পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rş سوالا ੀ ১৩৪৬ সে কহিল—আমার ব্যাদনার ব্যারাম । কহিলাম-ব্যথার ব্যারাম, তযু ভাত খাব ? সে কহিল—না খাইয়া করমু কি, কয়ুন । কহিলাম—হাডিয়া যাইতে পাৰ্ববা । —কন্দুর ? —আমার বাসায় । বেশ দূর না, এই চকৃবাজার ছারাইয়া আর কতভুক্‌ ৷ ততক্ষণ আশেপাশে দুই-চার জন কৌতুহলী দর্শক জুটিয়াছে। বিনা-টিকিটের মজায় ইহাদের অভাব কোথাও হয় না। ছাত্রদের এক জন কহিল—সাৰ্ব, বাসায় লইয় যাইবেন ? কহিলাম—না যাইয়া আর করমুকি। পকেটে পয়সা আধ গানও নাই । সে কহিল—পয়সা আমারুঙে আছে আমি দি। কহিলাম—থাউক, ভাতই খাওয়াই । পয়সা দিলে তো খাইবে বিরি । এক জন দশক কহিল—আরে ওডো না মদে, ভাবে কি । বাবুর লগ লগ, যাওঁ । আমি কহিলাম—কি কও, পার্বুবা না হাতে ? সে কহিল—ঐ যেন চখের পোল ? ーを1 —পারমু । —তয় গুড়ে । --উড়ি । বলিয়। সে ধীরে ধীরে উঠিয় দাড়াইল । ইেট হইয়া তাহার কি যেন দু-এক টুকরা কাপড়-টাপড় কুড়াইয়া লইল । তার পর কহিল—চলেন । হাটিতে আরম্ভ করিয়া কহিল—আমি কোলোম্‌ জোরে হাটতে-আরমু না । কহিলাম—আচ্ছ, তুমি আস্থে আস্থেই আয়ো। আলোয় আসিয়া দেখিলাম বয়স তাহার কচিই—বারেতেরোর মত। অতি শীর্ণ হাত-পা, কিন্তু মুখট ফুলিয়৷ চক্ষু দুইটাকে প্রায় ঢাকিয়া ফেলিয়াছে। ছাত্ররা নদীর পাড়ে চলিয়া গেল 'आशि ছেলেটাকে লইয়া বাসার পথে চলিলাম। যাইতে যাইতে জিজ্ঞাসা করিলাম —নাম কি রে তোর ? সে কহিল—আইজ্ঞা হরিচরণ দাস । বাসার সম্মুখে আসিয়া হরিচরণ কহিল—এই বাসা আপনাবৃগো ? কহিলাম—ক্যান, তুই চেনো নাকি ? সে কহিল—হ, চিনি । আমি এ বাসায় আরও এক দিন খাইছি । বাসায় ঢুকিয় দেখিলাম হরিচরণকে আমি ছাড়া আমাদের পরিবারের সকলেই চেনে । হরিচরণ থাইতে বসিল । আমি কতকটা মুখে এবং কতকটা আমার ভাইবোনদের মুখে, ইতিহাসটা শুনিয়া লইলাম । হরিচরণের বাড়ী বরিশালের মধ্যেই, পিরোজপুরের দিকে। গ্রামের নামটাও বলিয়াছিল, ভুলিয়া গিয়াছি । সংসারে তাহার বাপ মা ভাই কেহ নাই, বিত্তসম্পত্তিও নাই। থাকার মধ্যে আছে শুধু প্রকা ও একটা পেট, ও সেই পেট-ভরা কৃমি। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বরিশালে আসিয়াছে । কহিল—বাবু আপনে যদি দয়া করিয়া আমারে ভৰ্ত্তি করিয়া দেতে পারেন হেইলে আমার পেরানড বাচতে । কহিলাম—আমি কষ্টলেই কি ভৰ্ত্তি করবে ? সে কহিল—হেয়া হয়। ডাক্তার-সাইবেরে আপনে অ্যাট কইয়া দেলেনই হইবে। কে ডাক্তার-সাহেব তাহার নামও জানি না ! অথচ আমি একটু বলিয়া দিলেই তিনি মুগ্ধ বিগলিত হইয়া যাইবেন, নিজের কথার এতটা ক্ষমতার সন্ধান নিজেই রাখি না। কথাটা বিশ্বাস হইল না, কিন্তু চাটুবাক্যের ক্ষমতা অসীম—প্রতও হইলাম। কহিলাম—আমি কইলেই ডাক্তার সাইব শোনে না। আচ্ছা, তুই আইজ খাইয়৷ তে গেলি, দেহি যদি কিছু করোন যায়। হরিচরণ উঠিয়া অঁাচাইয়া আসিল । যাইবার জন্য পা বাড়াইয়া কহিল—বাৰু, আইজ যেন খাইলাম যান বাচলাম । তাহার তাতার