বারা এই বালিকাটিকে পরিবেষ্টিত দেখিয়া সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়া নিঃশব্দে ইহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিতেন। ভূমার সহিত মিলনকেই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য করিয়াছিল বলিয়া যাহা শ্রেয়তম এবং সত্যতম পরেশের চিত্ত সৰ্ব্বদাই তাহার অভিমুখ ছিল। এই জষ্ঠ সংসার কোনোমতেই তাছার কাছে অত্যন্ত গুরুতর হইয়া উঠিতে পারিত না। এইরূপে নিজের মধ্যে তিনি একটি স্বাধীনতা লাভ করিয়াছিলেন বলিয়াই মত বা আচরণ লইয়া তিনি অষ্ঠের প্রতি কোন প্রকার জবরদস্তি করিতে পারিতেন না। মঙ্গলের প্রতি নির্ভর এবং সংসারের প্রতি ধৈর্য্য তাহার পক্ষে অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল । ইঙ্গ তাহার এত অধিক পরিমাণে ছিল যে সাম্প্রদায়িক লোকের কাছে তিনি নিন্দিত হইতেন, কিন্তু নিন্দাকে তিনি এমন করিয়া গ্রহণ করিতে পারিতেন যে হয়ত তাহা তাহাকে আঘাত করিত কিন্তু তাহাকে বিদ্ধ করিয়া থাকিত না। তিনি মনের মধ্যে এই কথাটাই কেবলি থাকিয়া থাকিয়া আবৃত্তি করিতেন আমি আর কাহারও হাত হইতে কিছুই লইবন আমি তাহার হাত হইতেই সমস্ত লইব । পরেশের জীবনের এই গভীর নিস্তব্ধ শাস্তির স্পৰ্শলাভ করিবার জন্তই আজকাল স্বচরিতা নানা উপলক্ষ্যেই তাহার কাছে আসিয়া উপস্থিত হয়। এই অনভিজ্ঞ বালিকাবয়সে তাহার বিরুদ্ধ হৃদয় এবং বিরুদ্ধ সংসার যখন তাহাকে একেবারে উদভ্ৰান্ত করিয়া তুলিয়াছে তখন সে বারবার কেবল মনে করিয়াছে বাবার পা থানা মাথায় চাপিয়া ধরিয়া খানিকক্ষণের জন্ত যদি মাটিতে পড়িয়া থাকিতে পারি তবে আমার মন শাস্তিতে ভরিয়া উঠে। এইরূপে সুচরিতা মনে ভাবিয়াছিল সে মনের সমস্ত শক্তিকে জাগ্ৰত করিয়া অবিচলিত ধৈৰ্য্যের সহিত সমস্ত আঘাতকে ঠেকাইয়া রাখিবে অবশেষে সমস্ত প্রতিকুলত আপনি পরাস্ত হইয়া যাইবে। কিন্তু সেরূপ ঘটিল না তাহাকে অপরিচিত পথে বাহির হইতে হইল। বরদাসুন্দরী যখন দেখিলেন রাগ করিয়া ভৎসনা করিয়া মুচরিতাকে টলানো সম্ভব নহে এবং পরেশকেও প্রবাসী । কস্তাটি এই ছাত্রীট স্তন্ধ হইয়া তাহার কাছে বসি আছে, - [ ৮ম ভাগ । সারাপ পাইবার কোনাে আশ না তখন মিলিী { প্রতি তাহার ক্রোধ অত্যন্ত ছৰ্দান্ত হইয়া উঠিল। তাহার গৃহের মধ্যে হরিমোহিনীর অস্তিত্ব র্তাহাকে উঠতে বসিতে যন্ত্রণা দিতে লাগিল । সেদিন তাহার পিতার মৃত্যুদিনের বার্ষিক উপাসন উপলক্ষ্যে তিনি বিনয়কে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন। উপাসনা সন্ধ্যার সময় হইবে, তৎপূৰ্ব্বেই তিনি সভাগৃহ সাজাই৷ রাখিতেছিলেন ; স্বচরিতা এবং অন্য মেয়েরাও র্তাহার সহায়তা করিতেছিল। এমন সময় তাহার চোখে পড়িল বিনয় পাশের সিড়ি | দিয়া উপরে হরিমোহিনীর নিকট যাইতেছে । মন যখন ভারাক্রান্ত থাকে তখন ক্ষুদ্র ঘটনাও বড় হইয় উঠে। বিনয়ের এই উপরের ঘরে যাওয়া একমুহূর্তে তাহার কাছে এমন অসহ্য হইয়া উঠিল যে তিনি ঘর সাজানো ফেলিয়া তৎক্ষণাৎ হরিমোহিনীর কাছে গিয়া উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন বিনয় মাদুরে বসিয়া আত্মীয়ের স্থায় বিশ্রদ্ধভাবে হরিমোহিনীর সহিত কথা কহিতেছে। বরদাসুন্দরী বলিয়া উঠিলেন, দেখ তুমি আমাদের এখানে যতদিন খুসি থাক আমি তোমাকে আদর যত্ন করেই রাখব। কিন্তু আমি বলচি তোমার ঐ ঠাকুরকে এখানে রাখা চলবে না। হরিমোহিনী চিরকাল পাড়াগায়েই থাকিতেন। ব্রাহ্মদের সম্বন্ধে তাহার ধারণা ছিল যে তাহারা খৃষ্টানেরই শাখা বিশেষ। সুতরাং তাহাদেরই সংস্রব সম্বন্ধে বিচার করিবার বিষয় আছে কিন্তু তাহারাও যে তাহার সম্বন্ধে সঙ্কোচ অনুভব করিতে পারে ইহা তিনি এই কয়দিনে ক্রমশই বুঝিতে পারিতেছিলেন। কি করা কৰ্ত্তব্য ব্যাকুল হইয়া চিন্ত৷ করিতেছিলেন এমন সময়ে আজ বরদাসুন্দরীর মুখে এই কথা শুনিয়া তিনি বুঝলেন যে আর চিন্তা করিবার সময় নাই যাহা হয় একটা কিছু স্থির করিতে হইবে। প্রথমে ভাবিলেন কলিকাতায় একটা কোথাও বাসা লইয়া থাকিবেন তাহা হইলে মাঝে মাঝে সুচরিতা ও সতীশকে দেখিতে পাইবেন। কিন্তু তাহার ষে অল্প সম্বল, তাহাতে কলিকাতার খরচ চলিবে না। বরদাসুন্দরী অকস্মাৎ ঝড়ের মত আসিয়া যখন লিয়া | ১১শ সংখ্যা । ] --WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৭, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) গেলেন তখন বিনয় মাথা হেঁট করিরা চুপ করিয়া বসিয়া अश्णि । কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া হরিমোহিনী বলিয়া উঠিলেন —“আমি তীর্থে যাব তোমরা কেউ আমাকে পৌছে দিয়ে আসতে পারবে বাবা ?” বিনয় কহিল—“খুব পারব। কিন্তু তার আয়োজন করতে ত ই চার দিন দেরি হবে ততদিন চল মাসি তুমি আমার মার কাছে গিয়ে থাকবে ।” হরিমোহিনী কহিলেন “বাবা, আমার ভার বিষম ভার। বিধাতা আমার কপালের উপর কি বোঝা চাপিয়েচেন জানিনে, আমাকে কেউ বইতে পারে না। আমার খণ্ডর বাড়িতেও যখন আমার ভার সইল না তখনি আমার বোঝা উচিত ছিল! কিন্তু বড় অবুঝ মন বাবা-বুক যে খালি হয়ে গেছে সেইটে ভরাবার জন্তে কেবলি ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্চ আমার পোড়া ভাগ্যও যে সঙ্গে সঙ্গে চলেচে। আর থাক্ বাব, আর কারো বাড়িতে গিয়ে কাজ নেই—যিনি বিশ্বের ৰোখা বন তারি পাদপদ্মে এবার আমি আশ্রয় গ্রহণ করব— আর আমি পারিনে।”—বলিয়া বারবার করিয়া দুই চক্ষু মুছিতে লাগিলেন। বিনয় কহিল—“সে বল্পে হবে না মাসি। আমার মার সঙ্গে অন্ত কারে তুলনা করলে চলবে না। যিনি নিজের জীবনের সমস্ত ভার ভগবানকে সমর্পণ করতে পেরেচেন তিনি অষ্ঠের ভার বইতে ক্লেশ বোধ করেন না। যেমন আমার মা--আর যেমন এথানে দেখলেন পরেশবাবু। সে আমি শুনব ন—একবার আমার তীর্থে তোমাকে বেড়িয়ে নিয়ে আসব তার পরে তোমার তীর্থ আমি ৰেণুতে যাব।” হরিমোহিনী কহিলেন, “তাদের তা হলে ত একবার १लश क्षिtग्न-” বিনয় কহিল—“আমরা গেলেই মা খবর পাবেন— সেইটেই হবে পাক খবর !" হরিমোহিনী কহিলেন—“তা হলে কাল সকালে”— বিনয় কহিল, “দরকার কি ! আজ রাত্রেই গেলে श्रत !" সদ্ধার সময় স্বচরিতা আসিয়া কহিল, “বিনয় বাবু, - গোরা । (tS& SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS মা আপনাকে ডাকতে পাঠালেন। উপাসনার সময় হয়েছে।” दिनग्न कश्णि “भांजौद्र नात्र कथा श्रारह, श्रांछ श्रांबि যেতে পারব না।” আসল কথা, আজ বিনয় বরদাসুন্দরীর উপাসনার নিমন্ত্রণ কোনোমতে স্বীকার করিতে পারিল না। তাহার মনে হইল সমস্তই বিড়ম্বন। হরিমোহিনী ব্যস্ত সমস্ত হইয়া কহিল, “বাবা বিনয়, বাও তুমি। আমার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তা সে পরে হবে। তোমাদের কাজকৰ্ম্ম আগে হয়ে যাক তার পরে তুমি এসো।” সুচরিতা কহিল, “আপনি এলে কিন্তু ভাল হয়।” বিনয় বুঝিল সে সভাক্ষেত্রে না গেলে এই পরিবাৰে যে বিপ্লবের স্বত্রপাত হইয়াছে তাহাকে কিছু পরিমাণে আরো অগ্রসর করিয়া দেওয়া হইবে। এইজন্স সে উপাসনাস্থলে গেল কিন্তু তাহাতেও সম্পূর্ণ ফল লাভ হইল नl । উপাসনার পর আহার ছিল—বিনয় কহিল "জাঙ্গ আমার ক্ষুধা নেই।” বরদ্ধাস্বন্দরী কহিলেন—“ক্ষুধার অপরাধ নেই। আপনি ত উপরেই খাওয়া সেরে এসেচেন ।” বিনয় হাসিয়া কহিল, “ই, লোভী লোকের এই রকম দশাই ঘটে। উপস্থিতের প্রলোভনে ভবিষ্যৎ খুইয়ে বসে।” এই বলিয়া বিনয় প্রস্থানের উদ্যোগ করিল। বরদাসুন্দরী জিজ্ঞাসা করিলেন, “উপরে যাচ্চেন বুঝি ?” বিনয় সংক্ষেপে কেবল “হঁ” বলিয়া বাহির হইয়া গেল ; দ্বারের কাছে স্বচরিত ছিল তাহাকে মৃদ্ধশ্বরে কহিল, "দিদি . একবার মাসীর কাছে যাবেন বিশেষ কথা আছে।” ললিতা আতিথ্যে নিযুক্ত ছিল। একসময় সে হারান বাবুর কাছে আসিতেই তিনি অকারণে বলিয়া উঠলেন, “বিনয় বাবু ত এখানে নেই তিনি উপরে গিয়েচেন ।” শুনিয়াই ললিতা সেখানে দাড়াইয় তাহার মুখের দিকে চোখ তুলিয়া অসঙ্কোচে কছিল, “জানি। তিনি আমার সঙ্গে না দেখা করে যাবেন না। আমার এখানকার কাজ সারা হলেই আমি উপরে যাব এখন।" ললিতাকে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত করিতে না পারিয়া হারানের