পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sw সমিতির উদ্দেশু। তিন শ্রেণীর সভ্য লইয়া এই সমিতি গঠিত 3–(S) afélan Tej (life members), (R)-isoto সভ্য (fellows) ও অভিভাবক (patrons )। সমিতির স্থাপিত বিদ্যালয়ে যাহারা অন্ততঃ ২০ বৎসর শিক্ষা কার্য্যে ছীবন উৎসর্গ করিতে অঙ্গীকার করেন তাহারা আজীবন সভ্য। যাহারা অনুন ২০০ টাকা দান করেন তাহার সাধারণ সভ্য এবং যাহারা ১,০০০ বা তদূৰ্দ্ধ টাকা দান করেন র্তাহার অভিভাবক রূপে গণ্য হয়েন। আজীবন সভ্যগণ এবং তাহদের সমানসংখ্যক, সাধারণ সভ্য ও অভিভাবকদিগের মধ্য হইতে মনোনীত, লোক লইয়া “কেন্সিল” গঠিত হয়। এই কেন্সিলের উপর সমিতি সংক্রান্ত যাবতীয় বিদ্যালয় রক্ষা ও পরিচালনের ভার। আজীবন সভ্যগণ ফগুসন কলেজ ও নুতন ইরাজী স্কুলের শিক্ষা ও অন্যান্য আভ্যন্তরিক বিষয়ের পরিচালন করেন, কেন্সিল মূলধন ( permanent funds) or of foxê Hoff, s অন্যান্ত বহিঃস্থ বিষয় পৰ্য্যবেক্ষণ করেন। ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে সাতারা নগরে নূতন ইংরাজী স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছে। পুণায় একট প্রাথমিক পাঠশালাও ইহার চালাইতেছেন। দক্ষিণী শিক্ষাসমিতি এক্ষণে সৰ্ব্বসমেত পুণায় একট প্রথম শ্রেণীর কলেজ, একটি প্রথমশ্রেণীর এন্টান্স বিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক পাঠশালা এবং সাতুরায় একটি এন্ট্রান্স বিদ্যালয় চালাইতেছেন। সালের শেষে সমিতির তহবিলে ১,১৭,৩০৪৷U• মূলধন রূপে মজুত ছিল। ইহার দ্বার স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে যে সমিতির আর্থিক অবস্থ৷ মন্দ নহে। ফগুসন কলেজের অট্টালিকা, ছাত্রাবাস, জমী, পুস্তক, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাদি প্রভৃতি সৰ্ব্বসমেত প্রায় পাচ ছয় লক্ষ টাকা মূল্যের হইবে। কলেজমন্দির প্রস্তরনিৰ্ম্মিত, ও সুদৃশ্য। চারিদিকে বাগান ও প্রশস্ত জমী আছে। সীমার মধ্যে প্রিন্সিপাল ও অধ্যাপকদিগের বাসের জন্ত পাচ থানি ‘বাঙ্গলা” আছে। ছাত্রাবাসে প্রায় ১৫০ ছাত্রের স্থান সস্কুলান হয়। ১৯০৬-০৭ সালে কলেজে ৫• • ছাত্র ছিল —এম, এ, শ্রেণীতে ৭ জন, সানিয়র বি, এ, ৬৩, জুনিয়র বি, এ, ৫৫, আই, ই, ১১৪, পি, ই, ২৪৫, বি, >S ०७l०१ [ ৮ম ভাগ । এস கி. , সনির আই এসসি br, ત્તિ জুনিয়র আই । | -- ২য় সংখ্যা । ] দকে অঙ্গীকার হইতে মােচন করিতে চলিছিলেন। এস সি, ৭ জন। ঐ বৎসরে নিম্নলিথিত ছাত্র সংখ্যT নি অঙ্গীকার পালন করিতে বদ্ধপরিকর হইয়া য়ুনিভার্সিটি পরীক্ষোত্তীর্ণ হইয়াছে—এম, এ, ১, বি, এ, ৩৮, আই. এস সি. ২, আই, ঈ, ৪৯, পি. ঈ, ১০৮। ১৯০৪-৫ সাল হইতে ফগুসন কলেজ গভর্ণমেণ্টের নিকট হইতে বাৎসরিক ১০,০০০ টাকা অর্থ সাহায্য পাইতেছে। পূৰ্ব্বে ইহা অপেক্ষ কম সাহায্য পাইত। গভর্ণমেণ্টের সাহায্য লইলেও ইহা প্রধানতঃ বেসরকারী লোকের দ্বারা স্থাপিত ও চালিত। সব দিক বিবেচনা করিয়া ইহাকে ভারতবর্ষের মধ্যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট বেসরকারী স্বদেশী কলেজ বলা যাইতে পারে। য়ুনিভার্সিটি কমিশনও এইরূপ মত প্রকাশ করিয়া, ছিলেন। কলেজে পদার্থবিজ্ঞান (Physics) ও রসায়ন শিখাইবার বন্দোবস্ত আছে এবং জীব-বিজ্ঞান (Biology) শিক্ষার আয়োজন হইতেছে। বোম্বাই অঞ্চলে গভর্ণমেণ্টের কলেজ অপেক্ষ এখানে বিজ্ঞান শিক্ষার উৎকৃষ্ট আয়োজন আছে বলিয়া অনেকের মত । পুণা নূতন ইংরাজী স্কুলে ১৯০৬-৭ খৃষ্টাব্দে ৭২২ ছাত্র ছিল। বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ছাত্রাবাস, থেলিবার স্থান ও বাগান আছে। ১,৩৮,৫০০ ব্যয়ে ইহার জন্য নুতন বাড়ী প্রস্তুত হইতেছে । ফাগুসন কলেজ ও দক্ষিণী শিক্ষাসমিতির সৰ্ব্বাপেক্ষা উল্লেখ যোগ্য বিষয় আজীবন সভ্য। ইহারা অন্ততঃ ২০ বৎসর অধ্যাপনা কাৰ্য্যে জীবন উৎসর্গ করেন। সংসার নিৰ্ব্বাহার্থে মাসিক ৭৫ টাকা মাত্র পাইয়া থাকেন। প্রধান অধ্যাপক ভাতৃ স্বরূপ আরও ২৫ টাকা পাইয় থাকেন। এইরূপ স্বাৰ্থত্যাগ করিয়া শ্ৰীযুত বালগঙ্গাধর তিলক,গোপালকৃষ্ণ গোখলে, রঘুনাথ পুরুষোত্তম পরাঞ্জপে প্রমুখ বিদ্বান ও প্রতিভাশালী লোক ইহাতে যোগ দিয়াছেন। শ্ৰীযুক্ত গোপালকৃষ্ণ গোখলে নিয়মিত ২০ বৎসর কাল অধ্যাপনা করিয়া এক্ষণে রাজনীতি চর্চায় রত আছেন, কিন্তু এখন পর্য্যন্ত ফগুসন কলেজের মঙ্গলার্থে কায়মনোবাক্যে চেষ্টা করিয়া থাকেন। শ্ৰীযুক্ত পরাঞ্জপে বিলাতে অধ্যয়ন করিতে যাইবার পূৰ্ব্বে আজীবন সভ্য হইতে স্বীকৃত হইয়াছিলেন। তিনি সীনিয়র র্যাঙ্গলার হইলে, শিক্ষাসমিতি তাহার ভবিষ্যৎ উন্নতির পক্ষে অস্তুরায় না হইবার জন্য ছিলেন। এক্ষণে তিনি ফগুসন কলেজের প্রধান অধ্যাপক, এবং মাসিক ৭৫ টাকা বেতন ও ২৫ টাকা ভাতা পাইয়া থাকেন। সরকারী কাৰ্য্য করিলে তিনি কত উপায় ও সম্মান লাভ করিতে পারিতেন, এবং শিক্ষা সমিতিতে যোগ দেওয়াতে কত স্বার্থত্যাগ করিতে হইয়াছে, তাহ পাঠকবর্গ সহজেই বুঝিতে পারবেন। অধ্যাপকদিগের অসাধারণ দার্থত্যাগই এইরূপ বিদ্যালয়ের প্রাণ। ভারতবর্ষের অন্যান্ত অঞ্চলে এরূপ স্বাৰ্থত্যাগের দৃষ্টান্ত বিরল। দৃষ্টান্ত বহুল েৈল দেশের মঙ্গলের আশা করা যাইতে পারে। ঋষিদিগের জন্মভূমিতে এ দৃষ্টাস্তের কি অভাব হইবে ? আমাদের oাগ্যবশতঃ সত্য সত্যই কি সাগর শুকাইয়া গিয়াছে, লক্ষ্মী লক্ষ্মী-ছাড়া হইয়াছে ? আনন্দাশ্রম, পুণ । স্বৰ্গীয় মহাত্মা মহাদেব চিন্নাজ আপ্তে প্রায় অষ্টাদশ বংসর পূৰ্ব্বে আনন্দাশ্রম স্থাপন করিয়াছিলেন। ইনি হাইকোর্টের উকীল ছিলেন, এবং উইল দ্বারা এই আশ্রমের রক্ষার্থে ১,২৫,০০০ টাকা দান করিয়াছিলেন। এই আশ্রমের তিনটি উদ্দেশু – (১) পুরাতন সংস্কৃত হস্তলিখিত পুথি সংগ্রহ ও রক্ষা কর । (২) মূল্যবান সংস্কৃত গ্রন্থের বিশুদ্ধ সংস্করণ পুস্তকাকারে মুদ্রিত ও প্রকাশিত করা ও তজ্জন্ত একটি ছাপাখানা স্থাপন করা। - (৩) অন্ততঃ পাচটি বিদ্বান সন্ন্যাসী বা পণ্ডিতকে আশ্রয় ও আহার দেওয়া। ইহার নানা হস্তলিখিত পুথি দেখিয়া তাহাদের উৎকৃষ্ট সংস্করণ প্রস্তুত করিতে সাহায্য করিবেন এবং সংস্কৃত শাস্ত্র ও দর্শন সম্বন্ধে বস্তৃতাদি দিবেন। উপরি উক্ত উদ্দেশু সাধনার্থে আশ্রমস্থাপক আপ্তেমহাশয় তাহার জীবদ্দশায় ৯০ ০০০ টাকা ব্যয়ে পুস্তকাগার, ছাপাখানা, সন্ন্যাসীদিগের আশ্রম এবং অন্তান্ত আবশ্বকীয় গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া গিয়াছিলেন। প্রস্তর, লৌহ প্রভৃতি, যাহাতে অগ্নি সংযোগের আশঙ্কা না হয়, এরূপ উপকরণে পুস্তকাগার নিৰ্ম্মিত । ইহাতে ৫০,০০০ পুস্তক রাখিবার や – পুণা। .................................----------്~~ ףס: -ം ------" স্থান আছে, এ পর্য্যস্ত প্রায় ৭০০০ পুস্তক সংগৃহীত হইয়াছে। ইহার উপরি তলায় শাস্ত্রীয় বক্তৃতাদির জন্ত একটি স্ববৃহৎ হলঘর, হলঘরের একদিকে একটি শিবলিঙ্গ আছে। এই ইমারতের চারিদিকে থালি জমী আছে। নিকটেই সন্ন্যাসীদিগের আশ্রম এবং সংস্কৃত গ্রন্থ ছাপিবার জন্ত ছাপাখানা। বিখ্যাত সংস্কৃত অধ্যাপক এবং পণ্ডিতগণের সাহায্যে প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সংস্কৃত গ্রন্থের বিশুদ্ধ ও উৎকৃষ্ট সংস্করণ এই আশ্রম হইতে ক্রমশঃ প্রকাশিত হইতেছে। এ পর্য্যন্ত ৫৮ খানি গ্রন্থ ৮১ বালমে প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাদের সমগ্র মূল্য ৩৪৫৷go । তন্মধ্যে ২৮ খানি বে গ্রন্থ, ৯ খানি বৈদিক, ৮ পুরাণ, ৫ চিকিৎসা, ১ পূৰ্ব্বমীমাংস। ১ যোগ, ১ ধৰ্ম্মশাস্ত্র, ২ স্মৃতি, ১ ব্যাকরণ, ১ সঙ্গীত ও ১জ্যোতিৰ্ব্বিজ্ঞান সম্বন্ধীয়। পুস্তকের মূল্য সাধারণের পক্ষে টাকায় ১০১ পৃষ্ঠা ( রয়াল আট পেজী ) হিসাবে। যাহারা আশ্রমের প্রকাশিত সমস্ত পুস্তক গ্রহণ করিতে? ইচ্ছুক তাহদের পক্ষে এই মুল্যের তিন-চতুর্থ অংশ। হিন্দু বিধবা বালিকাশ্ৰম (Hindu Widows' Home) প্রায় ১৩ বৎসর পূৰ্ব্বে ফগুসন কলেজের অধ্যাপক ঐযুক্ত ধোণ্ডে কেশব কর্বে অনাথ হিন্দু বিধবাদিগের জন্য এই আশ্রম স্থাপন করিয়াছেন। প্রথমে অতি সামান্ত ভাবে একটি সামান্ত বাড়ীতে দুই চারি জন বিধবাকে তিনি ও তাহার স্ত্রী লালন পালন করিতে ও লেখাপড়া শিখাইতে আরম্ভ করেন। ক্রমে ক্রমে সাধারণের সাহায্য ভিক্ষা করিয়া পুণা সহর হইতে দেড় ক্রোশ দূরে একটি স্ববৃহৎ আশ্রম স্থাপন করিয়াছেন। এই প্রস্তর নিৰ্ম্মিত চতুষ্কোণ বাড়ীতে ৮০৯০ জন ছাত্রীর স্থান আছে। ডাক্তার রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর এই আশ্রমসমিতির সভাপতি। শ্ৰীমতী কাশীবাই দেবধর আশ্রমের প্রধান তত্ত্বাবধারক। তিনি ছাড়া আরও তিন জন স্ত্রীলোক শিক্ষয়িত্রী আছেন, এবং চারিজন পুরুষ শিক্ষক আছেন। শ্ৰীযুক্ত কবে, শ্ৰীমতী কাশীবাই এবং অন্যান্ত শিক্ষকগণ র্তাহাদের বিদ্যালয়ের অবকাশের সময় নানা স্থান পরিভ্রমণ করিয়া সাধারণের সহানুভূতি উৎপাদন এবং অর্থ সংগ্ৰহ করিয়া থাকেন।