পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

راسbیا

  • ------------.”-----

- • আমাদের এই সন্মিলন যাহাতে কেবল প্রবন্ধপাঠে এবং জয়নায় কল্পনায় পৰ্য্যবসিত না হয়, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে এবং যাহার কেবল প্রবন্ধ পাঠ বা বক্তৃতা দ্বারা আপনাকে দেশের মধ্যে পরিচিত করিবার জন্য লালায়িত তাহাদের আক্রমণ হইতেও সম্মিলনের রক্ষার উপায়বিধান করিতে হইবে। ইহাতে এক দলের অযথা আক্রোশের আশা করিলে চলিবে না। তংপর সম্মিলনে যাহাতে কোনো একটা অনুষ্ঠান আরব্ধ হয়, একটা কোনো কাযের স্বত্রপাত হয় এবং পরবর্তী সম্মিলনে যাহাতে জবাবদেহ করিবার সংস্থান থাকে তাহার আয়োজন এখন হইতেই করিতে হইবে। এইরূপ কোন কায যদি আপনারা সম্পূর্ণ করিতে পারেন, বা কতকটা স্বত্রপাত করিয়াও দেখাইতে পারেন, তাহা হইলে সন্মিলন সার্থক হইবে ; তাছা হইলে সন্মিলন দ্বারা প্রকৃতই দেশের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হইবে এবং সন্মিলনও ক্রমে ক্রমে সাফল্যের দিকে অগ্রসর হইতে পরিবে। আমি আর অধিক কিছু বলিব না, সভ্যগণের ধৈর্যাচুতির আশঙ্কা করিতেছি। আজ আমরা যে মহামুভবের সভাপতিত্বে এস্থলে সম্মিলিত হইয়াছি, তিনি প্রকৃষ্টতর কথায় আমাপেক্ষ দক্ষতার সহিত আমাদের বর্তমান কৰ্ত্তব্যের বিষয়ে আপনাদিগকে ইঙ্গিত করিয়াছেন। সুতরাং কাহাকে সাধুবাদ দিয়া আমি উপবিষ্ট হইলাম। - শ্ৰীব্রজমুন্দর সান্ন্যাল। মনুষ্ঠা সৃষ্টি । ( ফাস্তুনের প্রবাসীর অনুবৃত্তি ) অমেরুদ্ধগুজাতির মধ্যে কতকগুলি জীব চৰ্ম্মত্যাগের পূৰ্ব্বেক্ত অসুবিধাটা বুঝিয়া উন্নতির আশায় চৰ্ম্মত্যাগ হইতে বিরত হইয়াছিল। কিন্তু এই স্ববুদ্ধিও তাছাদের ভবিষ্যৎ পথ নিষ্কণ্টক করিতে পারে নাই। এক নূতন বিঘ্ন আসিয়া উন্নতির পথ রোধ করিয়া দাড়াইয়াছিল। চৰ্ম্মত্যাগ অভ্যাস পরিহার করায়, ইগদের সকলকেই অপ্লায়ু ও ও ক্ষুদ্রাবয়বৰিশিষ্ট হইয়া জন্মিতে হইত, এবং যাহারা জোর করি দেহের আয়তন বৃদ্ধির চেষ্টা করিত তাহদের ক্ষুদ্র প্রবাসী। [ ৮ম ভাগ। জীবনটা পুনঃ পুন: দেহের পরিবর্তন করিতেই কাটা যাইত । - আধুনিক রেসমকীট এবং নানা জাতীয় পতঙ্গগুলিই পূৰ্ব্বোক্ত জীবের বংশধর। ইহাদের পূর্বপুরুষগণ উক্তি পথ নিৰ্ব্বাচনে যে ভ্ৰম করিয়াছিল, তাহারি ফলে অদ্যাপি ইহার ক্ষুদ্রাবয়ববিশিষ্ট ও অন্নায়ু হইয়া জন্মিতেছে, এবং জীবনের অধিকাংশ সময়ই দেহপরিবর্তন করিয়া কাটাইতেছে। বলা বাহুল্য এই প্রকার ক্ষুদ্র জাতি কখনই বুদ্ধিমান হইয় উঠিতে পারে না। বুদ্ধির জন্য বৃহৎ মস্তিষ্কের প্রয়োজন। ক্ষুদ্রদেহে সে প্রকার মস্তিষ্কের স্থান নাই। পিপীলিকার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের শক্তি বৃহৎ মানবমস্তিষ্কের তুলনায় হীন নয় বলিয়া একটা কথা আছে। একথাটা যে সম্পূর্ণ নিরর্থক তাহ নানা পরীক্ষায় প্রতিপন্ন হইয়া গেছে । বংশামুক্রমে বহুকাল একই কাৰ্য্য অবিচ্ছেদে করিতে থাকিলে, কাজের ভিতরকার খুটিনাটি সকল ব্যাপার ভাল করিয়া বুঝিবার শক্তি সেই বংশের একটা বিশেষত্ব হইয়া দাড়ায় । নানা জাতীয় জীবের বিশেষ বিশেষ বুদ্ধি, জ্ঞান ঠিক এই প্রকারেই ক্রমবিকাশ লাভ করিয়া শেষে সেগুলি জাতিগত সম্পদ হইয়া দাড়াইয়াছে। যে জীবকে তাহার ক্ষুদ্রজীবনে দুই তিনবার দেহপরিবর্তন করিতে হয়, সে কখনই অবিচ্ছেদে কোন একটা কাৰ্য্য করিবার অবসর পাইতে পারে না। কাজেই ইহাতে তাহার বুদ্ধিও যুক্তি পাইবার স্বযোগ হইতে বঞ্চিত হইয় পড়ে। পরিবর্তনশী দেহ লইয়া পতঙ্গজাতিকে ঠিক এই কারণেই অল্পবুদ্ধি হইয়া থাকিতে হইয়াছে। সেমের কাট যখন স্বয়ােপোকার আকারে থাকে, তখন তাহাকে কেবল বৃক্ষপত্র আহার করিয়াই জীবনধারণ করিতে হয়। এই অবস্থায় ইহারা নানাশক্রর গ্রাস হইতে আত্মরক্ষা করিয়া স্বস্বাছ পত্র উরন্থ করিবার কৌশল শিথিয় ফেলে। কিন্তু সেই পোকাগুলিই যখন সুদীর্ঘ নিদ্রার পর গুটি কাটয় প্রজাপতির আকারে বাহির হইয়া পড়ে, তখন তাছাদের পূর্বের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কোন কাজেই লাগে না। এই অবস্থায় তাহাদিগকে সম্পূর্ণ নূতন শত্রুর সহিত সংগ্রাম করিয়া নূতন উপায়ে আহার সংগ্রহের জন্য শিক্ষানবিসি করিতে তে হইত। হঠাৎ প্রতিকুল অবস্থায় আসিয়৷ ১২শ সংখ্যা । ] उाहीनते মৰ্ম্মে প্রবেশ কৰিয়া বৃদ্ধিকে উন্নত করিতে পারে না। পূৰ্ব্বোক্ত বিবরণগুলি হইতে স্পষ্টই বুঝা যায়, অমেরুদণ্ড জীব প্রথমে তাহার সমেরুদণ্ড ভ্রাতাকে পশ্চাতে ফেলিয়া শেষে নিজেই পিছনে পড়িয়াছিল ; আত্মোন্নতি ও আত্মরক্ষার যে কয়েকটি উপায় গ্রহণ করিয়াছিল তাহার কোনটিই উহাদিগকে মনুষ্যত্বের দিকে অগ্রসর করে নাই। যে সকল প্রাণী কোমলদেহে কঠিন মেরুদণ্ডকে পোষণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, শেষে কেবল তাহারাই জয়ী হইয়া পড়িয়াছিল । সমেরুদণ্ড জীব বহুকাল জলচর প্রাণীর আকারে সমুদ্রে বিচরণ করিয়াছিল, এবং পরবর্তীয়ুগে ইহাদেরি কতকগুলি স্থলচর হইয়া দাড়াইয়াছিল। জীবতত্ত্ববিদগণ এই পরিবর্তনের নানাপ্রকার কারণ প্রদর্শন করিয়া থাকেন। তন্মধ্যে চন্দ্রের আকর্ষণকে র্যাহারা প্রধান কারণ বলিয়া উল্লেখ করেন, তাহাদেরি কথা যথার্থ বলিয়া মনে হয়। ইহঁারা বলেন, অতিপ্রাচীনকালে যখন চন্দ্র পৃথিবীর খুব নিকটে ছিল, তখন তাহার প্রবল টানে সমুদ্রজলে অত্যন্ত অধিক জোয়ার ভাটা হইত। এই জলোচ্ছাসের সঙ্গে সঙ্গে যে সকল জলচর জীব স্থলে উঠিত, ভাটার জলের সঙ্গে তাহাদের সকলগুলি সমুদ্রে পড়িত না। এই প্রকারে কতকগুলি জীবকে প্রতিদিনই দুইবার করিয়া স্থলবাসী পড়িলে, জীবত্ব। সাহাষ্যে প্রতিকুলকে অমুকুল করিয়া লওয়াই জীবের কাজেই সাধারণ জলচর জীব যে শ্বাসযন্ত্রের জলের ভিতরকার অক্সিজেন সংগ্ৰহ করিয়া জীবিত থাকিত তাহার পরিবর্তন আবশুক হইয়াছিল । জলোচ্ছ,াসের সঙ্গে স্থলে আসিয়া পড়িলে তাহ-দ্বারা বায়ুর অক্সিজেন সংগ্রহ করা যাইত না । এই প্রয়োজনই জলচরের ফুলকো (Gill) অলস করিয়া রাখিয়া নুতন শ্বাসযন্ত্র ফুসফুসের (Lungs) উৎপত্তি করিয়াছিল । সমেরুদণ্ড জলচর জীব পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে স্থলচর জীবে পরিণত হইয়া ক্রমোন্নতির পথ ধরিতে পারিয়াছিল কি না, এখন আলোচনা করা যাউক ৷ জলচর জীব পরীক্ষা হয়। কাজেই পুৰ্ব্বাপর জীবনের /് অভ্যাসই করিতে গেলেই “ಸ್ಟ್ তাহার"মস্তিষ্কের ক্ষুদ্রতা আমাদের ੋਵੇ। ۹ سانتی চোখে পড়ে। এই অসম্পূর্ণতার কারণ নির্দেশ করা কঠিন নয়। যে জাতি আবশ্যকীয় সমস্ত জিনিস হাতের গোড়ায় পাইয়া একঘেয়ে জীবন অতিবাহন করে, তাহার মস্তিষ্কের বিকাশ কোনক্রমেই সম্ভবপর নয়। সৰ্ব্বদাই প্রায় সমোঞ্চ জলে বিচরণ করিয়া জলচরগণ জীবনকে খুবই একঘেয়ে করিয়া তুলিয়াছিল। শীতাতপ ঝড়বৃষ্টির অত্যাচার হইতে রক্ষা পাইবার জন্য ইহাদিগকে মোটেই বুদ্ধির পরিচালনা করিতে হইত না, এবং আহাৰ্য্যও প্রচুর পরিমাণে হাতের গোড়ায় সঞ্চিত থাকিত। কাজেই জলকে স্থায়ী আবাসস্থান রূপে নিৰ্ব্বাচন করাই ইহাম্বের সৰ্ব্বনাশের মূল কারণ হইয়া দাড়াইয়াছিল। ইহাদেরি যে সকল বংশধর হঠাৎ স্থলচর হইয়া পড়িয়াছিল, উন্নতি কেবল তাহাদেরি নিকট সুলভ হইয়া আসিয়াছিল। স্থলচর হইয়া জীবগণ বহুদিন একভাবে চলিতে পারে নাই। শীঘ্রই আর এক সঙ্কটকাল উপস্থিত হইয়াছিল। স্থলচরগণ অবস্থা বিশেষে পড়িয়া পক্ষী এবং স্তন্যপায়ী এই দুই পৃথক জাতিতে বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছিল। এই জাত্যস্তর পরিগ্রহের কারণ নির্ণয় কুরিতে গেলে, রক্তসঞ্চলন পদ্ধতি ও শ্বাসঘন্থের ক্রমিক পরিবর্তন অনুসন্ধিৎসুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সাধারণ স্থলচরদিগের মধ্যে যাদ্ধাদের হৃৎপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা বাড়িয়া গিয়াছিল, এবং সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের আয়তনও প্রসারিত হইয়াছিল, তাহারা আর পূর্বের প্রকৃতি রক্ষা করিয়া থাকিতে পারে নাই। বৃহৎ ফুসফুসের সাহায্যে পরিষ্কৃত হইয়া বিশুদ্ধ রক্ত সৰ্ব্বদাই তাহাদের ধমনীতে চলিত। তাছাড়া দেহাভ্যন্তরে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের যোগে প্রবলভাবে রাসায়নিক কাৰ্য্য স্বরু হওয়ায় পূৰ্ব্বপুরুষদিগের তুলনায় তাঁহাদের - শরীরের তাপও যথেষ্ট বৃদ্ধি পাইয়া গিয়াছিল। এই প্রকারে নবশক্তিযুক্ত হইয়L নূতন জীবগণ অলস হইয় বসিয়া থাকিতে পারে নাই। সেই সময়ে সমগ্র ভূভাগ জলচর জীব হইতে উৎপন্ন মহাকায় সীস্থূপ (Reptiles) দ্বারা আকীর্ণ ছিল। ইহাদেরি সহোদরগণ যখন নূতন শক্তি’ এবং উন্নত প্রকৃতি লইয়া জন্মগ্রহণ করিল, তখন নূতন পুরাতনে ঘোর সংগ্রাম উপস্থিত হইয়াছিল। নূতন জীৰ প্রচুর অক্সিজেন দেহস্থ করিয়া যে শক্তির সঞ্চয় করিত, •