পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১৬ প্রবাসী లిgఆ পায় না, কিন্তু এই চুড়ার উপরিভাগ বোলপুর স্টেশন হইতে দেড় মাইল বা দুই মাইল উত্তরে গাড়ী আসিলেই দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দিরের বাহিরে পাদুকা উন্মোচনপূর্বক আমরা ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম রবীন্দ্রবাবু পট্টবস্ত্র পরিধানপূর্বক, মন্দিরের পশ্চিম দিকে পূৰ্ব্বাস্ত হইয়া স্থিরভাবে বসিয়া আছেন, তাহার দক্ষিণ পাশ্বে গায়ক ও বাদকগণ এবং বাম পাশ্বে ছাত্রগণকে লইয়। শিক্ষকগণ স্থির ভাবে বসিয়া আছেন । আমরাও নিঃশব্দে আসন গ্রহণ করিলে পাখোয়াজ ও তানপুরা সহযোগে একটি ব্রহ্মসঙ্গীত গীত হইল। মন্দিরস্থ সকলের গাম্ভীর্য্যে ধূপধুনার সৌরভে মন্দিরটি যেন শাস্তি ও পবিত্রতার আকর বলিয়া মনে হইতেছিল, ব্রহ্মসঙ্গীতটি যেন সেই শাস্তি ও পবিত্রতা বহু গুণে বঙ্কিত করিল । সঙ্গীতের পর কবিবর প্রায় দশ-বার মিনিট প্রার্থনা করিলেন। কবিবর মধুর কণ্ঠে গম্ভীর অথচ সুললিত ভাষায় যখন প্রার্থনা করিতেছিলেন, তখন আমার মনে হইল যে, তাহার মুখে উচ্চারিত প্রত্যেক শব্দ যেন আমাদের “কানের ভিতর দিয়া মরমে" প্রবেশ করিতে লাগিল । উপাসনার পর আর একটি ব্রহ্মসঙ্গীত গীত হইলে উপাসনা কায্য শেষ হইল। উহার পূৰ্ব্বে ও পরে চন্দননগরে এবং কলিকাতায় ব্রাহ্মসমাজে ব্রহ্মসঙ্গীত, উপাসনা ও বক্তৃত। শ্রবণ করিয়াছি, এমন কি মাঘোৎসবের সময় মহর্ষির জোড়াসাকের ভবনেও স্বগীয় দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের প্রার্থনা এবং রবীন্দ্রবাবুর মুখে ব্রহ্মসঙ্গীত শ্রবণ করিয়াছি, কিন্তু সেদিন শাস্তিনিকেতনের মন্দিরে উপাসনাতে যোগ দিয়া হৃদয়ে ও মনে যে শাস্তি ও পবিত্রতার ভাব জাগরূক হইয়াছিল, মনে হইল যে তাহা অতুলনীয় । বালকের শিক্ষকদের সহিত স্কুলে চলিয়া গেল, রবীন্দ্রবাৰু তাহার নবাগত অতিথিদের সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিতে কহিতে হলঘরে গমন করিলেন, রাজারাম বাবু, কাৰ্ত্তিকবাবু ও আমরা তিন জনে কথা কহিতে কহিতে অট্টালিকার দিকে যাইতেছিলাম। পথিমধ্যে আমি কাৰ্ত্তিকবাবুকে বলিলাম যে আজ মন্দিরে আমি যে অপুৰ্ব্ব আনন্দ ও শাস্তি পাইয়াছি, পূৰ্ব্বে সেরূপ কখনও পাই নাই। রাজারাম বাবু বলিলেন, “সেটা মহৰ্ষির সাধনার প্রভাব । এই শান্তিনিকেতন মহৰ্ষির সাধনার পীঠস্থান । তিনি এই স্থানে যে অপার্থিব শান্তি ও পবিত্রতার বীজ বপন করিয়া গিয়াছেন, তাহার ফল কখনও ব্যর্থ হইবে না। ইহা একটি মহাতীর্থ।” আমরা তলের দ্বারে উপস্থিত হইলে ভূত্য বলিল, *আপনার বাধে স্নান করিবেন, ন! করিবেন ?” রাজারাম বাবু বলিলেন যে বহুদিন হইতে তোলা জলে স্বান করিতেছেন, জলে অবগাহন করিয় স্বান করেন না। রাজারাম বাবু বাধে যাইবেন ন শুনিয়া আমিও আর বঁাধে গেলাম না, দুই জনেই কৃয়াতলায় গিয়া স্নান করিলাম । কুয়াত লায় আর এক o ভূত্য উপস্থিত ছিল, সে-ই জল তুলিয়া দিল । মনি, স্থ আমরা সেই পানেই বস্ত্র পরিবহন কপিলাম । আমাদের নিদিষ্ট কক্ষে প্রবেশ করিয়! দেধিলাম পূৰ্ব্ব দিনের সেই ভূত্য আমাদের জন্য দুই টা রেক;ি বতে কুয়াতলায় স্নান నీ : | ८माझ्भ८ छ* ५ फूॐ g:भ छन लट्टेः! मैं। giटेग्न! আমরা জলযোগ করিয়া ই স্কুলে গেলাম । সকালে আ স্ট BBBBB BBJ YBS BBBS BBSBBS DBB S BBBBSK দেখিলাম ছাত্রেরা পুস্তক লইয়। পড়িতেছে । কোন শিক্ষক অঙ্ক শিখাইতেছেন, কেহ বা ম্যাপ দেখা হয়। ভূগোল পড়াইতেছেন, কেহ বা সাহিত্য পড়াইতেছেন । সেদিন সকালে রবীন্দ্রবাবুকে স্কুলে দেখিলাম না, বোধ হয় f siন কলিকাতা হইতে সমাগত ভদ্রলোকদিগের নিকটে ছিলেন । বেলা এগারটার সময় শিক্ষকগণের সহিত আমরা আহার করিতে গেলাম, সেদিন ছাত্ৰগণ আর আমাদের সঙ্গে গেল না, তাঙ্গার ছাত্রা বাসের পাকশালাতে ভোজন করিতে গেল। আমরা পূৰ্বরাত্রিতে যেখানে আহার করিয়াছিলাম, সেইখানে উপস্থিত হইয় দেখিলাম, কবিবর তাহার নূতন অতিথিদিগকে লইয়া আমাদের জন্য অপেক্ষা করিতেছেন, প্রত্যেকের অন্ন শ্বেতপ্রস্তরের থালাতে সজ্জিত রহিয়াছে, ব্যঞ্জনের বাটি ও গ্লাসগুলিও শ্বেতপাথরের । পূৰ্বরাত্রির মত কবিবর ভোজনের পুৰ্ব্বে ও পরে কিয়ংক্ষণ মুদ্রিত নেত্রে নীরবে মনে মনে উপাসনা করিলেন।