পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক বলীদ্বীপের লেগং নৃত্য లీ গ্রামের একান্ত আবখ্যক স্থান । গ্রামের যাবতীয় কাঞ্জকৰ্ম্মে, বিচার-আলোচনায় সকলে এখানে একত্র হয় । এই স্থানটি মৃত্যগীতের একটি প্রধান আডিড। গ্রামের সন্ম গামেলান-যন্ত্র, নাচের সাজ ইত্যাদি এখানে একটি ঘরে সব সময় মজুত থাকে। এ সবই গ্রামের সর্বসাধারণের সম্পত্তি, সকলের সাহায্যেই এসব তৈরি হয়েছে। গ্রামে ভাল নাচিয়ে তৈরি কর, গামেলান-সঙ্গীতের ভাল দল থাকা সব গ্রামেরই একটি বিশেষ গৌরবের বস্তু। সন্ধ্যাবেলায় সারাদিনের পরিশ্রমের পর, গ্রামের চাষী মজুর ইত্যাদি থেকে উচ্চবংশের ছেলে পর্য্যস্ত সকলে একসঙ্গে জড় হয় এই সঙ্গীতশালায়, বা জনা অভ্যাস, নাচ অভ্যাস, নূতন কিছু করার আলোচনা চলে। এইখানে এরা এই গানবাজনা ও নাচের ভিতর দিয়ে দিনের সব পরিশ্রম যেন সম্পূর্ণ ভুলে যায়। বলদ্বীপের বিখ্যাত লেগং-নচিয়ে বালিক, সাদি দেন।পাশার শহর থেকে কত রাত্রে গেছি পাশের গ্রামে, তাদের এই নৃত্যগীতের অভ্যাস দেখতে। দেখেছি, বালক ও যুবকর তন্ময় হয়ে বাজাচ্ছে। এইখানে বৃদ্ধের থাকে না, এক জন দলপতি আছেন দেখলাম। তিনি নানা ভাবে শিক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। কোন রাত্রে নৃত্যাভিনয়ের কোন বিশেষ অংশের অভ্যাস হ’ল, প্রায় সব প্রধান প্রধান প্রবীণ নাচিয়ের উপস্থিত। নানা ভাবে পরামর্শ চলেছে কি ভাবে গল্পটিকে থাড় করতে পারা যায়। কোন রাত্রে দেখি বালক-বালিকাদের কোন বিশেষ নাচ গামেলানসঙ্গীতের সঙ্গে শেখানো হচ্ছে। যদিও তার বেশ পটু, ‘g পাথী-হাতে দু-জন বালিকার লেগং-নৃত্যভঙ্গী তবু এতটুকুও খুৎ রাখতে দিতে প্রবণের রাজী লল । এখন এদেশের প্রসিদ্ধ লেগং মৃত্য সম্বন্ধে লিখি । নাচ হিসাবে এইটি কি দেশী কি বিদেশী সকলেরই উপভোগের বস্তু। এ নাচটি এদেশের একটি প্রাচীন সাধারণতঃ জনসাধারণের আমোদের উদ্দেশ্যেই এ দেশের সকলের বিশ্বাস, এ নাচটি পূজা-নৃত্য “শু্যাংয়াং’, ও “গান্ত” নামে একটি প্রাচীন নৃত্যাভিনয় থেকে উৎপত্তি । এই তিনটি নাচের ধরণ থেকে যা সুন্দর তাই যেন ছে কে নিয়ে লেগং নাচ তৈরি হয়েছে । এ নাচের উৎপত্তির বিষয়ে একটি গল্প এদেশের বৃদ্ধদের মুখে শোনা যায়। কোন এক সময়ে এ দেশের এক নৃপতির কয়েকটি নৃত্যকুশলী রাণী ছিল। এক বার রাজার হঠাৎ ইচ্ছা হ’ল তিনি র্তার রাণীদের নাচ দেখবেন । তৎক্ষণাৎ সেইরূপ আদেশ করলেন । এই নাচতে বলাকে এদেশের প্রাচীন ভাষায় বলে “লেগং’ । এই নাচে রাণীর চেষ্টা করেছিল রাজার মনোরঞ্জন করতে, রাজার মনও শোনা যায় রাণীদের সুন্দর নৃত্যে মুগ্ধ হয়েছিল । এ নাচটি যে জনসাধারণের মনোরঞ্জনের জন্তে সে দেখলেই বোঝা যায়। চোখের বঙ্কিম দৃষ্টি, মুখের নাচ । এর স্বষ্টি । “রজ জাং ”,