পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o [ ৮ম ভাগ। ] ৫৯৬ প্রবাসী । - ১১শ সংখ্যা। - SMMMMSMMSMMSMSMS م_۔--...--------------------- ཐག་ག་ ། ན་།ན་ཐན་སྐྱོང་ ས་ན་ཐང་བན་བུན་ཤན་ཤན་ལ། , ། |。 ~~ ------------ BBBBB DD BB BBBS BBB Bttt BBB BBB BB BB BBBS BBB BB BB B BBB BB SBBBBS স্বচরিতার সঙ্কল্প ভঙ্গ হইল—সে সংসারের ছিল। স্বচরিতাকে হঠাৎ কি একটা বলিয়া গেল এবং স্বচরিতা অনতিকাল পরেই তাঙ্গার অনুসরণ করিল ইতাও রান বাবুর লক্ষ্য এড়াইতে পারে নাই। তিনি আজ স্বচরিতার সহিত আলাপের डे***ा मान कतिप्री १९५५ ×१ ४९ হইয়াছেন—দুই একবার স্বচরিত। তাছার স্বম্পষ্ট আহবান এমন করিয়া এড়াইয়া গেছে যে সভাস্থ লোকের কাছে হাৱান বাৰু নিজেকে অপদস্থ জ্ঞান করিয়াছেন। ইহাতে তাহার মন মুস্থ ছিল না। স্বচরিতা উপরে গিয়া দেখিল হরিমোহিনী তাহার জিনিষপত্র গুছাইয় এমনভাবে বসিয়া আছেন যেন এথনি কোথায় যাইবেন। স্বচরিতা জিজ্ঞাসা করিল—“মাসি a fr ?" : - - হরিমোহিনী তাহার কোনো डैडब দিতে না পারিমু কঁাদিয়া ফেলিলেন এবং কহিলেন, “সতীশ কোথায় আছে তাকে একবার ডেকে দাও মা !” স্বচরিতা বিনয়ের মুখের দিকে চাহিতেই বিনয় কহিল— *এবাড়িতে মাসি থাকলে সকলেরি অসুবিধে হয় তাই আমি ওঁকে মার কাছে নিয়ে যাচ্চি ।” হরিমোহিনী কহিলেন, “সেখানে থেকে আমি তীর্থে যাৰ মনে করেচি। আমার মত লোকের কারো বাড়িতে এরকম করে থাকা ভাল হয় না। চিরদিন লোকে আমাকে এমন করে সহই বা করবে কেন ?” মুচরিতা নিজেই একথা কয়েক দিন হইতে ভাবিতেএবাড়িতে বাস করা যে তাহার মাসির পক্ষে অপমান তাহা সে অনুভব করিয়াছিল সুতরাং সে কোনো উত্তর দিতে পারিল না। চুপ করিয়া তাহার কাছে গিয়া বসিয়া রহিল। রাত্রি হইয়াছে ; ঘরে প্রদীপ জালা হয় নাই। কলিকাতার হেমন্তের অস্বচ্ছ আকাশে তারাগুলি বাপছন্ন। কাহাদের চোখ দিয়া জল পড়িতে লাগিল তাহ সেই অন্ধকারে দেখা গেল না। সিড়ি হইতেই সতীশের উচ্চকণ্ঠে মাসিম ধ্বনি শুনা গেল। “কি বাবা, এস বাবা” বলিয়া হরিমোহিনী তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িলেন। মুচরিতা কহিল, "মাসিম, আজ রাত্রে কোথাও যাওয়া হতেই পারে না, কাল সকালে এবং আশ্রয়ের অভাবেই যে হরিমোহনী সমস্ত সহ করিয়া কোনো কথাই তুলিতে পারিল না। আমাকে পড়ে শোনা ও ।” পরেশ বাৰু শঙ্গাকে পড়িয়া বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন। রাত্র দশটা বাজিয়া গেলে পড়। শেষ হইল । স্বচরিত নিদ্রার পূৰ্ব্বে পরেশ বাবুর মনে কোনোপ্রকার কি করে যেতে পারবে বল । সে যে বড় অষ্ঠায় হবে।” কহিল, “বাবা, বিনয় বরদাসুন্দরী কর্তৃক হরিমোহিনীর অপমানে সে স্থির করিয়াছিল এক রাত্রি ও মালার এবাড়িতে থাকা উচিত হইবে না— । উত্ত্বে জত হইয়৷ একথা ভাবে নাই । তখনো এবাড়িতে রহিয়াছেন বরদাসুন্দরীর সেই ধারণা দূর করিবার জন্য বিনয় হরিমোহনীকে এথান হইতে লইয়া যাইতে । লেশমাত্র বিলম্ব করিতে চাহিতেছিল না। স্বচরিতার - কথা শুনিয়া বিনয়ের হঠাৎ মনে পড়িয়া গেল যে, এবাড়িতে । | বরদাসুন্দরীর সঙ্গেই যে হরিমোহিনীর একমাত্র এবং সৰ্ব্বপ্রধান সম্বন্ধ তাহা নহে। যে ব্যক্তি অপমান করিয়াছে । তাহাকেই ৰভু করিয়া দেখিতে হইবে আর যে লোক উদারভাবে আত্মীয়ের মত আশ্রয় দিয়াছে তাহাকে ভুলিয়া যাইতে হইবে এ ত ঠিক নহে। বিনয় বলিয়া উঠিল, “সে ঠিক কথা। o স্বচরিতা বসলে তিনি কহিলেন—“তোমার মাসির না জানিয়ে কোনোমতেই যাওয়া যায় না।” } এখানে কষ্ট হচ্চে সে কথা আমি চিন্তা করেছি। তার সতীশ আসিয়াই কহিল, “মাসিম, জান রাশিয়ানরা ধৰ্ম্মবিশ্বাস ও আচরণ লাবণ্যর মার সংস্কারে যে এত বেশি ভারতবর্ষ আক্রমণ করতে আসচে ? ভারি মজা হবে!” । । আঘাত দেবে তা আমি আগে ঠিক জানতে পারিনি। যখন দেখচি তাকে পীড়া দিচ্চে তথন এবাড়িতে তোমার মাসিকে রাখলে তিনি সস্কুচিত হয়ে থাকবেন।” সুচরিত কছিল—“আমার মাসি এখান থেকে যাবার জন্তেষ্ট প্রস্তুত হয়েছেন।” পরেশ বাবু কহিলেন, “আমি জানভূম যে তিনি যাবেন। তোমরা দুজনেই তার একমাত্র আত্মীয়—তোমরা তাকে এমন অনাথার মত বিদায় দিতে পারবে না সেও আমি জানি। - ভাবছিলুম।” - তাছার মাসি কি সঙ্কটে পড়িয়াছেন পরেশ বাবু যে তাহা বুঝিয়াছেন ও তাহা লষ্টয়া ভাবিতেছেন একথা স্বচরিতা একেবারেই অনুমান করে নাই। পাছে তিনি জানিতে পাবিয়া বেদন বোধ করেন এই ভয়ে সে এতদিন অত্যন্ত সাবধানে চলিতেছিল—আজ পরেশ বাবুর কথা - শুনিয়া সে আশ্চর্য হষ্টয়া গেল এবং তাহার চোখের পাতা e. ছলছল করিয়া আসিল । ধীরে চলিয়া বাইতেছিল। পরেশ বাবু তাছাকে স্নেহস্বরে ডাকিলেন—“রাধে ” সে তখন ফিরিয়া আসিল। পরেশ বাবু কহিলেন— ভূমি তোমার মাসির কথা আমাকে বলতে এসেছিলে ?” পরেশ বাৰু তাছার মনের কথা বুঝিতে পারিয়াছেন - জানিয়া সুচরিতা বিস্মিত হইয়া কছিল, “ই বাবা, কিন্তু আজ থাক কাল সকালে কথা হবে!” পরেশ বাৰু কছিলেন—“বোস।” পরেশ বিনয় জিজ্ঞাসা করিল—“তুমি কার দলে ?” - সতীশ কহিল—“আমি রাশিয়ানের দলে।” বিনয় কহিল—“তাহলে রাশিয়ানের আর ভাবনা নেই।” এইরূপে সতীশ মাসীমার সভা জমাষ্টয়া তুলিতেই স্বচরিত আস্তে আস্তে সেখান হইতে উঠিয়া নীচে চলা গেল । সুচরিতা জানিত শুষ্টতে যাইবার পুৰ্ব্বে পরেশ বাৰু তাহার কোনো একটি প্রিয় বই থানিকটা করিয়া পড়িতেন। কতদিন সেইরূপ সময়ে স্বচরিত। তাহার কাছে আসিয়া বসিয়াছে এবং সুচরিতার অনুরোধে পরেশ বাবু তাছাকেওঁ পড়িয়া শুনাইয়াছেন। আজও তাহার নির্জন ঘরে পরেশ বাবু আলোট । জালাষ্টয়া এমার্সনের গ্রন্থ পড়িতেছিলেন। স্বচরিতা ধীরে ধীরে তাছার পাশে চৌকি টানিয়া লইয়া বসিল। পরে বাবু বইপানি রাখিয়া একবার তাহার মুখের দিকে তাই আমি একয়দিন এসম্বন্ধে গোরা । SMMMSSMMSMMMMMM MMMMMMMM MMMMMMMM MMMMMMMMS ক্ষোভ পাছে জন্মে এইজন্য কোনো কথা না বলিয়। ধীরে । Q3、? পরেশ বাবু কহিলেন—“তোমার মাসীর জন্তে আমি একটি বাড়ি ঠিক করে রেখেচি।” - স্বচরি । ক’হল—“কিন্তু তিনি ত”— পরেশ বাবু। ভাড়া দিতে পারবেন না ! ভাড়া তিনি কেন দেবেন ? তুমি ভাড়া দেবে। স্বচরিতা অবাক হঠয়া পরেশ বাবুর মুথের দিকে চাহিয়া রহিল। পরেশ বাবু হাসিয়া কহিলেন, “তোমারই বাড়িতে থাকৃতে দিয়ে, ভাড়া দিতে হবে না।” শুনিয়া স্বচরিতা আরো বিশ্বত হইল। পরেশ বাৰু কহিলেন, “কলকাতায় তোমাদের দুটো বাড়ি আছে জান না! একটি তোমার একটি সতাঁশের। মৃত্যু সময়ে তোমার বাবা আমার হাতে কিছু টাকা দিয়ে যান। আমি তাই থাটিয়ে বাড়িয়ে তুলে কলকাতায় দুটাে বাড়ি কিনেছি। এত দিন তার ভাড়া পাচ্ছিলুম, তাও জম্ছিল। তোমার বাড়ির ভাড়াটে অল্প দিন হল উঠে গেছে—সেখানে তোমার মাসির থাকবার কোনো অসুবিধা হবে না।” স্বচরিতা কহিল, “সেখানে তিনি কি একলা থাকতে পারবেন ?” পরেশ বাবু কছিলেন, “তোমরা তার আপনার লোক থাকৃতে তাকে একলা থাকৃতে হবে কেন ?” সুচরিতা কছিল, “সেই কথাই তোমাকে বলবার জন্তে আজ এসেছিলুম। মাসি চলে যাবার জন্তে প্রস্তুত হয়েচেন, আমি ভাবছিলুম আমি একলা কি করে তাকে যেতে দেব। তাই তোমার উপদেশ নেব বলে এসেচি। তুমি যা বলবে আমি তাই করব।” পরেশ বাৰু কহিলেন, “আমাদের বাসার গায়েই এই যে গলি, এই গলির ছটে তিনটে বাড়ি পরেই তোমার " বাড়ি—ঐ বারান্দায় দাড়ালে সে বাড়ি দেখা যায়। সেখানে তোমরা থাকলে নিতান্ত অরক্ষিত অবস্থায় থাকতে হবে না। আমি তোমাদের দেখতে শুনতে পারব।” স্বচরিতার বুকের উপর হইতে একটা মস্ত পাথর নামিয়া গেল। “বাবাকে ছাড়িয়া কেমন করিয়া যাইব" এই চিন্তার সে কোনো অবধি পাষ্টতেছিল না। কিন্তু যাইতেই হইবে ইহাও তাছার কাছে নিশ্চিত হইয়া উঠিয়াছিল।