পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\©((პა প্রস্তুতির বৃত্তিতে নিয়োজিত। এই ধারণা সত্য নহে। কত কঁাচা মাল প্রতি বৎসর বিদেশে চালান যায় তাহার গড়পড়তা হিসাব এইরূপ-- কৃষিজাত দ্রব্য পাট তুলা তৈল বীজ অন্যান্য কোটি টাক ○" పచిరి Ꮌbr مخ: ১৫৭ কোটি টাকা \ এই সকল কাচামাল বিদেশ হইতে পণ্যে রূপান্তরিত হইয়া ফিরিয়া আসে। এই ভাবে যে কাচা মাল এ-দেশেই বহু লোককে নিয়োজিত রাখিতে পারিত, এবং প্রায় তিন গুণ মূল্যের প্রব্যে রূপান্তরিত হইতে পারিত তাহ অন্যত্র প্রেরিত হয় । ইহারই সূত্র ধরিয়া বিদেশী প্রয়োজনীয় বস্তুগুলির দিকে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হইতেছে। মুখ ধোয়ার বুরুশ ও দন্তমঞ্জন, চেয়ারের বার্নিশ, ডেকচির অ্যালুমিনিয়মপাত, চায়ের বাসন, থাল-বাসন গড়িবার জন্য তামা, পিতল ও পালিস করার যন্ত্র, লিখিবার কালি ও কাগজ, জুতার কালি ও জুতা সেলাইয়ের যন্ত্র, জামার বোতাম ও সেলাইর স্থতা ও যন্ত্র, প্রসাধন দ্রব্য, লিখিবার কলম ও পেন্সিল এবং রবার, শিশি-বোতলের ছিপি, চুলের ফিতা, কাটা ও চিরণী প্রভৃতি অধিকাংশ বিলাতী। এই সকল বস্তু তৈয়ারিতেও এ-দেশের বহু লোক নিয়োজিত থাকিতে পারিত। এ পর্য্যন্ত যে-পথে আমাদের আলোচনা পরিচালিত হইয়াছে তাহাতে বৃত্তিহীনকে বৃত্তিপ্রদানের কি উপায় এই প্রশ্নের উত্তর যেন সহজ হইয়া আসিতেছে। অর্থাৎ বোধ হইতেছে যে এ-দেশে টাটার লৌহের কারখানার মত বহুবিধ বড় বড় কারখানা স্বাক্ট করা হউক এবং তস্থার প্রভূত বৃত্তির স্থই হউক। এই প্রসঙ্গে কিঞ্চিৎ আলোচনা করা যাক । টাটার লৌহের কারখানা বিহারের অন্তর্গত জমশেদপুরে অবস্থিত। হাজার হাজার লোক জমশেদপুরে বাস করিয়া কারখানার নানা বৃত্তিতে নিয়োজিত । ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, এক জমশেদপুরে যত চ বিক্রয় হয় প্রবাসী >\OB's বঙ্গ বা বিহারের যে কোন অপর স্থানের ৪৫ লক্ষ লোকেও (তিন জেলায় এত অধিবাসী হইতে পারে ) তাহা ক্রয় করে না। জমশেদপুরের অধিবাসীরা প্রায় > এই হারেই অপর সকল পণ্য ব্যবহার করে । সুতরাং _。 * ই স্বত্র ধরিয়া এই যুক্তি আসিয়া দাড়াইতেছে যে, দেশে যত বেশী শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিবে পণ্যের ( কৃষিজাত ও অপর ) চাহিদা তত বৃদ্ধি পাইবে এবং পণ্যের চাহিদা বাড়িলেই পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি পাইবে। সুতরাং বৃত্তি স্বাক্টর জন্য শিল্প-প্রতিষ্ঠান গঠন করার যেমন আবশ্ব্যকতা দাড়াইতেছে, তেমনি আবার শিল্পপ্রতিষ্ঠানজাত বস্তুর বিক্রয় জন্যও বুত্তিধারীর আবশ্যক । দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আমরা যে ভাবে চালাই তাহাতে বিদেশজাত দ্রব্যাদি পাইবার পথ সহসা রুদ্ধ হইলে আমরা নিত্যব্যবহারে বড় বস্তুষ্ট পাইব না । বর্তমান যুদ্ধ হেতু আমদানি রুদ্ধ হইলে এই অবস্থার পরিণাম অতি সত্বর আমাদের নিকট উদঘাটিত হইবে । কেবল দেশীয় চাউল ডাল মাছ তরকারি খাষ্টয়া, পর্ণকুটীরে বাস করিয়া, খাগের কলমে মসীতে তালপাতায় লিথিয়া, নৌকা ও গরুর গাড়ীতে চড়িয়া ( যদি বা তাহ পাওয় মায় ) দিনযাপন যখন সম্ভব নয় তখন নিত্যব্যবহার্য্য পণ্য নিজের অর্জন করিতে না পারিলে আমাদের পরমুখাপেক্ষিতা তে রহিয়াই যাইবে । অকুমান করি যে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রতিপাদিত হইয়াছে। যখন দেশে দেশে শিল্প-উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা চলিতেছে, দেশকে স্বাবলম্বী ও অন্য দেশের সঙ্গে নিৰ্ম্মাণ-কৌশলে প্রতিযোগ করিবার জন্য উদ্যোগ চলিতেছে তখন এত যুক্তির কি প্রয়োজন ছিল ? এ-দেশেও জাতীয় শিল্প-পরিকল্পনার জন্য কংগ্রেস নানা আয়োজনে নিযুক্ত হইয়াছে, অতএব এ-জন্ত যুক্তির আবশ্বকতা কি ? প্রয়োজন এই যে কংগ্রেস গান্ধীজীর অমুশাসনে পরিচালিত এবং যে জওহরলালজী এই পরিকল্পনা-কমিটির সভাপতি তিনি স্বীয় আত্মচরিতে দেখাইয়াছেন যে বুদ্ধি ও বিবেক দ্বারা নিয়ন্ত্রিড হইয়া তিনি বহু বার গান্ধীজীর মতামত সমর্থন করিতে পারেন নাই ; কিন্তু পরিশেষে