পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X తి" একখানি ৫১২ পৃষ্ঠার বই হাতে লইয়া, একথানি বৃহৎ সৃষ্টি ঠাহার প্রথম शोम । বাংলার পল্লীর এক বদ্ধিষ্ণু জমিদারের ঘরের ছেলের মৰ্ম্মান্তিক জীবনকথা বইখানির কাহিনী । প্রথম পৰ্ব্বে কুশাস্তুের বালান্থতির কাহিনী অতি সুন্দর-যাহাকে বলে মনোরম তেমনি মনোরম হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। হশাস্তের সঙ্গেই বাংলার পল্লীর ছবি নুতন দৃষ্টিতে পাঠককে দেখিতে হয়, আপনার বাল্যস্থতি জাগিয়া উঠে, তার পর স্বশান্তের ধেীবন ও বিবাহিত জীবনের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাজেডির সুত্রপাত হইল। শেষ পরিণতির দিকে অগ্রসর হইবার পথে ধীরে ধীরে জীবনের গতিবেগের সহিত সমত। রাখিয়া লেখক দক্ষতার সহিত চলিয়াছেন । কিন্তু এইখান হইতে লিখন-পদ্ধতি বা ভঙ্গির ঈষৎ পরিবর্তন ঘটিয়ছে, আত্মকাহিনীর ভঙ্গি উপস্থাসের ভঙ্গিতে রূপ লইয়াছে, অর্থাৎ পরের কথা অত্যন্ত দরদের সহিত নিজের করিয়া লইয়া বলা হইয়াছে । মৰ্ম্মান্তিক দুঃখকর অবস্থার মধ্যে পড়িয়া অবশেষে গভীর বিয়োগান্ত পরিণতিতে বইখানি সুসমাপ্ত । নায়কের চরিত্র অসাধারণ নয় কিন্তু ঘটনার চক্রে চক্রে আবৰ্ত্তিত হইয়া সে সৰ্ব্বহার আত্মহারা পরিশেষে খুনীর মূৰ্ত্তিতে যখন কাঠগড়ায় উপনীত হইয়াছে তখন সে অসাধারণ। পাশ্বচরিত্রগুলিও সুস্পষ্ট এবং সম্পূর্ণ। হশাস্তের দাদা একটি চমৎকার চরিত্র । তাহার বউদিদি বাঙালীর ঘরের ঘর-আলো-করা বউ মঙ্গললক্ষ্মী, এই মেয়েটি থাকিলে এমন ঘটনা ঘটিত ন। ইহা নিশ্চিত । দুঃখিনী মেয়ে সাবিত্রীও হনরি হইয়াছে । সুশাস্তের স্ত্রী রূঢ় বাস্তবের প্রতিমুপ্তি। আলি মিঞা সুন্দর । ক্রটিবিচূতি খুব অল্পই, কিন্তু এত বড় বইয়ের মধ্যে তাহা অত্যন্ত ক্ষুদ্র এবং নগণ্য । আরতি—শ্ৰীপ্ৰবোধ ঘোয় । লেক বুকণ্ঠল, ৫১ বি রাসবিহারী এভিনিউ, কলিকত। । ১৪৪ পৃষ্ঠা । মূল এক টাকা । গল্পগুলি সব দিক দিয়া বৈশিষ্ট্যযুক্ত। প্রথম বৈশিষ্টা ইহার আয়তন —fতল পৃষ্ঠা চার পৃষ্ঠায় সুন্দর হসমাপ্ত এক একটি গল্প, সকলের চেয়ে বড় গল্পের পরিধি সাত পৃষ্ঠা । তাহার পর পড়িতে গেলেই চোখে পড়ে লেখকের অভিনব দৃষ্টভঙ্গি এবং প্রকাশভঙ্গি । অত্যন্ত ছোটখাট ঘটনা অহরহ সৰ্ব্বত্র ঘটিতেছে, কেহ লক্ষ করে না, এমন কি যাহার জীবনে ঘটে সেও মনে রাখে না, সেইগুলি শিল্পীর মনে ধরা পড়িয়ছে এবং নিষ্ঠার সহিত অকপটে তহ্যের সত রূপ তিন প্রকাশ করিয়াছেন—তবুও তাহ। অসাধারণ হইয়। পাঠকের চোখে ফুটিয়া উঠিয়াছে । ভূমিকা লিথিয়াছেন বাংলা সাহিতের বিশিষ্ট মনীষী বীরবল শ্রীযুক্ত প্রমথ চৌধুরী মহাশয় । ভূমিকায় দেখিলাম লেখক ‘সবুজ পত্রের লেখক। সুতরাং ভরসা করিয়। প্রবীণু বুলি েছি, প্রবীণ লেখকের পরিণত মূলের দীন পাইলে আমরা সুগী হইব । শ্ৰী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ব্যবধান—শ্ৰীনগেন্দ্রকুমার গুহরায় । গুরু লাইব্রেরী, ২•৪, কর্ণওয়ালিস স্ট্রট, কলিকাতা । পৃষ্ঠা-সংখ্যা ২৭৪ । মুলা ২২ । প্রথম জীবনে মনীষী নীলিমীকে ভালবাসে । রূপ-যাচাইয়ের কষ্টিপাথরে নীলিম নিখুৎ প্রমাণিত না হওয়ায় মনীষীর মাতার অমতের জষ্ঠ বিবাহ হইল না । মনীষী স্থির করিল ব্যর্থ প্রেমের স্মৃতি লইয়।ই সে জীবনট কাটাইয়া দিবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মারের আগ্রহাতিশয্যে প্রবাদী ృe8ు তাহাকে ইন্দুমতীকে বিবাহ করিতে হইল। এই নুতন জীবনের একটানা প্রবাহে হঠাৎ একটি আবৰ্ত্ত স্বষ্টি করিল নীলিমার মনীষীকে লেখা একথান। চিঠি—নীলিমার বিবাহ হইয়াছিল, বিধবা হইয়াছে, এই খবর। একটু অসাবধানতার জন্ত চিঠিখানি ইন্দুমতীর হাতে পড়ে। তাহার পর নানা জটিলতার সৃষ্টি । এই যে প্রথম জীবনের ব্যর্থ প্রেম উত্তর-জীবনে মনীষী আর ইন্দুমতীর নিবিড় সন্নিধ্যের মধ্যেও একটা দূরত্ব স্মৃষ্টি করিয়া রাখিল, গ্রন্থকার এর করুণ রূপটি ভালভাবেই ফুটাইয়াছেন। তবে বইয়ের স্থানে স্থানে প্রয়োজনীতিরিক্ত বাগ বস্তারের দোষ আছে ; যেমন, শুধু নাম লইয়। দীর্ঘ অধ্যায়টি ধৈর্যাচুঠি ঘটায়। এই সব স্থানে কলম একটু সংযত করিলে বইটি আরও সুখপাঠ্য হইত । পথিক মানুষ—শ্ৰীমদৰ্শনম্। সাহিত্য-বিহার, ৪৬৪ হারিসন রোড, কলিকাতা । শরৎচন্দ্রের জীবনের কয়েকটি ঘটনীয় সঙ্গে অল্পবিস্তর কল্পনা সংযোগ করিয়৷ ক্ষুদ্র পুস্তিকাটি লিখিত। পত্র-সংথ্য। লেখা নাই , গুনিয়। দেখিলাম ৩১ পৃষ্ঠা। এও একটা নুতনত্ব আরম্ভ হইল নাকি ? অল্প পরিসরের মধ্যে কথাশিল্পা শরৎচন্দ্রের জীবনের মূল কুরটি ফুটিয়াছে মন নয়। বড়দের পরিচিত করিবার জন্য সস্ত সংস্করণের এ-রকম বইয়ের প্রয়োজন আছে। তবে চার অান মূলের মধ্যে ছাপা কাগজ আর একটু ভাল আশা কর। যার। মরূদ্যান—ষিশ্ব বিশ্বাস । কর্ণওয়ালিস স্ট্রট । মূল্য দশ ত্যান । চুরাশি পাতার একখানি উপন্যাস । একরাশ ‘চরিত্র এবং দগুরূপ ঘটনার অবতারণ। করিয়া অল্প পরিসরের মধ্যে বইথাণি শেষ করা হইয়াছে, স্বতরাং কিছু ভাল করিয়া ফুটিবার অবসর পায় নাই । মনে হয় আরও একটু ধৈয্যের সঙ্গে বিস্তারিত করিয়া লিখিলে লেখক কতকটা সফলকাম হইতেন । কেন না, অধৈৰ্য্যই ঠাঙ্কার সবচেয়ে বড় দোষ বলিয়া মনে হইল । শ্ৰীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় অtয পাবলিশিং কোং, ২২, কোণার্ক মন্দির—শ্ৰীবীরেন্দ্রনাথ রায় । পুরী বঙ্গ সাহিত্য পরিষদ হইতে গ্রন্থকার । মুল্য আট আন । পুঃ ৪৬+ ১৯ চিত্র । ইহাতে মন্দিরটির সম্বন্ধে অনেক সংবাদ দেওয়া আছে । ইতিহাস আলোচনা করিতে গিয়া গ্রন্থকার স্থানে স্থানে নুতন খবর দিবার চেষ্টা করিয়াছেন । ছবিগুলি থাকায় মন্দিরের বর্ণনা বুঝিতে পাঠকের কোনও অসুবিধা হয় না। একটি ছবিতে সামান ভুল দেখিলাম। ৩ পৃষ্ঠার যাহ। “কোণার্কের মন্দির দেওয়ালের একপাশ্ব” বলিয়া ছাপা হইয়াছে তাহা যথার্থ ভুবনেশ্বরে রাজারাণী মন্দিরের পশ্চিম ভাগের চিত্র । যারীদের উপযোগী অনেক সংবাদ আছে বলিয়৷ ইহা সকলের টপকারে আসিবে । শ্ৰীনিৰ্ম্মলকুমার বসু