পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to , o

    • >२ প্রবাঙ্গী زنان తిg

কবি রবীন্দ্রনাথও আশীৰ্ব্বা করিলেন— আমদানি ৰঙ্গ হইয়া গিয়াছে। এ দিকে জামসেদপুর, “বাংলার মাটি বাংলায় জল, হিরাপুর ও ফুট প্রভৃতি স্বানে প্রকাও প্রকাও লৌহ বাংলার বায়ু বাংলার ফল, নিৰ্ম্মাণের কারখানা স্থাপিত হইল। ভারতে এখন এত SSBBBBBS BBBBBS SS S0S DBB BBB Sttt LLL S kBBB BB B BBBB BBB “... পুণ্য হউক হে ভগবান।" লৌহের সমস্তু অভাব ত পূর্ণ হইতেছেই, তদুপরি বহু রঞ্জনাথের এই আশীষ-বাণী আংশিক ভাবে সফল হইয়াছে। বাংলার আকাশে বাতাসে এই কয় বৎসর খাণী মন্ত্র ধ্বনিত হইয়াছে। বোম্বাইয়ের দেখাদেখি বাংলা বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিল স্থাপিত হইল। প্রাতঃস্মরণীয় সংস্থাৰ স্বৰ্গীয় মণীন্দ্রচন্দ্র নদীর এবং স্বৰ্গীয় বৈকুণ্ঠনাথ সেন মহাশয়ের অহুপ্রেরণায় বেঙ্গল পটারিস, চামড়ার কল প্রভৃতি স্থাপিত হইল। শ্ৰীযোগেন্দ্রনাথ ঘোষের পরিশ্রমের ফলে ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশন ফর এডভান্সমেণ্ট অফ সায়েন্স মারফত দলে দলে বাঙালী যুবক জাপান, ইংলণ্ড, জার্মানী ও আমেরিকায় শিল্প শিক্ষার জন্য প্রেরিত হইল । তাহারা ফিরিয়া আসিয়া সাবানের কল, দেশলাইয়ের কল, সেলুলয়েডের ফ্যাক্টরি প্রভৃতি স্থাপন করিতে লাগিল। বাংলা দেশে স্বদেশী যুগের প্রবর্তন হইল । ভারতের অন্যাঙ্ক প্রদেশেও বঙ্গদেশের এই স্বদেশী ভাবপ্রবাহ প্রবাহিত হইল। বোম্বাই ও আমেদাবাদ অঞ্চলে আরও বহু কাপড়ের কল বসিল । এখন ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়' আর কিনিতে হর না, এখন মায়ের দেওয়া মিহি কাপড়ই সকলে পরিতে পাইতেছেন । সাহেবেরাও দেশের এই স্বাদেশিকতার পূর্ণ স্বযোগ গ্রহণ করিতে ভুলিলেন না। তাহারাও ভারতের বিভিন্ন স্থানে কাপড়ের কল, শীতবস্ত্রের কল, চামড়ার কল, সিমেন্টের কল, দেশলাইয়ের কল প্রভৃতি স্থাপন করিয়া প্রভূত লাভ করিতে লাগিলেন । ইত্যবসরে ভারত-সরকার অর্থাগমের জন্য নানাবিধ আমদানি-শুস্ক স্থাপন করিলেন । সেগুলি ভারতে শিল্পপ্রতিষ্ঠার বহুল পরিমাণে সহায়তা করিয়াছে। বিদেশী চিনির উপর আমদানি-শুষ্ক স্থাপন করাতে বিহার ও যুক্তপ্রদেশে বহু চিনির কল স্থাপিত হইল। ভারতে এখন বিদেশী চিনি খুব কমই আসে। ভারতে এখন এত সিমেন্ট প্রস্তুত হইতেছে যে বিলাতী ও জাপানী সিমেন্টের সহস্র টন লৌহ বিদেশে রপ্তানি হইতেছে। ভ্যাকৃসিন, সিরাম প্রভৃতি বহু ডাক্তারি ঔষধ প্রধানতঃ বঙ্গদেশে উৎপন্ন হইতেছে। সালফিউরিক, নাইটিক ও হাইড্রো-ফ্লোরিক অঙ্গ, এখন এ দেশে প্রস্তুত হয়। সোডা, ব্লিচিং পাউডার প্রভৃতি রাসায়নিক দ্রব্য এখনও এ দেশে প্রস্তুত হয় নাই, তবে শীঘ্ৰ হইবার আশা আছে। ঘাটশিলায় খনিজ হইতে তাম্র ও পিত্তলের চাদর প্রস্তুত, মহীশূরের কোলার প্রদেশে স্বর্ণ সংগৃহীত হইতেছে। কুইনাইন, ষ্ট্ৰকনিন প্রভৃতি ঔবধ ভারতের ভেষজ হইতে আহত হইতেছে। গায়ে মাখা সাবানের জন্য জার বিদেশীর মুখাপেক্ষী হইতে হয় না এবং কাপড়-কাচ সাবান এখন দেশে সৰ্ব্বত্র বহুল পরিমাণে প্রস্তুত হইতেছে। ইলেক্‌টিক পাথ, বলব, ব্যাটারী প্রভৃতি প্রস্তুত হইতেছে। এলকোহল, ইথার এখন এ দেশে জন্মিতেছে। প্রত্যেক প্রাদেশিক গবর্ণমেণ্ট ইণ্ডাষ্ট্রজ, ডিপার্টমেন্ট খুলিয়াছেন । চতুদিকে প্ল্যানিং কমিটি বসিয়াছে । সৰ্ব্বত্র স্বদেশী দ্রব্য প্রস্তুতকল্পে একটা খুব বড় সাড়া পড়িয়া গিয়াছে। মহাত্মা গান্ধী ঘরে ঘরে চরকা ও র্তাতশিল্প পুনঃপ্রচলনের বাণী প্রচার করিয়াছেন। আমাদের দেশের কৃষকের বৎসরের মধ্যে ছয় মাস কৃষিকৰ্ম্ম করে না । সেই সময় অন্ততঃ তাহারা চরকায় স্থত কাটিয়া নিজেরাই কাপড় বুনিয়া পরিবে বা বিক্রয় করিয়া কিছু অর্থ সঞ্চয় করিবে । তিনি অল-ইণ্ডিয়া স্পিনাস" অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সঙ্গ স্থাপন করিয়া কাটুনি ও র্তাতশিল্পীকে একটি সজ্ঞাবদ্ধ শিল্পে পরিণত করিবার জন্য সচেষ্ট झ्झेग्रांप्छ्न ! গত দুই-এক বৎসরে খন্দরের প্রসার সমধিক হইয়াছে এবং অনেক লোকে ইহার দ্বারা বাড়ী বসিয়া কিছু কিছু অর্থ উপার্জন করিতেছে। বেশী দাম ও মোট কাপড় বলিয়া বেশী লোকে খন্দর ব্যবহার মা করিলেও শিল্পবিস্তারকল্পে